পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সূর্যাস্ত দেখার মুহূর্ত - ||পড়ন্ত বিকেলবেলা||
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
সিএনজিতে ওঠার পর ড্রাইভার সাহেব বললেন এখন সব কলকারখানা ছুটি হয়ে গেছে শহরের ভিতর দিয়ে গেলে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল, আমি বললাম সন্ধ্যায় গিয়ে লাভ কি ফাঁকা রাস্তা খুঁজে সেদিক দিয়ে চলে যান। শুনে ড্রাইভার সাহেব গাড়ি ইউটার্ন করল। শহর পেরিয়ে সমুদ্রের পাশ দিয়ে নতুন রাস্তা সরাসরি পতেঙ্গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে গিয়ে লেগেছে। সমুদ্রের পাশ দিয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলছে, নতুন সংযোগ সড়ক খুব একটা গাড়ি চোখে পড়ল না রাস্তায়। কিন্তু সমুদ্র দেখতে দেখতে নতুন রাস্তা দিয়ে পতেঙ্গা পৌঁছাতে বেশ ভালই লাগলো। অনেক উপভোগ করেছি সেই সময়টুকু সিএনজি থেকে নামলাম টানেলের সামনে নতুন রাস্তার মোড়ে।
পড়ন্ত বিকেল বেলা সূর্যের তির্যক রশ্মি আমাদের চোখে পড়ছে আর জানান দিচ্ছে আমি অস্ত যেতে চলেছি। আমি অনেক উৎফুল্ল ছিলাম সূর্যাস্ত দেখব বলে। সময় মতো পৌঁছাতে পেরেছি তাই মনে মনে অনেক খুশি হলাম। বছরের অন্যান্য সময় সমুদ্র সৈকতে এত ভিড় থাকে না তখন খোলামেলা পরিবেশে খুব ভালোভাবে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। শীতের সময় প্রচুর ভিড়ের জন্য ঠিকমতো হাঁটাই যায় না সৈকতে। তাছাড়া সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য প্রচুর আয়োজন আছে এখানে। নামার সাথে সাথেই ঘোড়ার গাড়ি ডাকা শুরু করল ঘুরতে যাবেন কিনা।
অপরদিকে সারিবদ্ধ ভাবে বাইক রেডি করা আছে সৈকতে ঘুরার জন্য। এখানে সবকিছু অনেক কমার্শিয়াল জনপ্রতি ১০০ টাকা করে লাগে ঘুরতে। এটা খুব স্বাভাবিক কিন্তু আমার কাছে অবাক লেগেছে বাইকে ফটো তুলতে ২০ টাকা করে লাগবে এটা শুনে। যাইহোক পয়সা উপার্জন করার জন্য তারা এখানে এসেছে যে যেভাবে পারে উপার্জন করুক তাতে আমার মাথা ব্যাথা নেই। আমি স্মৃতিটুকু ধরে রাখার জন্য ঝটপট কিছু ফটো নিয়ে নিলাম।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের খুব খুব কাছেই বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর অবস্থিত। তাই এখানে ছোট বড় অসংখ্য জাহাজ নোঙ্গর করা আছে। দূরে তাকালে ঠিকমত সমুদ্রের নোনা পানি দেখা যায় না। তাছাড়াও প্রচুর স্পিডবোট আছে দর্শনার্থীদের নিয়ে সমুদ্রে কিছুটা সময় ভ্রমন করার জন্য। এখানেও ১০০ টাকা করে লাগে জনপ্রতি ঘুরে আসতে। আমার কাছে খুব বেশি মনে হলো না স্পিড বোটে উঠে সমুদ্র ভ্রমণ এ এক নতুন অভিজ্ঞতা।
দেখতে দেখতে একদম সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে কিছুক্ষণ পরেই সেই মহেন্দ্রক্ষন। সমুদ্র পাড়ে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখতে কার না ভালো লাগে আমিও আছি সেই অপেক্ষায় কখন সূর্য অস্ত যাবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সূর্য অস্ত যাবে আমরা সকলে অপেক্ষা করছি সূর্যাস্ত দেখব বলে। আপনারাও থাকুন আমার সাথে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 |
---|---|
ফটো | @mayedul |
লোকেশন | পতেঙ্গা সৈকত,চট্রগ্রাম |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
বেশ কয়েকদিন আগে আমি আমার বড় খালাতো ভাইকে এয়ারপোর্ট থেকে আনার সময় পরিবারের সবাই মিলে পতেঙ্গা গিয়েছিলাম ঘোরার জন্য। এয়ারপোর্টও যাওয়া হবে আবার সেখানে ঘুরাও হবে। আমি বেশ কয়েকবার সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আপনি দেখছি খুবই ভালো একটি সময় অতিবাহিত করেছেন পতেঙ্গা গিয়ে। খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখছি। আসলে পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। এরকম ঘোরাঘুরি পোস্ট আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর একটি সময় কাটানোর মুহূর্ত সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই গিয়েছিলাম অফিসের কাজে তাই সুযোগ বুঝে ঘুরে আসলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে খুবই চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলেই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে এগিয়ে যদি সূর্যাস্ত দেখতে না পারি তাহলে সেখানে গিয়ে কি লাভ হতো, অবশেষে ড্রাইভারকে বলিয়ে অন্য আরেকটি পথ ধরে আপনারা একদম সঠিক সময়ে সেখানে গিয়ে পৌঁছেছেন এবং সূর্যের তীর্যক রশি আপনাদের চোখে লেগে পড়েছে, যার কারনে আপনি বুঝতে পেরেছেন সঠিক সময় সেখানে পৌঁছেছেন। আসলে গাড়ির ছবি তুলতে ২০ টাকা নেবে এটা ভেবে সত্যিই আমি নিজেও অবাক হয়ে গিয়েছি। যাইহোক আপনার সুন্দর মুহূর্তটা দেখে খুবই ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাই সব জায়গায় কমার্শিয়াল হয়ে গিয়েছে।
বর্তমানে পরিস্থিতিতে জীবিকা নির্বাহ করা খুব কঠিন।
তাই যে যেভাবে পারে ইনকাম করে নিচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত আমার প্রিয় জায়গার অন্যতম। কত বিকেল থেক সন্ধ্যা যে কাটিয়েছি! এখনও চট্রগ্রাম গেলে কিছু সময় বের করে একবার ঘুরে আসি। আপনি সূর্যাস্ত দেখেছেন পতেঙ্গা সৈকতে। সে এক দারুণ অনুভূতি। শুভ কামনা আপনার জন্য।
সূর্যাস্তের মুহূর্তগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
যদি সেটা হয় সমুদ্র সৈকতে তাহলে তো কথাই নেই।
শুভকামনা রইলো।
গত ১৮ তারিখে আমরাও পতেঙ্গা ঘুরতে গিয়েছিলাম। আসলে মূলত আমরা গিয়েছিলাম এয়ারপোর্টে। যেহেতু এয়ারপোর্ট থেকে পতেঙ্গা অনেকটাই কাছাকাছি এই জন্য এখান থেকেও ঘুরে আসলাম। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন এখানের অনেক কিছুই টাকা দিয়ে ঘুরতে হয়। স্পিডবোর্ডে ও টাকা দিয়ে ঘুরতে হয় আবার বাইক গুলোর কথাও ঠিক বলেছেন। আবার এখানে ঘোড়া ছিল সেগুলোতে উঠতেও টাকা লাগে। যাইহোক ওরা ওদের কাজ করছে আর কি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। আমিও বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম।
হ্যাঁ টাকা ছাড়া দেখছি কিছুই হয় না ।
যাইহোক অত কিছু আয়োজন না থাকলেও আবার খারাপ লাগতো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
যেকোনো সমুদ্র সৈকতে সূর্যাস্ত দেখার আনন্দই আলাদা। আমি অনেক আগে পতেঙ্গা গিয়েছিলাম। তবে সূর্যাস্ত দেখেছি কিনা মনে নেই। কিন্তু এতটুকু মনে আছে সমুদ্রের ঢেউ গুলো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আজকে আবার আপনার এই পোস্ট দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। যাই হোক কাজের ফাঁকে বেশ ঘোরাঘুরি হয়েছে তাহলে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
স্মৃতির পাতা থেকেই সূর্যাস্ত দেখার অনুভূতি হারিয়ে গেছে আপনার।
তাহলে তো আর দেরি করা যায় না খুব দ্রুত ঘুরে আসার পরিকল্পনা করেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ্ আপনি তো অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়ে। আমার কাছে একটা জিনিস খুবই অবাক লাগলো বাইক গুলোর ছবি তুলতে ২০ টাকা লাগবে। তবে সাগরের পাশ থেকে বিকেল বেলা সূর্য ডুবে যাওয়ার দৃশ্যটি দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে আপনার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখার মুহূর্তগুলো আসলেই অনেক উপভোগ করার মত হয়।
ছেলেটি জিজ্ঞাসা করল স্যার বাইকে ঘুরবেন নাকি আমি বললাম না ফটো নেব, বলল ২০ টাকা লাগবে হা হা হা।
ধন্যবাদ আপনাকে।