পুকুরপাড়ে শীতকালীন শাক-সবজি চাষ
প্রাণ প্রিয় বন্ধুগণ, আশাকরি মহান আল্লাহতালার অশেষ রহমতে সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন । আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি । |
---|
শীতের শুরু থেকেই বাজারে শুরু হয়ে যায় শীতের শাক সবজির আনাগোনা । প্রথমে তো দাম শুনেই খাবার কথা ভুলে যাওয়ার জোগাড় । তারপরেও যদি স্বাস্থ্যগত দিকে চিন্তা করা যায় তবে উচ্চদরে বিষ কিনে খাওয়ার কথায় যেন ঘুরে ফিরে মাথায় আসে । সাধারণত সময়ের আগেই যেই সবজি গুলো বাজারে আসে তাতে প্রচুর পরিমাণে কিটনাশক সহ একাধিক উপাদান প্রোয়োগ করা হয়ে থাকে তা মোটেও আমাদের শরীরের জন্য সুখকর নয় । যেহেতু গ্রামে বসবাস করছি তাই এগুলো সম্পর্কে জানতে বেশিদূর যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনা । কিন্তু আসল কথা হলো খেতে তো হবে । বাজারে সবজি ছাড়া বিকল্প পথ কি ? এর সমাধানে বন্ধু @sumon09 এর সাথে আলাপ চারিতার এক দিনে উঠে এলো তাদের পুকুর পাড়ের অনেকটা জমি খালি পড়ে আছে সেখানে দুজনে মিলে কিছু শীতকালীন শাক-সব্জি চাষ করা যায় কিনা । দুজনেরই যেহেতু একই অবস্থা সারাদিন সময় নেই শুধু বিকেল বেলাটা যদি একটু এখানে পরিশ্রম করি তাহলেই শীতকালীন সবজি গুলো খাওয়া যাবে কোন প্রকার বিষ প্রয়োগ ছাড়ায় । যদিও কিছুটা সময় পার হয়ে গেছে তারপরেও পিছু না হটে প্লান অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিলাম ।
আমাদের এখানে শীতকালীন সবজির মাঝে কমন হলো মুলা, পালং শাক, ধনিয়া, লাল শাক, কলমি শাক, গাজর, টমেটো, বেগুন,শিম, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, শসা যার প্রতিটায় অল্প বেশি বীজ এনে ফসল ফলানোর চেষ্টা করছি । কিছুটা সফলতার মুখ দেখছি, কিছুটা মাটির নিচে আর কিছুটা এখনো প্যাকেটেই রয়ে গেছে ।
আমার মনে হয় শীতকালীন সবজি বাজারের প্রধান সবজি হলো মূলা । তবে আমাদের উদ্দেশ্য মুলার চেয়ে মূলার শাকের গুরুত্ব বেশি তার প্রধান কারণ হতে পারে আমাদের পার্শবর্তী কোন বাজারেই মূলার শাক পাওয়া যায় না । এত স্বাদের একটা শাককে এলাকাবাসী গরু-ছাগলের খাবার মনে করে ।
সাধারণত পুকুর ভর্তি পানি থাকলেও পুকুরের পাড় অত্যান্ত শুষ্ক আর যদি হয় শীতের শুরু তাহলে যে এই মাটি কতটা রুক্ষ হতে পারে তা কল্পনার অতীত সেখানে লালশাকের চাষ একরকম কঠিন ই বলা যায় । তবে অসম্ভব নয় । প্রায় পুরোটা চাষকৃত জমি জুড়ে লাল শাকের বীজ ছড়ানো হয়েছিল । এবং তার থেকে অনেকগুলো চারা জন্মেছে ।
এখন পুরোপুরি ডাউল ফসল কলায়ের সীজন । আর আমাদের এখানে একটু পালং এর ক্ষেত গড়ে উঠবে না ভাবা যায় ?
বাজারে অনেক খোজাখুজি করে আমার সব চেয়ে পছন্দনীয় দেশি ছোট টমেটোর চারা খুজে পায়নি । তবে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানোর মত সুমন হাইব্রীড জাতের টমেটো চারা কিনে এনেছে । এখন এগুলো যত্ন-আত্তি করে বড় করার চেষ্টা চলছে ।
বেগুণকে পুরোপুরি শীতকালীন সবজি বলা ভুল হবে । এটা তো এখন সারা বছরই পাওয়া যায় সমান ভাবে । তবে শীতকালীন বেগুণের স্বাদটা সব সময় আলাদা । তাই এর স্বাদ নিতে ভুল করার ইচ্ছে নেই ।
প্রিয় বন্ধুরা এগুলো ছিল আমাদের চাষকৃত সবজি বাগানের একাংশের বর্ণনা । এখনো অনেকটা যায়গা পড়ে আছে । অনেক কিছু করার ইচ্ছে । পরবর্তীতে সেগুলো নিয়ে আলাপ করা যাবে । আজকের মত এখানেই ইতি টানছি ।
ধন্যবাদান্তে | @maruffhh |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ | mobile |
মোবাইল নেমঃ | redmi 6a |
ক্যামেরাঃ | 8mp |
বাজার থেকে সবজি দামও যেমন তেমনি ফরমালিনে ভরপুর।নিজেরা যদি কিছু করা যায়, তাহলে তো আর কথাই নেই।পুকুর পাড়ের কিছু সুন্দর আপনারা বীজ বপন করেছেন,আস্তে আস্তে আশার আলো দেখেছেন। আসলে প্রতিটি মানুষ যদি এভাবে সবজি চাষ করতো পরিত্যক্ত জমিতে, তাহলে বেশ ভালো হতো।
আমাদের গ্রামের মত অনেক স্থানেই এমন জমি খুজলে হয়তো পাওয়া যাবে । একটু ইচ্ছাশক্তি আর সময়ের প্রয়োজন তাহলেই সম্ভব । আমরা মূলত সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি ।
বর্তমানে সবজি যে দাম তাতে পুকুর পাড়ে সবজি চাষ করা এর থেকেও ভালো কিছুর হতে পারে না। আপনি খুবই একটা সুন্দর কাজ করেছেন পুকুরপাড়ে সবজি চাষ করে। আসলে একটু কষ্ট করতে পারলে আমরা সবজি গুলো কিন্তু বিষমুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর সবজি খেতে পারি।অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর একটি পরিকল্পনা করে সবজি চাষ করার জন্য।
পরিকল্পনা শতভাগ, কার্যক্রম ৫০% এবার এটা ধরে রাখতে পারলেই সফলতার আশা রাখা যায় বিশুদ্ধ খবার খাওয়ার জন্য ।
কিছুদিন পরে তো আর আপনাদের শাকসবজি কিনে খেতে হবে না। বিভিন্ন ধরনের শাক লাগিয়েছেন দেখছি ।বেশ ভালোভাবে এগুলো বড়ও হচ্ছে। আশা করি এই শীতের সিজন নিজের জমির শাক-সবজি খেয়েই পার করে দিতে পারবেন। ঠিকই বলেছেন সিজনের আগে যে সবজি গুলো বাজারে আসে সেগুলো উচ্চ মাত্রায় কীটনাশকই দেয়া থাকে। তা না হলে সিজনের আগে কিভাবে সম্ভব। যাই হোক খুব ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি কথা বলতে আমাদের পুরো গ্রামটা এমন ভাবে সাজানো যে প্রতিদিনের খাবারের জন্য অন্য কোন বাজারে যাওয়ার প্রোয়োজন পড়বে না । সঠিক পরিকল্পনার অভাবে অনেক জমি পরিত্যাক্ত প্রায় । আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা তার কিছু অংশ কাজে লাগানোর জন্য ।
সবজির দাম যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে যদি নিজের প্রচেষ্টায় সবজি চাষ করা হয় তাহলে অনেক ভালো হবে। একদিকে টাটকা সবজি খাওয়া যাবে অন্যদিকে নিজের পড়ে থাকা জায়গা জমি কাজে লাগবে। সুমন ভাইয়া আপনাকে ভালোই বুদ্ধি দিয়েছে। যাইহোক আপনার গড়ে তোলা সবজি বাগান দেখে ভালই লাগলো।
দারুণ একটা উদ্যোগ নিয়েছেন আপনি আর সুমন ভাই শুনে ভালো লাগলো।বাজারের ফরমালিন যুক্ত এবং কীটনাশক যুক্ত খাবার না খেয়ে যদি এভাবে চাষ করে ফ্রেশ খাবার খাওয়া যায় তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।শাক সবজি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে।
আপনার পরিকল্পনাকে আমি সাধুবাদ জানাই। অল্প অল্প করে অনেক রকমের সবজি চাষ করলেন। বাজারে শাকসবজি বিভিন্ন ধরনের জিনিসের যে দাম। সেই হিসাবে একটু একটু করে কিছু চাষ করলে খুব ভালো এবং স্বাস্থ্যর জন্য অনেক উপকারী। ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
আপনারা দুই বন্ধু মিলে একদমই ঠিক কাজ করেছেন। বিশেষ করে এখন প্রত্যেকটা জিনিসের আকাশচুম্বী দাম। তার সাথে প্রত্যেকটা সবজি বলেন ফল বলেন সবকিছুতেই ফরমালিনযুক্ত। যাকে নে খাওয়ার থেকে না খাওয়াই ভালো। আসলে নিজেরা যদি সবজি ক্ষেত করে এমনকি সেখান থেকে সবজি খায় তাহলে তার থেকে ভালো আর কি হতে পারে। আপনাদের পুকুর পাড়ে করা সবজি ক্ষেত দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
বাহ্ আপনিতো বেশ ভালোই হর্টিকালচার শুরু করেছেন শীতকালে। যে শাকগুলো চাষ করছেন তার মধ্যে মূলো শাক আর লাল শাক আমার খুব ভালো লাগে। তবে এখনকার লাল শাক আর আগের মত ভাত মাখলে ভাত লাল হয় না, যেটার জন্য দুঃখ হয়। আমার কাছে তো লাল শাক দিয়ে ভাত মাখলেই ভাত লাল হয়ে যেতো সেটা একটা বিস্ময়কর ব্যাপার ছিলো। 😁
তখনকার লালশাক সাধারণত হাইব্রীড ছিল না দেশীয় শাক যার ফলন ছিল কম কিন্তু স্বাদে, গন্ধে, বর্ণে ছিল অতুলনীয় আমিও অবশ্য সেই সব বীজ খুঁজছি । খুঁজে পেলেই বপন করবো ।