হঠাৎ রুপগঞ্জ ভ্রমন-১০% @shy-fox 🦊 এবং ৫% @ abb-school 📚এর জন্য বরাদ্দ।
আসসালামু আলাইকম
কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।
ভ্রমন বিলাসী আমি ছুটি ও অবসর পেলেই ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি, আনন্দ পাই। আর সেই সাথে মন কে শান্ত ও প্রানবন্ত করতে ভালবাসি। তাই সুযোগ পেয়েই চলে গেলাম ঢাকার মধ্যেই এক অপরুপ প্রকৃতি ঘেরা পরিবেশে। সাথে ছিল আমার ছোট ভাই। আমি আসলে বুঝতে পারিনি সেদিন কোথাও ঘুরতে যাবো। হঠাৎ ফোন আসলো জরুরী কাজে শ্বশুরবাড়ী যেতে হবে। যেহেতু দিনে দিনে ফিরে আসতে হবে তাই তাড়াতাড়ি করে ছোট ভাই কে নিয়ে সকাল সকাল রওনা দিলাম রুপসী, রপগঞ্জের উদ্দেশ্যে।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-ViVO-B21E
রুপসী স্ট্যান্ডে নামলে দেখা যায় সেখানে অনেক অনেক অটো দাড়িঁয়ে থাকে, সেখান থেকে এই মামার অটো ভাড়া করে নিয়ে চললাম শশুরবাড়ীর ঠিকানায়। অটোতে উঠেই আমার ভাই শুরু করে দিলো মামার সাথে গল্প। গল্পের মধ্য দিয়ে বুঝতে পারলাম একজন অটো চালকের দিন যাপন। মামা সিফটিং করে অটো চালায়।যেদিন সকালে অটো চালায় সেদিন বিকালে অন্য কাজ করে। আবার যেদিন বিকালে অটো চালায় সেদিন মামা সকালে অন্য কাজ করে। কিছুক্ষন পরে বুঝতে পারলাম যে মামার সাথে আমার ভাইয়ের কোন ভাল একটা সম্পর্ক হয়ে গেছে। তাই অটো মামা আমার ভাইকে জিজ্ঞেস করল মামা ঢাকায় যাইবেন কখন আমি আজকে দুই বেলাই চালামু । আপনারা যাওয়ার সময় আমারে ফোন দিয়েন আমি নামাইয়া দিমুনে।
এরই মধ্যে আমরা পৌছে গেলাম শশুরবাড়ী। ততক্ষনে বেলা একটা বেজে গেছে।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-ViVO-B21E
দুপুর এর খাওয়া দাওয়া করে একটু রেস্ট করে নিলাম। এরই মধ্যে শ্বাশুরীর সাথে বসে আমার জরুরী প্রয়োজটা ও সেড়ে ফেললাম । কারন ঢাকায় তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে। পরদিন আবার অফিস আছে। তাই বাড়ীতে প্রয়োজন সেড়ে আর সবার সাথে দেখা করে নিলাম। ততক্ষনে বিকেল ঘরিয়ে এসেছে। তাই আর দেরী না করে অটো মামা কে ফোন দিতে বললাম। মামা আসলে আমরা বিদায় নিয়ে নিলাম এবং ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিলাম।
মামার গাড়ীতে উঠে যাচ্ছি কিন্তু মামা এবার আমাদের কে স্ট্যান্ডের রাস্তা দিয়ে না এনে মুড়াপাড়া দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মামা নাকি আমাদের কে এক দোকানের চা খাওয়াবে । আর চা নাকি না খাওয়ালে তার হবে না। তাই উপজেলায় নিয়ে গেল আমাদের কে। আমরা উপজেলায় পৌছলাম এবং সেখানে চা খাওয়ার জন্য মামার অটো হতে নামলাম।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-ViVO-B21E
এবার মামা একটা গ্রাম্য টং এর দোকানে আমাদের নিয়ে গেল আর চা দোকানদার কে বলল দুলাভাই ঢাকার মেহমান। তারাতারি তিন কাপ চা দেও। যেই বলা সেই কাজ মাত্র কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যেই চা তৈরি হয়ে গেল। সত্যিই অনেক স্বাদের ছিল সেই চা এর স্বাদ। এত বছর হয়ে গেল কিন্তু কোন দিন উনার দোকান এর চা আর আমার খাওয়া হয়নি। অবশ্য এর একটি অন্যতম কারন আমরা তো ঐ দিকে কম যাই।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-ViVO-B21E
চা শেষ করে তাড়াতাড়ি অটোতে উঠে পরলাম। কারন আমার সত্যই অনেক তাড়া আছে। মামা ততক্ষনে আমাদের কে নিয়ে আসতে আসতে অটো চালাতে থাকে আর একটা একটা করে জায়গার পরিচয় দিতে থাকে।
কিছুদূর যেতেই চোখে পড়ে যায় গাজী সেতু। এখানে বিকেলের পর হতে মানুষ ঘুরতে আসে, ছবি তোলে, এটা ওটা কিনে খায়, আরো অনেক কিছু।
ঈদে শ্বশুরবাড়ী গেলে আমরাও মাঝে মাঝে সময় কাটানোর জন্য এখানে আসি। এখানে আবার ঈদের সময় মেলা বসে খেলাধুলা হয়। তখন জায়গাটা বেশ ভালোই লাগে।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-ViVO-B21E
অটো মামা কিছু টা ধীরে ধীরে যাওয়ায় দুপাশের প্রকৃতির দৃশ্যগুলো ভালই লাগছে একে বারে মনের মধ্যে হাওয়া বইতে শুরু করলো । কিছু দূর যেতে চোখে পড়ল বাংলার এক অপরুপ দৃশ্য। যা শুধুই দেখলেই মন ভরে না। ভেবে দেখলাম এমন দৃশ্য কি আমার প্রিয় বন্ধুদের সাথে শেয়ার না করে থাকা যায়? তাই আর দেরী না করে সে গুলো কে ক্যামায় নিয়ে নিলাম।
শীতলক্ষ্যা নদীর এমন দৃশ্য যা সত্যিই অপরুপ। নদীর উপর আকাশের গা ঘেষে চলে যাচ্ছে মেঘের রাজারা। আর আমরা তখন রুপগঞ্জ ওয়াটার প্রকল্পের কাছাকাছি।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-ViVO-B21E
অটো মামা কিছু দূর যেতেই দেখলাম রুপগঞ্জ ওয়াটার প্ল্যান্ট প্রকল্প। যা বিশাল এলাকা নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। আর এই প্রকল্পটি শীতলক্ষ্যা ঘেষেই হচ্ছে। রুপগঞ্জ বাসি মানুষের পানির চাহিদা মেটাতেই নাকি এই ওয়াটার প্ল্যান্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-ViVO-B21E
না দেরী করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এলো। তাই আমরা মামাকে বললাম তাড়াতাড়ি রুপসী স্ট্যান্ড চলে যেতে। মামা এবার আমাদের কথা মত খুব দ্রুত পসী স্ট্যান্ড পৌছে গেল। আর আমরাও মামার কাছ হতে বিদায় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম।
ফটোগ্রাফির বিবরন
ক্রমিক | বিবরন | পরিমান |
---|---|---|
1 | ডিভাইস | ViVO-B21E |
2 | ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
3 | ভৌগলিক অবস্থান | রুপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ |
তো বন্ধুরা শেষ হয়ে গেল রুপসী ভ্রমনের ইতিবৃত্ত।
ভাল থাকো, সুস্থ্য থাকো।
🕵🏾 আমার পরিচয়🕵🏾
আমি মাকসুদা কাউছার, খিলঁগাও, ঢাকায় বসবাস আমার। আমি গল্প পড়তে ও লিখতে পছন্দ করি। আমি ভালবাসি আমার মা যিনি আমাকে এই পৃথিবী দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আর ভালবাসি মায়ের ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতে।
Nature deserves our protection.🌱🛡♻💪
ধন্যবাদ প্রটেক্ট নেচার.
রুপগঞ্জ ভ্রমন করতে গিয়ে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে অটো চালকের জীবন যাপন সম্পর্ক আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অটো চালকের সাথে আপনার ভাইয়ের মিল দেখে আমি অনেক আশ্চর্য হয়ে গেছি । আসলেই আপনাদের ভ্রমণটি অনেক চমৎকার ছিল এমন পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসরাফ অটোচালক বলেনা রিকশাচালক বলেন সবাই আমরা পৃথিবীতে একই রকমের.আর অটোচালককে অনেক ভাল ছিল.আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টটি অনেক সুন্দরভাবে পড়ার জন্য.
সত্যি আপু আপনি রুপগঞ্জ বেড়াতে গিয়েছেন শুনে আমার খুব ভালো লাগলো। ঘোরাঘুরি করতে আমারও বেশ পছন্দ। কারণ এমন জায়গা বেড়াতে গেলে অনেক বিনোদন এবং মনটা অনেক আনন্দময় হয়ে ওঠে। আর ভ্রমণ অবস্থায় অটোচালকের সাথে আপনি এবং আপনার ভাই খুব সুন্দর মজার মজার গল্প করেছেন। খুব ভালো লাগলো শুনে ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাইয়া সত্যি বলতে আমি প্রতি সপ্তাহে ঢাকার বাইরে বেড়াতে যাই.সময় পেলে ছুটে চলেছে প্রকৃতির কাছে.আর তখন মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়.
ভ্রমণ মানুষকে সবসময় আনন্দ দিয়ে থাকে। ভ্রমণ করলে মন মানসিকতা খুবই ভালো হয় ।আপনার ভ্রমণের মাধ্যমে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পারলাম।। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনি আমার ভ্রমণ প্রশংসা করেছেন এবং আমার পোস্টটি পড়েছেন.আমার জন্য দোয়া রাখবেন.
শ্বশুর বাড়ী যাওয়া আসা সহ কিছু দারুণ সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি । আসলে অটো চালক গুলো কিছুটা নীরিহ প্রকৃতির হয় তাদের সাথে একটু মন খুলে কথা বললে তারা এইটুকু সময়ের জন্য হলেও যাত্রীদের আপন করে নেয় । ভাল লাগলো আপনার ভ্রমণের বিবরণ শুনে । সাথে রুপগঞ্জ ওয়াটার প্লানের কথাটা শুনেও ভাল লাগলো নদীপাড়ের মানুষ গুলো বিশুদ্ধ পানি পাবে সব সময় ।
ধন্যবাদ ছবি গল্পে কিছু কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।
ভাইয়া ভালো আছে নিশ্চয়ই.সত্যি অনেক ভালো একটি সময় কেটেছে আমার.যে রূপগঞ্জ আসলে আগের চেয়ে অনেক উন্নত হচ্ছে.
রূপগঞ্জের নাম আমি শুনেছি কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। আপনি ভ্রমণ করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো । জায়গাটা দেখছি ভীষণ সুন্দর। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমাদের মাঝে এরকম একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু সময় পেলে একবার ঘুরে আসবেন অনেক সুন্দর এলাকা.সেখানে দেখার মতো অনেক কিছু আছে.
পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে রূপগঞ্জ ভ্রমণ করতে গিয়ে অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে কিছু সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফিও আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে মনে হচ্ছে আপনি অনেক মনোযোগ সহকারে আমার পোস্টটি পড়েছেন এভাবে সবসময় আমার পাশে থাকবেন আশা করি.
লোকেশন দেওয়ার নিয়ম ভুল।পিন পোস্টে আরিফ ভাই এর টিউটোরিয়াল পোস্ট থেকে শিখে নিন।স্কুল ট্যাগটি ভুল।অন্যান্য সব কিছু ঠিক আছে।কমেন্ট এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করবেন।পোস্টে ভিন্নতা রাখবেন।
সম্মানিত মডারেটর আপু আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আপনি আমার পোস্টটি অনেক বিবেচনার সহিত পড়েছেন। আমি পোস্ট টি তে সব এডিট করে দিয়েছি। তবে আপু লোকেশন ইতিপূর্বে আমি অনেকগুলো পোস্টে দিয়েছি-https://steemit.com/hive-129948/@maksudakawsar/4wabwn-10-beneficiary-to-shy-fox-and-5-abb-school। এখানে পোস্টটি অন্য ভাবে সাজানোর কথা ভেবেছবির অবস্থান দেওয়া হয়নি। আমি ঠিক করে দিয়েছি।
আপু একটু কষ্ট করে লোকেশন ঠিক আছে কিনা জানাবেন প্লিজ।