আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম !
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ বৃহস্পতি, মে ৩০/২০২৪
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি ।আজকে আমি আপনাদের সাথে ডিমও পটল দিয়ে পিঠা তৈরি শেয়ার করব । এই কয়দিন ঝড় বৃষ্টির কারণে আমাদের এদিকে তেমন একটা কারেন্ট বা নেট ছিল না ।নেটওয়ার্কের কারণে তেমন নিয়মিত পোস্ট করতে পারিনি। কিন্তু এখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। তাই প্রতিনিয়ত চেষ্টা করব পোস্ট করার ।আজকে সকাল বেলায় ইচ্ছে হয়েছিল পটলের পিঠা খেতে। এমনিতেই গরম ভাতের সাথে পটলের পিঠা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে ।তাই আজকে ভাবলাম পটলের পিঠা একটু অন্যরকম ভাবে তৈরি করব ।এমনিতেই বিভিন্ন ধরনের রেসিপি আমি ইউনিক ভাবে তৈরি করতে অনেক পছন্দ করে থাকি ।তাই আমি ভাবলাম ডিম ও পটলের পিঠা তৈরি করব ।পটলের পিঠা আমার আম্মু মাঝেমধ্যেই আমাকে তৈরি করে দিত। তাই আজকে ইচ্ছে হলো খেতে ।তাই নিজে নিজেই তৈরি করে ফেললাম। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক কিভাবে আমি ডিম ও পটল দিয়ে পিঠা তৈরি করেছি।
••••রেসিপি তে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
১ | পটল | পরিমাণমতো |
২ | পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণমতো |
৩ | লবণ | স্বাদমতো |
৪ | জিরা | পরিমাণমতো |
৫ | মরিচের গুঁড়া | পরিমাণমতো |
৬ | হলুদের গুড়া | পরিমাণমতো |
১০ | ডিম | একটি |
১১ | চাউলের ময়দা | পরিমানমতো |
১২ | সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
প্রথমে আমি পরিমাণ মতো পটল নিয়ে নিয়েছি। পটলের পিঠা তৈরি করার সময় পটল সম্ভবত একটু পাকা হলে খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনারা চাইলে কাচা পটল দিয়েও পিঠা তৈরি করতে পারেন।
এবার আমি পরিমাণ মতো জিরা এবং পরিমাণমতো রসুন নিয়ে নিব। নিয়ে পাটার সাহায্যে অনেক সুন্দর ভাবে বেটে নিব।
পটলগুলো আমি আগে থেকেই পাটার সাহায্যে একটু বেটে নিয়েছিলাম ।বেটে নেওয়ার পর পটলের ভেতর আমি পরিমাণমতো পেঁয়াজকুচি ,রসুন বাটা ,চিরা বাটা ,হলুদের গুঁড়া, শুকনা মরিচের গুঁড়া, লবণ দিয়ে দিব ।আপনারা চাইলে শুকনা মরিচের গুঁড়ার পরিবর্তে কাঁচামরিচ ব্যবহার করতে পারেন।
এবার আমি একটা ডিম নিয়ে নিয়েছি ।আমি এখানে হাঁসের ডিম ব্যবহার করেছি ।আপনারা হাঁসের ডিমের পরিবর্তে যেকোন ডিম ব্যবহার করতে পারেন।
এবার আমি পেয়াজকুচি ,রসুন ও জিরা বাটা ,পরিমাণমতো হলুদ, লবণ, শুকনা মরিচের গুড়া ,বেটে রাখা পটলের ভেতর ডিমটা ভেঙ্গে দিব।
এবার আমি পরিমাণ মতো চাউলের ময়দা নিয়ে নিয়েছি ।আপনারা চাউলের ময়দার পরিবর্তে রোলার ময়দা ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু চাউলের ময়দা দিলে খেতে অনেক মুচমুচে হয়ে থাকে।
এবার আমি সবগুলো একসঙ্গে চটকিয়ে নিব। যাতে সবগুলো একসঙ্গে ভালোভাবে মিশে।
এবার আমি পরিমাণ মতো ময়দা হাতে নিয়ে একটু চ্যাপ্টা করে নিব । ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন।
এবার আমি চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিয়ে তেলটা একটু গরম করে নিব ।তেলটা গরম করা হয়ে গেলে চ্যাপ্টা করা ময়দা তেলের উপর দিয়ে দিব। দিয়ে অনেক সুন্দরভাবে ভেজে নিব। ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন।
এইতো অনেক সুন্দর ভাবে ডিম ও পটল দিয়ে পিঠা তৈরি হয়ে গিয়েছে । আসলেই পিঠাটা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল ।যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার ধাপগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই ডিম ও পটল দিয়ে পিঠা তৈরি করতে পারবেন।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আশা করি আমার ডিমও পটল দিয়ে পিঠা তৈরি আপনাদের ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | vivo y 12a |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।
ডিম ও পটল দিয়ে চমৎকার মজাদার একটি ইউনিক রেসিপি করেছেন আপু।এই মজাদার রেসিপিটি কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপিটি ভীষণ চমৎকার লাগছে।ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে ডিম,পটলের মজাদার রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে পটল দিয়ে পিঠা তৈরীর এই রেসিপিটা আমি জীবনে সর্বপ্রথম আপনার পোস্টে দেখতে পেলাম। আসলে আমি এর আগে কখনো ভাবি নি যে পটল দিয়ে পিঠা তৈরি করা যাবে। এই রিসিভটা আমার কাছে সম্পূর্ণ একটা নতুন রেসিপি। এছাড়াও এই রেসিপিটার প্রতিটা বর্ণনা আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আসলে আপু প্রথম লাইনটিতে অর্থাৎ পোস্ট শুরুর প্রথম লাইনে আপনার একটু ভুল আছে। আসলে কথাটি হবে আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ। এছাড়াও আমার কাছে আপনার পোস্টটি খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এদিকে এই রেসিপিটা অনেক তৈরি করে থাকে ভাইয়া।
ঝড় বৃষ্টি হলে নেটওয়ার্ক ও কারেন্ট দুটোই অনেক প্রবলেম করে তখন কাজ করতে আসলেই অনেক কষ্ট হয় । এখন ঠিক হয়ে গিয়েছে জেনে ভালো লাগলো তাহলে আপনি ঠিকমত কাজগুলো করতে পারবেন ।আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি দেখতে পারলাম । এরকম রেসিপি কখনো দেখিনি ভালো লাগলো রেসিপিটি ।
রেসিপিটা একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবে আপু আসলে রেসিপিটা অনেক ভালো লাগে।
এতো দেখি নতুন রেসিপি। জীবনেও এমন রেসিপির কথা শুনিওনি আমার দেখিওনি। আজ আপনার মাধ্যমে বেশ ইউনিক একটি রেসিপির সন্ধ্যান পেলাম। দারুন ছিল আপু আপনার আজকের রেসিপি। সাথে সাথে বেশ সুন্দর বর্ননাও তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর এই রেসিপির জন্য।
হয়তোবা আপনি এমন ধরনের রেসিপি দেখেন নি কিন্তু বাড়িতে তৈরি করে একদিন খেয়ে দেখতে পারেন আপু।
বাহ আপু বেশ ইউনিক একটি রেসিপি শিখলাম আপনার কাছ থেকে আজকে। পটল দিয়ে এমন ভাবে করে কখনো পিঠা তৈরি করে খাওয়া হয়নি। পিঠাতে দেওয়া উপকরণ দেখে মনে হচ্ছে খেতে অসম্ভব মজাদার হয়েছে। হালকা ঝাল ঝাল মুচমুচে। আমি অবশ্যই একদিন বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু রেসিপিটা খেতে আসলেই অনেক মজাদার ছিল বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন।
ডিম ও পটল দিয়ে পিঠা তৈরি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশে আমার খুবি ভালো লাগে। এতো সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে শেয়ার করেছেন।ধাপ গুলো দেখে শিখতে পারলাম, পরবর্তী তৈরি করবো ইনশাআল্লাহ।
আমার ধাপগুলো অনুসরণ করলে আসলেই আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপিটি তৈরি করতে পারবেন।
ডিম ও পটলের সমন্বয়ে খুবই সুন্দর একটি পিঠে রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার এই রেসিপি তৈরি করতে বেশ অনেক গুলো উপকরণের দরকার হয়েছে, তা আসলে আপনার রেসিপি তৈরির ধাপ গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে। যাইহোক আপনি খুবই সুন্দর করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। আপনার তৈরি পিঠে রেসিপি গুলো দেখে আমার জিহ্বায় জল চলে এসেছে।
রেসিপিটা ভালো লাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঝড় বৃষ্টির কারণে কারেন্ট এবং নেটওয়ার্কের সমস্যা দেখা দিয়েছে শুনে খারাপ লাগলো আপু। অনেক অঞ্চলেই এরকম হয়েছে আপু। আপনার তৈরি করা রেসিপি দারুণ হয়েছে। এই মুখরোচক খাবারগুলো খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি।
ঝড় বৃষ্টির কারণে কারেন্ট না আসায় অনেক কষ্ট হয়ে গিয়েছিল ভাইয়া।
ডিম ও পটল দিয়ে পিঠা তৈরি একদম ইউনিক মনে হয়েছে। এ ধরনের রেসিপি কখনো তৈরি করিনি। যার কারণে আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিয়েছি, পরবর্তীতে তৈরি করার চেষ্টা করবে ইনশাআল্লাহ।
একদিন বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আসলেই রেসিপিটা খেতে অনেক মজাদার লাগে।
পটল পেঁকে গেলে আমি সব সময় ফেলে দেই। পাঁকা পটল দিয়ে যে এত মজাদার রেসিপি তৈরি করা যায় জানা ছিল না আপু। আপনি ডিম ও পটল দিয়ে অনেক মজাদার পিঠা তৈরি করেছেন খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।