বড় ভাই ও বন্ধুরা মিলে মজার এক পিকনিক || 10% Beneficiary To @shy-fox
আমার প্রিয় স্টিমিট বন্ধুরা,
আমি বাংলাদেশ থেকে @mdsamad
আজ বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৩০/ ২০২১
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আমার কিছু বন্ধু ও বড় ভাই সবাই একত্রে মিলে। খুব মজার ও আনন্দের একটি পিকনিক করেছি তারি কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmP7gkWBj1HML1QEGHbcBJMdme8rSum8bTJwuSk7usCSwq/uuijj.jpg)
বর্তমান সময়ের পরিস্থিতি অনুযায়ী দীর্ঘ সময় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার কারণে আমার বেশকিছু বন্ধু ও বড় ভাই শহর থেকে গ্রামে এসেছে এবং তারা অনেকদিন যাবত গ্রামে অবস্থান করছিল। আমরা মাঝেমধ্যে বড় ভাই ও বন্ধুরা মিলে গল্পগুজব আড্ডা দিয়ে থাকি। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে সবাই আবার শহরে চলে যাবে। কিন্তু চলে যাওয়ার আগে আমাদের একসাথে গল্পগুজবের মধ্যে কথা উঠেছে। সবাই মিলে একটা পিকনিক আয়োজন করলে কেমন হয়। এই কথা বলার সাথে সাথে সবাই এক কথায় প্রস্তুত পিকনিক করার জন্য। তবে এবার কথা উঠে কি দিয়ে পিকনিক করা হবে। এ বিষয়ে সবাই সবার মতামত প্রকাশ করে। তবে লাস্ট পর্যায়ে ঠিক হয় যে রাজহাঁসের মাংস ও খিচুড়ি দিয়ে পিকনিক করা হবে। এবং খাওয়া-দাওয়া কবে কলা পাতার উপর। বিষয়টি সবাই একমত হয়ে যায়।
পিকনিকের আয়োজন শুরু
পিকনিকের আয়োজন শুরু করার জন্য দুইটি দলে বিভক্ত করা হল। বিশেষ করে বড় ভাইরা রান্নার জন্য কাঁচা বাজার করতে যাবে। আর আমরা বন্ধুরা মিলে যাবো রাজহাঁস কিনার জন্য। এই কথা বলার পর কাজ শুরু হয়ে গেল। বড় ভাইরা গেল বাজারে আর আমরা গেলাম রাজহাঁস কেনার জন্য। সকল কিছু করার পর প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্য কাঁচাবাজার ও দুইটি রাজহাঁস কিনে নিয়ে আসা হল।
এবার দুইটি রাজহাঁস প্রথমে জবাই দেওয়া হয়। তারপর পরিষ্কার করার দায়িত্ব দেয়া হয় আমাদের প্রতি। এরপর বড় ভাইরা বসে রান্নার জন্য ঝাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ ইত্যাদি মসলাজাতীয় প্রস্তুত করতে থাকে। এবং আমরা বন্ধুরা মিলে রাজা হাঁস দুটিকে একদম পরিষ্কার করে কুটে ধুয়ে রেডি করে ফেলি। এবার শুরু হবে রান্নার কাজ। আর এই রান্না করবে আমাদের বড় ভাইয়েরা। আমরা শুধু তাদেরকে সহযোগিতা করবো।
শুরু হলো রান্নার কাজ
রান্না করবে দুইটি বড় ভাই। তারা হল বাসার ভাই ও সাফি ভাই। এর জন্য প্রথমে আগুন জ্বালিয়ে আকার উপর ছোট ডেজগি বসিয়ে দেওয়া হল। কিছুক্ষণের মধ্যে ডেজগি গরম হওয়ার পর তার ভিতরে প্রথমে তেল দেয়া হলো। তেল গরম হয়ে যাওয়ার পর তার ভিতরে মাংস রান্নার মশলা দিয়ে দেওয়া হল। তারপর তা ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে সুন্দর কালার তৈরি করা হলো। এবং কিছুক্ষণ পর তার ভিতরে ঢেলে দেওয়া হলো রাজহাঁসের মাংস গুলো। এরপর সেগুলো সাথে মসলাগুলো ভালোভাবে মেশানোর জন্য বেশ ভালোভাবে নাড়াচাড়া শুরু করে দেওয়া হলো।
এভাবে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করার পর তার ভিতরে সামান্য পানি দিয়ে মাংস কষানো জন্য প্রায় একইভাবে ২০ মিনিট ধরে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করতে থাকে। 20 মিনিট পার হয়ে মাংস যখন কষানো হয়ে গেল। তখন তার ভেতরে আরো অনেক পরিমান পানি দেয়া হলো। এরপর মাংস সিদ্ধ ও পানি শুকানোর জন্য একটু জোরে আকার জাল দেওয়া শুরু করলো। তারপর তা একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেয়া হলো। আর এভাবেই প্রায় 40 মিনিট ধরে আকার জাল দেওয়া চলতে থাকলো।
রান্নার শেষ ধাপ
40 মিনিট পার হওয়ার পর এবার ঢাকনা তোলা হলো। ঢাকনা তোলার পর আবার সেগুলো নেড়েচেড়ে দেখা হল যে মাংস কেমন সিদ্ধ হয়েছে। তবে দেখা গেল যে মাংস সিদ্ধ হয়েছে এবং একদম পারফেক্ট ভাবে। এবার ডেজগি থেকে মাংস গুলো একটি পাত্রে ডালার হবে। তার আগে আকার উপর থেকে ডেগজি নামিয়ে নেয়া হলো। এবং সেটি নামিয়ে একটা পাত্রে পুরো মাংস ঢেলে রাখা হলো। আর এভাবেই আমাদের আজকের পিকনিক রান্না-বান্না শেষ হয়।
সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া
এবার খাওয়া-দাওয়ার পালা আর খাওয়া-দাওয়া হবে কলার পাতায়। তাই কলার পাতা কাটার জন্য চলে গেলাম বন্ধুরা মিলে। অনেকগুলো কলার পাতা কেটে এনে প্লেট আকারে তৈরি করলাম। এবং সবাইকে দিলাম সবাই যাতে কলাপাতায় খেতে পারে। আমরা খিচুড়ি এবং রাজহাঁসের মাংস দিয়ে খাওয়া দাওয়া করার জন্যও কলার পাতা দিয়ে দিলাম সবাইকে। এর পর শুরু হলো খাওয়া। তবে এখানে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত না বলে আমি এখানে আমাদের পুরো রান্নার প্রসেস এর একটা ভিডিও শেয়ার কছি। আশা করি সবাই ভিডিওটি দেখবেন।
পুরো পিকনিক এর একটা ভিডিও লিংক
এই পোস্টটির ১০% রিওয়ার্ড @shy-fox কে উৎসর্গ করা হয়েছে। আশা করি, সবার কাছে ভালো লেগেছে আমার পোস্টটি। লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। Cc:- @blacks @hafizullah @shuvo35 @moh.arif @rex-sumon @rme
ভালোবাসা নিবেন
ইতি
মোঃ আব্দুস সামাদ
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeswq6V7n3wHMYjhHfNaBBBCRBJ32G32RBmJGFdXekRDB/mdsamad.png)
ইতি
মোঃ আব্দুস সামাদ
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeswq6V7n3wHMYjhHfNaBBBCRBJ32G32RBmJGFdXekRDB/mdsamad.png)
বনভোজন দেখলে মন খুশিতে ভরে যায়। দারুন মজা। সকলে মিলে খুব আনন্দ হয়। সত্যিই দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
ঠিকই বলেছেন ভাই বোন বাঁদর মানে খুশি আর আনন্দ মেলা
সব বন্ধু-বান্ধব মিলে এরকম একটি পিকনিকের আয়োজন করতে পারা সত্যি অনেক ভাগ্যের বিষয়। কারন আমাদের জীবনে এইসব মুহূর্তগুলো অনেক আগেই চলে গিয়েছে। যাইহোক আপনার উপস্থাপনা ছিল দেখার মতো তবে কোন এডমিন এবং মডারেটর কে গুরুতর কারণ ছাড়া মেনশন দেওয়া যবে না। ছবিগুলোতে লোকেশন ব্যবহার করলে আরো ভালো হত।
ঠিক আছে ভাই, আমি আর এডমিন আর মডারেটর দের মেনশন দেবো না।
ছোট-বড় সবাই একসাথে হয়ে পিকনিক খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আমরাও মাঝে মাঝে এরকম খেয়ে থাকি। আপনার পোস্ট দেখে মনে হল অনেক সুন্দর করে সবাই পিকনিক খেয়েছেন। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল।
ঠিকই বলেছেন ভাই। ছোট বড় সবাই মিলে একসাথে পিকনিক করার মজাই আলাদা। আর আমরা এই পিকনিক এর মাধ্যমে আসলে খুবই আনন্দ ও মজা করেছি।
পিকনিক মানেই আনন্দ উল্লাস ভর্তি কাটানো একটু সময়। দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনার দিনটি খুবই ভালো কেটেছে এবং হাঁসের মাংস রান্নার রেসিপি টি ও দারুণভাবে শেয়ার করেছেন । সব মিলিয়ে উপস্থাপনাতেও খুব ভাল ছিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি ভাই, আসলেই দিনটি খুবই ভালো কেটেছে। কারণ বড় ভাই ও বন্ধুরা মিলে পিকনিক করেছি তো তাই খুবই ভালো লেগেছে।
আমার দেখা সেরা পোস্ট❤️
ধন্যবাদ মামা, পোস্ট দেখার জন্য।
You have been upvoted by @sm-shagor A Country Representative, we are voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the newcomers coming into steemit.
Follow @steemitblog for the latest update. You can also check out this link which provides the name of the existing community according to specialized subject
There are also various contest is going on in steemit, You just have to enter in this link and then you will find all the contest link, I hope you will also get some interest,
For general information about what is happening on Steem follow @steemitblog.