পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সূর্যাস্ত দেখার মুহূর্ত - ||গোধূলি লগ্ন||
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
বাচ্চারা খুব চমৎকারভাবে নির্ভয়ে, ঘোড়ার পিঠে চড়ে সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদেরকে দেখে আমার ছেলে মেয়েদের কথা মনে পড়ে গেল। মনে হতে লাগলো ওদেরকে নিয়ে আসলে ভালোই হতো। সবাই মিলে সৈকত অনেক আনন্দ করতে পারতাম আবার একসঙ্গে সমুদ্রের পানিতে ভিজতেও পারতাম। সেটাতো হবার নয় অযথা ভেবে মন খারাপ করার দরকার নেই তাই ঘোরাঘুরি দিকে মনোনিবেশ করলাম।
সমুদ্র দেখতে এসেছি কিন্তু সমুদ্রের পানিতে পা না ভেজালে কি আর চলবে। আগে থেকে নামার কোন পরিকল্পনা ছিল না থাকলে হয়তো থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট নিয়ে আসতে পারতাম। যাইহোক যতটুকু প্যান্ট উপরে তোলা যায় সেই পর্যন্ত নেমে গেলাম। আজকে সমুদ্র অনেক শান্ত ছিল কিন্তু মাঝে মাঝে যখন স্পিড বোটগুলো যখন এদিক দিয়ে যায় তখন আচমকা ঢেউ এসে আমার প্যান্ট ভিজিয়ে দিয়ে গেল।
গোধূলি লগ্নে এই দৃশ্যগুলো আমার কাছে সব সময় খুব ভালো লাগে। সেই ভালো লাগে থেকেই আমি সবসময় আমার শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধরলা নদীর পাড়ে ঘুরতে যাই। নদীর পাড়ে সেই মুহূর্তে ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে। নদীর পাড়ে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখা আর সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখা বিস্তর ফারাক। পতেঙ্গায় যদি এত বড় বড় জাহাজ নোঙ্গর করা না থাকতো তাহলে হয়তো আরো বেশি ভালো লাগতো। এখনো কিন্তু কম ভালো লাগছে না আমার কাছে এই দৃশ্য গুলো। পশ্চিম আকাশে যদি জাহাজের আবরণ না থাকতো তাহলে পুরো আকাশের রক্তিম বর্ণ পানির সঙ্গে মিশে যাওয়া দেখতে পাওয়া যেত।
দেখতে দেখতেই চোখের সামনে দিয়ে সূর্য হারিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী থেকে। সূর্য যত ধীরে ধীরে পশ্চিম আকাশে ডুবে যাচ্ছে ততই আকাশ সমুদ্রের সৌন্দর্য ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই দৃশ্য গুলো আসলে কোনোভাবেই বর্ণনা করার কোন সাধ্য নেই। আমি দাঁড়িয়ে থেকে সূর্যাস্তের সময় সমুদ্রের যে সৌন্দর্য উপভোগ করেছি তার ছিটেফোটাও এখানে দেখাতে বা বর্ণনা করতে পারছি না। কখন যে প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি বুঝতেই পারিনি। দাঁড়িয়ে থাকতে মনে হল সূর্য যাওয়ার সময় হাতছানি দিয়ে আমাকে ডাকছে। আমিও চলে যাচ্ছি তার পিছু পিছু আর কিছুক্ষণ পর নিজেকে আবিষ্কার করলাম সান্ধ্যকালীন সময়ে। কোন কিছুই ঠিক মত দেখতে পাচ্ছি না শুধুমাত্র পশ্চিম আকাশে দেখছি কি অপর দৃশ্য। নিজেকে হারিয়ে ফেললাম আর কোন ভাষা নেই আমার কাছে।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 |
---|---|
ফটো | @mayedul |
লোকেশন | পতেঙ্গা সৈকত,চট্রগ্রাম |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
চট্টগ্রাম সমুদ্র সৈকত পতাংগা আর এই জায়গাতে আমি ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সত্যিই সূর্য অস্ত যাওয়ার মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে খুব ভালো লেগেছে। আজকে ফটোগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো।
আমার কাছেও সূর্যাস্তের দৃশ্য গুলো খুব ভালো লেগেছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনারা তিন বন্ধু মিলে সমুদ্র সৈকতে দারুণ একটা সময় কাটিয়েছেন। সত্যিই তো ভাইয়া সমুদ্র সৈকতে যাবেন আর পা ভিজাবেন না তা কি করে হয়। সূর্য পশ্চিম আকাশে ডুবে গেলে সমুদ্রের সৌন্দর্য ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এই দৃশ্য গুলো দেখতে আসলে সুন্দর। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মূহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
বাহ দারুণ একটা দৃশ্য দেখতে পেলাম। এই সুন্দর মুহূর্ত স্বচক্ষে কখনো দেখা হয়নি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। সত্যি আমাদের বাংলাদেশ কতই না সুন্দর। এই সুন্দর দৃশ্য স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়ার জন্য তিন কলিগ মিলে ছবি তুলে রেখে খুব ভালো কাজ করেছেন। কখনো সেই মুহূর্ত মনে হলে একবার দেখে নেবেন।ধন্যবাদ সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
নদীর পাড়ে এরকম সূর্যাস্ত দেখতে আমার কাছে ও ভীষণ ভালো লাগে। বেশ কয়েকদিন আগেও আমি পতেঙ্গা গিয়েছিলাম ঘোরার জন্য। ওই জায়গায়টি কিন্তু আমার ভীষণ পছন্দের। ওখানে যাওয়ার ফলে মনটা ভালো হয়ে যায়।আপনারা তিন বন্ধু দেখছি খুবই ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন। আমার কাছে এরকম ঘোরাঘুরির পোস্টগুলো পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি ঘুরতে গিয়ে বেশি দারুন দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন।সূর্য অস্ত যাওয়ার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি কিন্তু খুবই মনোমুগ্ধকর ছিল যেগুলো দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি এবং আপনার দুই বন্ধু আপনারা তিনজন মিলে দেখছি তো খুবই ভালো একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। তার সাথে সাথে সূর্য অস্ত যাওয়ার বেশ দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন। সমুদ্রের মাঝে এরকম দৃশ্য দেখতে কার না ভালো লাগে। আমিও পতেঙ্গা গিয়েছিলাম কয়েকদিন আগে। খুবই ভালো একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম সেখানে গিয়ে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার কাটানো এত সুন্দর একটি মুহূর্ত এবং দারুন দারুন ফটোগ্রাফি সকলের মাঝে সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য।