কর্তব্য পালনে যেতে হয়েছে অনেকদূর ||পর্ব -৩||

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।

তৃতীয় পর্ব

Picsart_22-11-05_23-23-25-613.jpg

বাসায় ফিরে যখন মাগরিবের নামাজ শেষ করে বাইরে বের হলাম তখনও মিস্ত্রিরা কাজ শেষ করে সব কিছু গুছিয়ে রাখছে। সাধারণত আমরা শহরে সন্ধ্যার পর মিস্ত্রিদের কাজ করতে দেখি না। এখানে সব নিজস্ব লোকজন তাই একটু মন লাগিয়ে কাজ করা আর কি। অবশ্য বেশির ভাগই আমার শ্বশুর হবে হয়তো। তাছাড়া শশুর এলাকায় মুরুব্বিদের সবাই শশুর আর ছোটরা সবাই তো শালাই হবে তাই না, আস্তে করে বললাম হা হা হা। সন্ধ্যায় চা চক্র শেষ করে বাইরে উঠানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ঠান্ডা হাওয়া খাচ্ছি। সেদিন ছিল পূর্ণিমা রাত ঠিক যেন ঝলসানো রুটি।

20221116_000232.jpg

শীতের রাত না হলে হয়তো চাঁদটা আরো স্পষ্ট দেখা যেত। সেদিন পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখে খুব ভালো লেগেছিল। কারণ শহরে এভাবে চাঁদের আলো চোখে পড়ে না চারিদিকে শুধু বৈদ্যুতিক লাইটের আলো। চাঁদের আলো টিনের উপর পড়ে অন্যরকম এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে। যাইহোক রাত্রে খাওয়া দাওয়া শেষে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছি । গ্রামে সকাল যেমন একটু তাড়াতাড়ি শুরু হয় তেমনি এশার নামাজ শেষে সবাই খাওয়া-দাওয়া করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে।

20221115_235023.jpg

গ্রামের বাড়ির সৌন্দর্য আসলে এগুলোই। আমিও আমার শ্বশুরকে বলে দিয়েছি এরকম একটি হাঁসের খামার করতে হবে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে পুকুরের পাশে দাড়াতেই দেখলাম হাঁসের দলটা লাফিয়ে পুকুরে নামছে। এদিকে ধরলার একটি শাখা নদী আছে। মৃতপ্রায় কিন্তু প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে অনেক পানি হয় এখানে। বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ দিয়ে অনেকে মাছ চাষ করে। সেটা পরিমাণে খুবই সামান্য, অনেকটা এলাকা জুড়ে উন্মুক্ত যে জায়গা সেখানে দেশীয় অনেক মাছ পাওয়া যায়। এই নদীর পাশে অনেক বড় একটি পুকুর আছে সেখানেও হাঁসের খামার অনায়াসেই করা যাবে।

20221118_171624.jpg
20221118_171553.jpg

কোনভাবে থাকার মত অবস্থা হয়েছে, ভেতরে বর্ধিত যে অংশটি সেটার কাজ এখনো বাকি আছে। আবার ওপাশে সুপারির বাগানে অনেক গাছ লাগাতে হবে। ভাবছি একটা লটকনের বাগান করবো এদিকটায়। বেশ কিছু গাছ কেনা হয়েছে। শহরের বাড়িতে এরকম বাগান করার সুযোগ না থাকায় আমি কিছু করতে পারিনি। এখন দেখি কিছু করা যায় কিনা। তবে তার আগে জমি জমা নিয়ে যে ঝামেলা সেটা মিটিয়ে ফেলতে হবে।

20221114_182302.jpg

এই জায়গাটা ধরলার শাখা নদী মৃতপ্রায় কিন্তু উন্মুক্ত সকলেই এখানে ইচ্ছামত মাছ ধরতে পারে। প্রচুর মাছ পাওয়া যায় এই ছরার মধ্যে। আমার শশুরের অনেক বড় একটা জায়গা আছে এইখানে। সেখানে আলাদাভাবে মাছ চাষ করা যায় কিনা সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। আর কিছুদিন পর পানি একটু কমে গেলে এখানে প্রচুর শোল মাছ পাওয়া যাবে। বিকালে হাঁটতে এসে স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে পারলাম। শুনে খুব লোভ লেগে গেল কারণ শোল মাছ আমার খুব প্রিয়।

20221114_182423.jpg
20221114_182344.jpg
20221114_181202.jpg

দাসের হাট ছরার এই অংশটা কয়েক'শ একর খাস জমি। এখানে অনেকেই বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে। এই জায়গা গুলো অবশ্য সরকারের কাছে লিজ নেয়া থাকে। দাসের হাট ছরার এইখানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত ছিল। এখানে ছাড়াও আরো একটি জায়গা নিয়ে টানাটানি চলছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কোথায় কার্যকর হয়। আমাদের এখানে হলেও ভালো না হলেও ভালো। যদি হয় তাহলে একদিকে আমাদের যেমন অনেকগুলো জমি নষ্ট হয়ে যাবে। অপরদিকে বাণিজ্যিকভাবে কিছু করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। পুকুর পাড় দিয়ে অনেক দূর হেঁটে এসেছিলাম, আরো কিছুদূর যেতে পারতাম যদি মাগরিবের আযান না দিত। এই ধরনের জায়গায় ঘুরে বেড়াতে আমার বেশ ভালই লাগে।

বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি A-10
ফটো@mayedul
লোকেশনw3w location

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif


আমাদের উইটনেসকে সাপোর্ট করুন

"Please support Bangla Witness"


https://steemitwallet.com/~witnesses




VOTE @bangla.witness as witness
witness_proxy_vote.png
OR

SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  
 2 years ago 

হাহাহাহাহা আস্তে করে বললেও আমি শুনেছি 🤣, ঠিক বলেছেন শ্বশুরবাড়িতে মুরুব্বীরা বেশিরভাগই শ্বশুর হয় এবং ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা শালাশালি হয়ে থাকে। যাই হোক ভাই আপনি কিন্তু একেবারে ঠিক বলেছেন শহরে চাঁদের আলো খুব একটা বোঝা যায় না, চার দিকে লাইটিং এর কারণে। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে চাঁদের আলো বেশ উপভোগ করা যায় । এটাও ঠিক বলেছেন ভাইয়া যে গ্রামের বাড়িগুলোতে সকাল বেশ তাড়াতাড়ি হয়। এবং রাতও কিন্তু বেশ তাড়াতাড়ি হয়।আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দর হয়েছে।

 2 years ago 

যাক আলহামদুলিল্লাহ, থাকার মতো তো ব্যাবস্থা হলো। ইনশাআল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি আরো সুন্দর হয়ে উঠবে বাড়িটি। আর হাঁসের খামার গড়ে উঠুক এই কামনা করছি। শাখা নদীতে শোল মাছ রয়েছে শুনে ভীষণ ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে গ্রামের পুরো পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 63862.88
ETH 2754.56
USDT 1.00
SBD 2.64