আমার বাংলা ব্লগ:- আমার জীবনে প্রথম ঢাকা সহরে যাওয়ার অনুভূতি,,,

কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই অনেক ভালোবাসে এবং সুস্থ আছেন আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি আজকে আপনাদের মাঝে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি স্মৃতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছে আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আসলে আমি একজন গাঁয়ের ছেলে সেই পল্লীগ্রামে আমার বাড়ি আমার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলা কলারোয়া থানা সোনাবাড়িয়া গ্রাম এক কথায় বলা যায় ঢাকা থেকে অনেক দূরের পথ।

আসলে আমাদের ওই পাড়া গায়ে থেকে আগেকার দিনে যদি কেউ ঢাকাতে আসতো আসলে সে অনেক গর্ব বোধ করত জেনা সে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহর ঘুরে এসেছে বা ঢাকা শহরে গিয়েছ।

ছোটবেলা থেকে যখন আমি স্কুলে পড়তাম আমিও ভাবতাম বড় হয়ে আমি একদিন ঢাকা দেখতে যাব যা আসলে ঢাকা কেমন কেমন আমাদের বাংলাদেশের রাজধানী। অবশেষে সেই সময় আসলো যে সময়টা আমার ঢাকা যাওয়ার পালা।

সম্ভবত আমি তখন ক্লাস এইটে পড়ি আমার আব্বু প্রতি সপ্তাহে দুই একবার ঢাকা আসতো ব্যবসার কাজে অনেক বলেছি আব্বুকে যাব আমি একটু দেখতে যাব ঢাকা শহর কেমন পরে একদিন হঠাৎ করে আপু বলল ঠিক আছে আমরা আজকে পুরো পরিবার সহ ঢাকা শহরে যাবো ঢাকায় যাব।

আসলে তখন মনের ভিতর এত আনন্দ হচ্ছিল যে সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না যে আমার জীবনের একটা স্বপ্ন ঢাকা শহর ঘুরে দেখব তারপর সবাই বাড়ি থেকে গোছগাছ করে অনেক সুন্দর করে নতুন জামাকাপড় পড়ে পায়ে বুট জুতা পায়ে দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে।

অবশেষে আমাদের কলারোয়া থানায় যে বাস কাউন্টার রয়েছে সেখান থেকে আব্বু আমাদের চারজনের জন্য চারটি টিকিট কাটল তখনকার সময়ে আমাদের কলারোয়া থেকে ঢাকায় আসতে সাড়ে 300 টাকা ভাড়া লাগবে আমি আমার আম্মু আমার ছোট ভাই এবং আমার আব্বু আমরা চারজন।

যখন গাড়িতে বসলাম আসলে কি আনন্দ যে লাগছে যে এত সুন্দর বাসে আগে কখনোই বসিনি দেখেছি যখন স্কুলে যেতাম আমার নানার বাড়ি যেতাম তখন ওই ভালো ভালো বাস গুলো দেখতাম আর বলতাম মনে মনে কবে যে উঠতে পারব।

গাড়ি চলছে তো চলছে এভাবে চলতে চলতে একসময় আমরা বইয়ের পাতায় যে পদ্মা-মেঘনা-যমুনার কথা শুনেছি সেই নদীর ঘাটে এসে পৌছালাম আসলে জীবনে দেখা কখনো শেষ হয় না সেই ছোটকাল থেকে পড়ে আসি বইতে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা নামে আমাদের দেশে নদী আছে কিন্তু কখনই দেখিনি অবশেষে ঢাকায় আসার পথে সেই নদীটিও দেখে নিলাম

অনেক ভালো লাগছে অনেক আনন্দ করছে আব্বু অনেক ধরনের খাবার কিনে এনে দিয়েছে আমরা বাসের ভিতরে বসে বসে থাকছি অফ সময় ঢাকা গিয়েছিলাম বাস থেকে নেমে আব্বু একটি হোটেল ভাড়া করল হোটেলে গিয়ে আমরা সবাই ক্লাব এবং যখন সন্ধ্যা আটটা বাজে তখন আব্বু বললো চলো সবাই খেয়ে আসি

তখন অনেক সুন্দর একটি খাবার হোটেলে আমরা চার ইমামের খেতে বসলাম খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ওই দিনকে তো অনেক রাত হয়ে গেছে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হলো না পড়ে ঘুমিয়ে পড়লাম এবং খুব সকালবেলা উঠে আবুল বললো চলো আমরা ঘুরে আসি একটা পার্কে নিয়ে গেল কিন্তু আসলে পার্কটির নাম ভুলে গিয়েছি

অনেক আগেই দিয়েছি তো প্রায় 18 বছর আগে এই ঘটনাটি আসলে আমার জীবনে ঘটে ছিল আসলে অনেক মজা করেছিলাম সারাদিন ওই পার্কের ভেতরে আরো বিভিন্ন জায়গায় চিড়িয়াখানা অনেক জায়গায় ঘুরেছি আর অনেক মজা করেছি অবশেষে আমরা দুই দিনের মতো ঢাকায় থাকলাম।

তারপরে ঢাকা থেকে অনেক ধরনের খাবার কিনে নিয়ে আসলাম চকলেট রুটিন এগুলো অনেক কিছুই কিনে নিয়েছিলাম বাড়ি আসার পথে এবং একসময় বাড়ি চলে আসলাম আর অনেক আনন্দ করেছি আসলে সারা রাস্তায়।

তাহলে এটাই ছিল আমার জীবনের একটা সবচেয়ে বড় স্বপ্নপূরণ যেটা আমার জীবনে সর্বপ্রথম হয়েছিল তাই আজকে ভাবলাম আসলে আমার প্রথম দেখায় যাওয়ার সেই অনুভূতিটা কি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি জানিনা কার কাছে কেমন লাগবে হয়ত অনেকে ঠাট্টা করতে পারেন আসলে আমার জীবনে যেটা ঘটেছে আমি সেটাই শেয়ার করেছি আপনাদের সাথে আরো অনেক কথা ছিল তো সবগুলো তো আর লেখা যায় না যতটুকু সম্ভব আপনাদের সাথে লেখার চেষ্টা করেছি।

আশা করি বন্ধুরা আপনাদের ভাল লেগেছে আমার এই জীবনে ঘটে যাওয়া এই গল্পটি যেটা আসলে বাস্তবে প্রমাণিত আর বাস্তবে তার স্বাদ আমি পেয়েছি।