কর্তব্য পালনে যেতে হয়েছে অনেকদূর ||পর্ব -২||
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
যাইহোক গ্রামের বাড়িতে এসে যখন সংস্কারের কাজ শুরু করি, তখন বাড়ির সীমানা নির্ধারণ করতে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। দুদিকেই অন্য ভাইয়েরা আমার শশুরের সীমানা পার করে তাদের ঘর তুলে ফেলেছে। শুধু তাই নয় বাড়ির সামনে ও পিছনে পতিত জায়গায় প্রচুর সুপারি ও নারিকেল গাছের ফল শুধু ভক্ষন করেছে কোন রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। ফাঁকা জায়গাগুলোতে সবজি চাষ ছাড়াও লিচুর বাগান করে বন্ধ করে রেখেছে। এখন এই জায়গা গুলোর দখল ফেরাতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে।
পুরো বাড়ি ভিটা ৬৫-৭০ শতাংশ হবে কিন্তু বেদখল হতে হতে এখন কতটুকু আছে বোঝা মুশকিল। এখানে এসে যা বুঝলাম পর্যায়ক্রমে অনেকগুলো কাজ করতে হবে। প্রথমেই সুপারির বাগান সংস্কার করে তারপর দুইটা পুকুর ঝামেলা মুক্ত করে মাছ চাষ করার ব্যবস্থা করা। যাইহোক সমস্যার পাশাপাশি অনেক ভাললাগার বিষয় আছে। গ্রামের সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগছে। শহরে থাকতে চাঁদের আলো চোখেই পড়তো না। আর এখানে এসে রাতের বেলা চাঁদের আলোয় পথ চলছি।
বাসায় মিস্ত্রী কাজ চলছে, সাধারণত কাজ চলাকালীন অবস্থায় বাসার অবস্থা খুব খারাপ থাকে ঠিকমতো কোথাও বসে থাকা যায় না। তাই বিকালে একটু বের হয়েছিলাম আশেপাশের এলাকাটা ঘুরে দেখার জন্য। সবুজের মাঝখান দিয়ে পথ চলতে মন্দ লাগলো না। ছেলে মেয়েদের নিয়ে মেঠো পথে হাঁটতে হাঁটতে হারিয়ে গেলাম সবুজের মাঝে।
সবুজের মাঝে সোনালী ফসল এ যেন চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য্য। আমার ছোটবেলাই যখন গ্রামে গিয়েছিলাম তখন দৃশ্যপট ভিন্ন ছিল। তখন ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে সেচ দেওয়া হতো। এখন সব জায়গায় ইলেকট্রিক মোটর নাহয় ডিপ মেশিন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আবারও ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়ে যাবে। এই সময় গ্রামীণ জনপদে যে কর্ম চাঞ্চল্য শুরু হয় সেটা বেশ চোখে পড়ার মতো।
বাচ্চারা গ্রামীণ পরিবেশে খোলামেলা জায়গায় ঘুরতে অনেক আনন্দ পাচ্ছিল, ওদের দেখে সেটা ভালোভাবেই বুঝতে পারছিলাম। আমার ছোট সেনাপতি সবাইকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ওর উচ্ছ্বাসটাই সবচেয়ে বেশি ছিল কোনভাবেই ওকে আটকে রাখা যাচ্ছিল না। আমিও ছেড়ে দিয়েছিলাম, মনের আনন্দে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করুক। এরকম খোলামেলা পরিবেশ তো কখনো পায় না। বন্দী জীবন হয়তো ওদেরও ভালো লাগেনা। মুক্তির আনন্দ চোখে মুখে খুঁজে পেয়েছি ওদের।
বেশ কিছুক্ষণ পথ চলার পর এক জায়গায় বসে ছিলাম। বসে থাকতেই মাগরিবের আজান দিয়েছিল। সন্ধ্যা যখন ঘনিয়ে আসলো তখন বাসার দিকে রওনা দিলাম। আশেপাশে কোথাও মসজিদ ছিল না। যে জায়গা গুলো কয়েক বছর আগেও ফাঁকা ছিল এখন বেশ কিছু নতুন বাড়ি ঘর চোখে পড়ল। বাসায় ফিরে মাগরিবের নামাজ আদায় করে মিস্ত্রির কাজ বুঝে নিলাম।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 |
---|---|
ফটো | @mayedul |
লোকেশন | w3w location |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার এক কথাই বুঝে গেছি বংশের প্রদীপ না থাকলে অন্ধকারে ঘিরে যায়। নিজের জায়গাটুকু বেদখলে পড়ে। তবে একটা কথা অস্বীকার করার কিছু নেই, পরের সম্পত্তি যে ভক্ষণ করবে তাকে তার হিসাব দিয়ে দিতে হবে হাশরের ময়দানে। আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সান্নিধ্য পেতে কে না চায়। আপনার বাচ্চার আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখেই বুঝা যাচ্ছে। দোয়া করি যত তাড়াতাড়ি আপনার ঝামেলাগুলো সমাধান হয়। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।