বড় ভাইয়ের বিদায় বেলায়।।
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ --২৭ শে অগ্রহায়ন| ১৪৩০বঙ্গাব্দ |মঙ্গলবার|হেমন্তকাল|
আমি রাজু আহমেদ।আমার ইউজার নাম @md-razu।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
তাহলে চলুন শুরু করি
আজ আপনার মাঝে বড় ভাইয়ের প্রবাসে যাওয়া সম্পর্কে বলবো।আসলে বড় ভাই বললে ভুল হবে সে আমাদের অবিভাবক। তার কাছে আদর ভালোবাসা সব পেয়েছি।অনেকদিন ধরে বিদেশ যাওয়ার জন্য কাগজ পত্র প্রসেসিং চলতেছিলো।হঠাৎ একদিন ফোন আসলো।ওপার ভেসে আসলো কি খবর।আমি প্রথমে সালাম দিলাম আর বললাম ভাই কেমন আছেন?ভাই বললো আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।তারপর সে বললো কি করো?আমি উত্তর দিলাম ভাই অফিসে আছি।তারপর সে বললো বৃহস্পতিবার তো ফ্লাইট। এই কথা শোনার পর অটোমেটিক চোখের কোনায় পানি চলে আসলো।ভাঙা গলায় বললাম ভাই কয়টার দিকে ফ্লাইট। সে বললো ৭:৩০ সে।ওহ আচ্ছা।তখন তার সাথে কাটানো সব স্মৃতি মনে পরতে লাগলো।তার সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত প্রতিটা দিন চোখের সামনে ভেসে উঠলো।আর মনে মনে ভাবছিলাম এই মানুষ টা ছাড়া বাড়ি গিয়ে কিভাবে সময় কাটবে।তাকে ছাড়া তো কোন কিছু করে মজা পাবো না।সে আমার রক্তের কেউ না হলেও তার চেয়ে অনেক গভীর সম্পর্ক আমার মাঝে।রতন ভাই কিন্তু বয়সে আমার থেকে অনেক বছরের বড়।বড় হওয়া শর্তেও সে আমারদের সাথে খুবই ভালো আচরণ করতো।আর আমরা তাকে কোন সময় অসম্মান করতাম না।তার সাথে বাইক ট্যুর,পিকনিক,অনেক জায়গা দাওয়াত খাওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ করতাম।তার সাথে যে স্মৃতি জড়িয়ে আছে তা বলে কখনো শেষ করা যাবে না।
বাইয়ের যে-দিন ফ্লাইট ওইদিন সকালে ফোন দিলাম ভাই কতদূর আসছেন?ভাই বললো আমিতো চলে আসছি এখন অফিসে আছি।তুমি কখন আসবা।আমি বললাম ভাই আমি দুপুর ১:০০দিকে এখান থেকে বের হবো।আমি থাকি আশুলিয়াতে।এখান থেকে বিমানবন্দরে যেতে প্রায় ২ ঘন্টা সময় লাগবে।কারন ঢাকার রাস্তা অনেক জ্যাম থাকে।বিমানবন্দরে আরও কিছু ভাই-ব্রাদার আসার কথা ছিলো।তারাও মোহাম্মদপুর থেকে রওনা দিয়েছে।বৃহস্পতিবার সারাদিন অনেক বৃষ্টি হচ্ছিল।আমি অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হই। আশুলিয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস এর কাজ হওয়াতে রাস্তায় প্রচুর জ্যাম ছিল। এদিকে বৃষ্টি তো কমার কোন কথাই নেই। আমি মনে মনে আল্লাহকে ডাকছিলাম যেন ভাইয়ের সাথে দেখা হয়। অবশেষে আমি বড় ভাই ব্রাদার এবং বন্ধুদের আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছে যায়। বিমানবন্দরে গিয়ে রতন ভাই কে ফোন দিলাম। বললাম ভাই আপনি কখন আসবেন বিমানবন্দরে আর ফ্লাইট কয়টার দিকে। ভাই বলল ১০ টা ৩০ এ ফ্লাইট। কিছু সময়ের মধ্যে আমি আসতেছি তোমরা থাকো। তারপর ভাইয়ের বিদায়ের জন্য যাদের আসার কথা ছিল তারা বিমানবন্দরে পৌঁছালো। বৃষ্টিতে সবাই ভিজে যা তা অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। যখন তোরা আসলো ভাইয়ের নিয়ে অনেক গল্প হল। বললাম ভাইয়ের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো অনেক মিস করবো। তার মধ্যে এক কাছের বড় ভাই ছিল সে বলল অবশ্যই তাকে অনেক মিস করবো আমরা। ভাই নিয়ে অনেক গল্প করার পর ভাইকে আবার ফোন দিলাম। বলল আমার আসতে আর ৩০ মিনিট সময় লাগবে।
অবশেষে সে বৃষ্টির মধ্যেই চলে আসলো বিমানবন্দরে। তাকে দেখে চোখের কোনায় অজান্তে পানি চলে আসলো। আমরা দুঃখ পাবো এজন্য সে আমাদের সাথে হাসিমুখে কথা বলল। রতন ভাইয়ের চেকিং ছিল একটু পরে কিন্তু মন খারাপ দেখে সে আগেই চেকিং করে বিমানবন্দরের মধ্যে ঢুকে গেল। আমরাও অসহায় দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আর মনে মনে ভাবছিলাম এই মানুষের সাথে কত স্মৃতি কত আনন্দ একসাথে উপভোগ করছি সেই মানুষটা আমাদের ছেড়ে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে। আসলে সুখ পেতে হলে কিছু তো সেক্রিফাইস করতেই হবে। না হয় সে কিছুটা বছর পরিবার স্বজন আমাদের ছেড়ে বিদেশ কাটিয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবে। ভাই চেকিং করার পর আমাদের সবারই মন অনেক খারাপ ছিল। কিন্তু খারাপ লাগা সত্ত্বেও তাকে বিদায় দিতে অনেক কষ্ট লাগছিল সবার। আর মনে মনে বলছিলাম সে যেখানেই থাকুক যেন সুস্থ থাকে। হয়তো বাড়ি গিয়ে তার সাথে আর দেখা হবে না একসাথে ঘুরাঘুরি হবে না। তবে তাকে অনেক মিস করবো। এ ব্লগ লেখা অবস্থায় আমার মন অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আসলে তার সম্পর্কে লিখতে গেলে লেখা কখনোই ফুরাবার নয়। এখানেই শেষ করতে হচ্ছে সবাই ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।
লোকেশন:https://w3w.co/mysteries.mega.gathering
ধন্যবাদ সবাইকে
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
💞 আল্লাহ হাফেজ 💞
VOTE @bangla.witness as witness
OR
তাহলে চলুন শুরু করি
আজ আপনার মাঝে বড় ভাইয়ের প্রবাসে যাওয়া সম্পর্কে বলবো।আসলে বড় ভাই বললে ভুল হবে সে আমাদের অবিভাবক। তার কাছে আদর ভালোবাসা সব পেয়েছি।অনেকদিন ধরে বিদেশ যাওয়ার জন্য কাগজ পত্র প্রসেসিং চলতেছিলো।হঠাৎ একদিন ফোন আসলো।ওপার ভেসে আসলো কি খবর।আমি প্রথমে সালাম দিলাম আর বললাম ভাই কেমন আছেন?ভাই বললো আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।তারপর সে বললো কি করো?আমি উত্তর দিলাম ভাই অফিসে আছি।তারপর সে বললো বৃহস্পতিবার তো ফ্লাইট। এই কথা শোনার পর অটোমেটিক চোখের কোনায় পানি চলে আসলো।ভাঙা গলায় বললাম ভাই কয়টার দিকে ফ্লাইট। সে বললো ৭:৩০ সে।ওহ আচ্ছা।তখন তার সাথে কাটানো সব স্মৃতি মনে পরতে লাগলো।তার সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত প্রতিটা দিন চোখের সামনে ভেসে উঠলো।আর মনে মনে ভাবছিলাম এই মানুষ টা ছাড়া বাড়ি গিয়ে কিভাবে সময় কাটবে।তাকে ছাড়া তো কোন কিছু করে মজা পাবো না।সে আমার রক্তের কেউ না হলেও তার চেয়ে অনেক গভীর সম্পর্ক আমার মাঝে।রতন ভাই কিন্তু বয়সে আমার থেকে অনেক বছরের বড়।বড় হওয়া শর্তেও সে আমারদের সাথে খুবই ভালো আচরণ করতো।আর আমরা তাকে কোন সময় অসম্মান করতাম না।তার সাথে বাইক ট্যুর,পিকনিক,অনেক জায়গা দাওয়াত খাওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ করতাম।তার সাথে যে স্মৃতি জড়িয়ে আছে তা বলে কখনো শেষ করা যাবে না।
বাইয়ের যে-দিন ফ্লাইট ওইদিন সকালে ফোন দিলাম ভাই কতদূর আসছেন?ভাই বললো আমিতো চলে আসছি এখন অফিসে আছি।তুমি কখন আসবা।আমি বললাম ভাই আমি দুপুর ১:০০দিকে এখান থেকে বের হবো।আমি থাকি আশুলিয়াতে।এখান থেকে বিমানবন্দরে যেতে প্রায় ২ ঘন্টা সময় লাগবে।কারন ঢাকার রাস্তা অনেক জ্যাম থাকে।বিমানবন্দরে আরও কিছু ভাই-ব্রাদার আসার কথা ছিলো।তারাও মোহাম্মদপুর থেকে রওনা দিয়েছে।বৃহস্পতিবার সারাদিন অনেক বৃষ্টি হচ্ছিল।আমি অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হই। আশুলিয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস এর কাজ হওয়াতে রাস্তায় প্রচুর জ্যাম ছিল। এদিকে বৃষ্টি তো কমার কোন কথাই নেই। আমি মনে মনে আল্লাহকে ডাকছিলাম যেন ভাইয়ের সাথে দেখা হয়। অবশেষে আমি বড় ভাই ব্রাদার এবং বন্ধুদের আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছে যায়। বিমানবন্দরে গিয়ে রতন ভাই কে ফোন দিলাম। বললাম ভাই আপনি কখন আসবেন বিমানবন্দরে আর ফ্লাইট কয়টার দিকে। ভাই বলল ১০ টা ৩০ এ ফ্লাইট। কিছু সময়ের মধ্যে আমি আসতেছি তোমরা থাকো। তারপর ভাইয়ের বিদায়ের জন্য যাদের আসার কথা ছিল তারা বিমানবন্দরে পৌঁছালো। বৃষ্টিতে সবাই ভিজে যা তা অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। যখন তোরা আসলো ভাইয়ের নিয়ে অনেক গল্প হল। বললাম ভাইয়ের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো অনেক মিস করবো। তার মধ্যে এক কাছের বড় ভাই ছিল সে বলল অবশ্যই তাকে অনেক মিস করবো আমরা। ভাই নিয়ে অনেক গল্প করার পর ভাইকে আবার ফোন দিলাম। বলল আমার আসতে আর ৩০ মিনিট সময় লাগবে।
অবশেষে সে বৃষ্টির মধ্যেই চলে আসলো বিমানবন্দরে। তাকে দেখে চোখের কোনায় অজান্তে পানি চলে আসলো। আমরা দুঃখ পাবো এজন্য সে আমাদের সাথে হাসিমুখে কথা বলল। রতন ভাইয়ের চেকিং ছিল একটু পরে কিন্তু মন খারাপ দেখে সে আগেই চেকিং করে বিমানবন্দরের মধ্যে ঢুকে গেল। আমরাও অসহায় দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আর মনে মনে ভাবছিলাম এই মানুষের সাথে কত স্মৃতি কত আনন্দ একসাথে উপভোগ করছি সেই মানুষটা আমাদের ছেড়ে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে। আসলে সুখ পেতে হলে কিছু তো সেক্রিফাইস করতেই হবে। না হয় সে কিছুটা বছর পরিবার স্বজন আমাদের ছেড়ে বিদেশ কাটিয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবে। ভাই চেকিং করার পর আমাদের সবারই মন অনেক খারাপ ছিল। কিন্তু খারাপ লাগা সত্ত্বেও তাকে বিদায় দিতে অনেক কষ্ট লাগছিল সবার। আর মনে মনে বলছিলাম সে যেখানেই থাকুক যেন সুস্থ থাকে। হয়তো বাড়ি গিয়ে তার সাথে আর দেখা হবে না একসাথে ঘুরাঘুরি হবে না। তবে তাকে অনেক মিস করবো। এ ব্লগ লেখা অবস্থায় আমার মন অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আসলে তার সম্পর্কে লিখতে গেলে লেখা কখনোই ফুরাবার নয়। এখানেই শেষ করতে হচ্ছে সবাই ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।
লোকেশন:https://w3w.co/mysteries.mega.gathering
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness OR
কিছু কিছু সম্পর্ক এমন হয় যেটা রক্তের সম্পর্কের চেয়েও খুব কাছের মনে হয়। যেহেতু সে প্রবাস জীবনের উদ্দেশ্যে গিয়েছে তাই সৃষ্টিকর্তা তার মনের ইচ্ছা যেন পূরণ করে এই কামনাই করি।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 1/5) Get profit votes with @tipU :)
আমি মনে করি রক্তের সম্পর্কর থেকে বিশ্বাসের সম্পর্কটা অনেক বড়। কারণ কখনো কখনো নিজের কাছের মানুষগুলো শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। আর আপনার সম্পর্কে বড় ভাই বিদেশ চলে যাচ্ছে জেনে আপনি খুব কষ্ট পাচ্ছেন। দোয়া রইল যাতে উনি প্রবাস জীবনে গিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে পারেন। আমাদের মাঝে ভালোভাবে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বড় ভাই মানে অভিভাবক বড় ভাই মানে হচ্ছে পিতার সমান। আসলেই ছোটবেলা থেকে বড় ভাইয়েরা অনেক পরিশ্রম করে ছোটদেরকে বড় করে থাকেন। তো আপনার বর্ণনা শুনে খুব খারাপ লাগলো। বিদেশে যাচ্ছে কিন্তু আপনার সেই পুরাতন স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল। খুব সুন্দর ভাবে বিদায় দিলেন সৃষ্টিকর্তা হায়াত দান করুক। সুস্থ রাখুক এই প্রার্থনা করি।