কাতলা মাছের ঝাল ঝাল দু’পেঁয়াজা রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি সবাই বেশ ভালই আছেন। আমিও কিন্তু আপনাদের দোয়ার বরকতে বেশ ভাল আছি। আমি মাকসুদা আক্তার। আপনাদের মাঝে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। আমি আপনাদের মাঝে একজন একটিভ ইউজার হিসাবে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি এবং আপনাদের অনেক অনেক ভালবাসা নিয়ে বেচেঁ আছি।
চলছে পবিত্র রমজান মাস। ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন এ মাসে মহান আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তায়ালার সানিধ্য লাভের জন্য মন প্রাণ দিয়ে ইবাদত বন্দিগীতে মসগুল থাকে। পবিত্র রমজান মাসে মুসলমানদের জন্য দুটি খুশির মুহূর্ত রয়েছে। আর তা হলো সেহেরী আর ইফতারির মুহূর্ত। পরিবারের প্রতিটি মানুষ চায় ইবাদত বন্দিগীর পাশাপাশি এ দু সময়ে একটু মুখরোচক খাওয়ার খাওয়ার জন্য্। যাতে করে তাদের আত্না কিছু টা তৃপ্তি পায়।
আর সেহেরী তে যদি থাকে কোন মজাদার খাবার তাহলে তো আর কথাই নেই কিছুটা হলেও পেটে ভাত যায়। তাই প্রতিটি গৃহীনি সবসমই চেষ্টা করে সেহেরীতে একটি ভিন্ন রকমের মুখরোচক খাবার তৈরি করতে। যাতে করে সেহেরীর টেবিলে কারো কোন কষ্ট না হয়।
বন্ধুরা আজ আবার আমি আপনাদের কাছে চলে আসলাম আরও মজার একটি রেসিপি নিয়ে। আশা করি আপনাদের কাছে রিসিপিটি বেশ ভাল লাগবে। তো চলুন দেখে আসি আমার আজকের রেসিপি।
★কাতলা মাছ
★টমেটো
★লবণ
★হলুদ গুড়া
★মরিচ গুড়া
★জিরা গুড়া
★আদা রসুন বাটা
★কাঁচা মরিচ
★তেল
★পেঁয়াজ কুচি
★ধনে পাতা
ধাপ-১
প্রথমে কাতলা মাছগেুলো ভাল করে ধুয়ে নিয়ে তাতে হলুদ, মরিচ আর লবন মিক্সড করে মেরিনেট করে রাখতে হবে। তারপর টমেটে গুলো কে কিউব করে কেটে নিতে হবে। তারপর পেঁয়াজগুলো কে কুচি করে কেটে নিতে হবে। তারপর কাঁচা মরিচ গুলোকে বোটা ফেলে নিতে হবে এবং ধনি পাতা গুলো কে কুচি করে কেটে নিতে হবে।
ধাপ-২
এবার চূলায় একটি পাত্রে পরিমান মত তেল দিয়ে তেলটা কে ভাল করে গরম করে নিতে হবে। তারপর গরম হওয়া তেলের মধ্যে একে একে মেরনেট করে রাখা সব মাছ গুলো লাল লা করে ভেজে নিতে হবে।
ধাপ-৩
তারপর লাল লাল করে ভেজে নেওয়া মাছগুলো কে আলাদা একটি পাত্রে তুলে নিতে হবে।
ধাপ-৪
এবার মাছ ভাজা সেই তেলের মধ্যে আরও একটি তেল দিয়ে এবং পরিমান মত পেঁয়াজ কুচি ও সামান্য লবন দিয়ে লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে।
ধাপ-৫
এবার ভেজে নেওয়া সেই পেঁয়াজ গুলোর মধ্যে একে একে আদা রসুন বাটা, হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া দিয়ে মসলা গুলো ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে । যাতে মসলার মধ্য হতে কাচা মসলার গন্ধটা চলে যায়।
ধাপ-৬
এবার কষানো মসলা গুলোর মধ্যে কিউব করে কেটে রাখা টমেটে গুলো কে দিয়ে নেড়ে চেড়ে সেগুলো ভাল করে মসলার সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
ধাপ-৭
এবার কষানো টমেটো আর মসলা গুলোর মধ্যে এক কাপ পানি দিয়ে নেড়ে চেড়ে ঢাকনা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিতে হবে।
ধাপ-৮
বেশ কিছুক্ষন পর ঢাকনা তুললে দেখা যাবে যে, তরকারির পানি কিছুটা শুকিয়ে এসেছে। তখন তাতে ভেজে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে। এরপর মাছগুলো ভাল করে কষানো তরকারির সাথে মিশিয়ে দিয়ে আবার একটু কিছুক্ষনের জন্য ঢেকে দিতে হবে।
ধাপ-৯
কিছুক্ষন পর ঢাকনা তুলে তাতে কয়েকটি কাঁচা মরিচ আর সামান্য পানি দিয়ে নেড়ে দিয়ে আবারও ঢেকে দিতে হবে।
ধাপ-১০
কিছুক্ষন পর ঢাকনা তুলে কুচি করে কেটে রাখা ধনিয়া পাতা ছিটিয়ে দেয়ে সেগুলো কে নেড়ে চেড়ে দিয়ে একটু অপেক্ষা করতে হবে। তার কিছুক্ষন পর তরকারির উপর সামান্য জিরা গুড়া দিয়ে আবার কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
শেষ ধাপ
তরকারিতে জিরা গুড়া ছিটিয়ে দিয়ে একটু অপেক্ষা করলেই দেখা যাবে তরকারি হতে খুব সুন্দর একটি সু-ঘ্রাণ বের হচ্ছে। তাহলেই হয়ে যাবে কাতলা মাছের ঝাল ঝাল দু’ পেঁয়াজা রেসিপি। তারপর একটি পা্ত্রে গরম গরম ঢেলে নিয়ে ঝাল ঝাল কাতলা মাছের দু’ পেঁয়াজা রেসিপি পরিবেশন করতে হবে।
তো তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের কাতলা মাছের ঝাল ঝাল দু’ পেঁয়াজা রেসিপি। রেসিপিটি করার সময় আপনাদের জন্য ইউনিক এই রেসিপিটির প্রতিটি ধাপের ছবি তুলে নিয়েছি। যাতে করে আপনারাও বাসায় তৈরি করতে পারেন কাতলা মাছের ঝাল ঝাল দু’পেঁয়াজা রেসিপি। |
---|
ডিভাইস ও মডেল | vivo-S-22 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
কেমন লাগলো আমার আজকের রেসিপি? জানাতে ভুলবেন না যেন। |
---|
কাতলা মাছের দোপেয়াজা রান্নার দারুন একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের রেসিপি গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। টমেটো দেবার ফলে এটা খেতে আরো সুস্বাদু হয়েছে।
ধন্যবাদ সুন্দর এবং চমৎকার মন্তব্য করার জন্য
ওয়াও আপনি অনেক সুন্দর করে কাতলা মাছের দু’পেঁয়াজা রেসিপি করেছেন। তবে এভাবে ঝাল ঝাল করে রান্না করলে খেতে সত্যি অনেক মজাই লাগে। তবে কাতলা মাছ আমার অনেক পছন্দের একটি মাছ। আপনার রেসিপি দেখে আমার জিবে জল এসে গেল খাওয়ার জন্য। রমজান মাসে আপনি খুব চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপু চলে আসেন। প্রিয় মাছ রান্না করে খাওয়াবো।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/7) Get profit votes with @tipU :)
ঠিক বলেছেন আপু সেহেরিতে যদি মজাদার খাবার থাকে তাহলে পেট ভরে খাওয়া যায়। তার জন্য আপনি আজ খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। কাতলা মাছ খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি সেই মাছ দিয়ে খুব সুস্বাদু রেসিপি দোপেয়াজা তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখতে লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু সেহেরীতে মজাদার খাবার হলেই ভাল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে
আপু আপনি তো বেশ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ কাতলা মাছ টমেটো দিয়ে ঝাল ঝাল ভাবে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে ৷ আপনার রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে ৷ অনেক সুন্দর ভাবে রান্নার প্রস্তুত প্রণালী শেয়ার করেছেন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷টট
সত্যি ঝাল ঝাল করে রান্না করলে কাতলা মাছ খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া
কাতলা মাছের ঝাল ঝাল মজাদার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে। এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
অন লাইনে খেয়ে নেন হা হা হা
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপু আপনি দারুন মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন। কাতলা মাছ আমার খুব পছন্দ। আর সেই কাতলা মাছের ঝাল ঝাল ভুনা রেসিপি শেয়ার করলেন।বেশ মজার হয়েছিল খেতে আশাকরি।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
চলে আসেন প্রিয় মাছ রান্না করে খাওয়াবো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কাতলা মাছের ঝোল ঝোল দু'পেয়াজা দেখতেই কি লোভনীয় লাগছে।রেসিপির কালার টা জাস্ট অসাধারণ।রান্নার প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে প্রশংসা করার জন্য আপু।