ভাজা পোড়া নয়, দই চিড়া মিক্সড দিয়ে হউক স্বাস্থ্যকর ইফতার
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি সবাই বেশ ভালই আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় বেশ ভাল আর সস্থ্য আছি। আমি মাকসুদা আক্তার। আপনাদের কাছে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত।
চারদিকে মাহে রমজানের ঘনঘন্টা। সমগ্র বিশ্ব জুড়ে মুসলিম গন আজ নিজেকে আল্লাহর সানিধ্যে নিয়ে যেতে ব্যকুল। সারাদিন সিয়াম সাধনার পর সন্ধ্যায় প্রতিটি মুসলমান ইফতার আয়োজন করে থাকে। আর ইফতার আয়োজন করতে যেয়ে কত যে লোভনীয় খাবার আমরা তৈরি করি তা আর বলে শেষ করা যাবে না। এসব খাবারের মধ্যে বেশীর ভাগ খাবারই হয় অস্বাস্থ্যকর। যা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর। সারাদিন সিয়াম সাধনার পর যে কোন ভাজা পোড়া খাবার দেহের জন্য হতে পারে অনেক ক্ষতিকর। আর আমরা যদি এসব ভাজা পোড়া খাবার বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে পারি তাহলে আমাদের দেহ থাকবে সুস্থ্য আর প্রাণবন্ত। তাই বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে ইফতার আয়োজনে তেমনি একটি স্বাস্থ্যকর খাবারের টিপস নিয়ে আলোচনা করবো। যা বদলে দিতে পারে আপনার প্রতিদিনের অস্বাস্থ্যকর খাবার রুচি।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
দই এমন একটি উপদান যা দেহে যোগায় শুক্তি। সারাদিন রোজা রাখার পর কিছু পরিমান দই পেট কে ঠান্ডা রাখার জন্য কাজ করে।
সাদা চিনি নয়, লাল চিনির ব্যবহার করতে শিখুন। কারন আমরা যারা চিনি খেতে ভালবাসি তারা অবশ্যই সুস্থ্য থাকতে সাদা চিনির জায়গায় লাল চিনি গ্রহণ করুন।
পাকা কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমান খনিজ উপাদান। কলা দেহের পানি শূন্যতা দুর করতে সাহায্য করে। কথায় বলে দুটি পাকা কলা দেহে এক কলস পানির চাহিদা পূরণ করে। তাই ইফতার আয়োজনে কলা রাখলে খারাপ হয় না।
চিড়া যা আমাদের পেট কে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে থাকে । সারাদিন রোজা থাকার পর আমরা যদি ইফতারিতে কিছু পরিমান চিড়া ভিজিয়ে খেতে পারি তাহলে তা পেট কে রাখবে ঠান্ডা।
স্বাস্থ্যকর দই চিড়া মিক্সড-
দেহকে সুস্থ্য রাখার জন্য সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারিতে ভাজা পোড়ার পরিবর্তে আমরা দই, চিড়া , কলা আর সামান্য চিনি দিয়ে মিক্সড করে তৈরি করে নিতে পারি দই চিড়া মিক্সড। যা আমাদের দেহ কে রাখবে সুস্থ্য সুন্দর আর প্রাণবন্ত। তাই আসুন ইফতারিতে ভাজা পোড়া নয়, স্বাস্থ্যকর দই চিড়া মিক্সড হউক আমাদের ইফতার।
কেমন লাগলো আপনাদের কাছে রমজান মাসে ইফতারিতে ভাজা পোড়া নয়, স্বাস্থ্যকর দই চিড়া মিক্সড খাওয়ার টিপস টি? আসুন আমরা আমাদের লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করে সুস্থ্য থাকি। অপেক্ষায় রইলাম মতামতের।
দই চিড়া মিক্সড আমারও মাঝে মাঝে খাওয়া। আসলেই আপু, সারাদিন রোজা রাখার পর এরকম স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়াই উচিত। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাজা পোড়া টাই সবার খাওয়া হয় বেশি। আপনি সবগুলো খাবারের গুনাগুন সম্পর্কে লিখেছেন। যাই হোক আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।
আপু আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের জন্য লেখার। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
জি আপু ইফতারিতে যদি আপনার ভাজাপোড়া না খেয়ে দই চিড়া খাই তাহলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে শরীর ঠান্ডা থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু আমরা ভাজাপোড়া শুধুমাত্র মুখের রুচির জন্য খেয়ে থাকি। দই চিড়া আমার খুবই পছন্দের। মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়। ঠিক বলেছেন আপু লাল চিনি খাওয়া আমাদের জন্য বেশি উপকারী। কিন্তু এখন নিউজ দেখায় লাল চিনিতে ও ভেজাল মেশানো হচ্ছে। মনে হচ্ছে কোন কিছুই আর আমাদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত না। 😣
সেটাই তো মাঝে মাঝে ভাবি। কিসে যে ভেজাল আর কিসে যে নাই। ধন্যবাদ আপু।
আপু ভাজাপুড়া আসলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তারপরেও ইফতারিতে ভাজাপোড়া না হলে ভালো লাগে না। আপনি ঠিক বলেছেন আমরা জেনে বুঝে অস্বাস্থ্যকর জিনিস গুলো খেয়ে থাকি।যাইহোক আপনার চিরা, কলা, দই দিয়ে ইফতার দেখে অনেক ভালো লাগল। এগুলো প্রতি দিন খেলে সত্যি অনেক উপকারী। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হুম রীতিমত ভাজা পোড়া না হলে ফকির ফকির ইফতারি মনে হয়। হি হি হি।
আপু আমি সবসময় দই চিড়া দিয়ে ইফতার করি।দই না থাকলে কলা দিয়ে চিড়া করি।খেতে যেমন ভাল তেমনি স্বাস্থ্যসম্মত ও। আসলে বাঙালি ভাজা ভুজি না খেয়ে কি পারে। তবে আগে যদি এই রকম খাবার খেয়ে নেয়া যায় তবে খুব ভাল হয়।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
হুম আমি জানি তো আপনি একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। হি হি হি।
লাল চিনি ও লাল চালের ভাত আমাদের দেহের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। কিন্তু কিছুদিন আগেও একটি ভিডিওতে দেখলাম সাদা জিনিসের সাথে কিছু কেমিক্যাল মাখিয়ে তারা লাল চিনি তৈরি করছে। কোন কিছুর প্রতি আর আস্থা নেই। যাইহোক আসলেই সারাদিন রোজা রাখার পর আমরা ভাজাপোড়া জিনিস না খেয়ে তরল জাতীয় খাবার ও সহনশীল খাবার খাওয়া উচিত।
জি সত্য কথা কোন কিছুর প্রতি আর আস্থা রাখা যাচেছ না। সব কেমন যেন ভেজাল আর ভেজাল।
আপু ঠিক বলেছেন ইফতার আয়োজন করতে গিয়ে ভাজা পোড়া জাতীয় কত লোভনীয় খাবার আমরা তৈরি করি যার সম্পূর্ণ টাই অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু এই কথা আমরা জেনেও লোভ সামলাতে পারিনা। প্রতিদিন সবার ঘরে এই খাবার তৈরি হয়। কিন্তু একটা কথা মানতে হবে আল্লাহ তায়ালা এই একমাস খাবারের উপর থেকে হিসেব তুলে নিয়েছে আর যার যেমন ইচ্ছে খেতে বলা হয়েছে। সেজন্য মানুষের পেটের সমস্যা একদমই হয় না বললেই চলে। আমরা মনে করি সারাদিন রোজার পর একটু ঝাল খাবার খেলে ভালো লাগবে। যাই হোক আপনি খুব মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার কাছে দই চিড়া মিক্সড খেতে অনেক ভালো লাগে। প্রতি রোজায় ইফতারিতে মায়ের হাতের এই রেসিপি খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
আপু হিসাব তুলে নিয়েছে বলে কি ভাজা পুরা খেতে হবে। হা হা হা। ধন্যবাদ আপু
মুখরোচক খাবার গুলো সবসময়ই শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর হয় এটা জানার পরেও আমরা সেসব খাবার গুলো বেশি খেয়ে থাকি।আপু আপনি আজ একটি পুষ্টিকর খাবার ও সেইসাথে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো।সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
কি করবো বলেন তো আপু আত্মা বলে কথা। আত্মায় চাইলে তো খেতেই হবে।
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন আপু সারাদিন রোজা রাখার পরে যদি ইফতার মুহূর্তে বেশি ভাজাপোড়া খাওয়া হয় তাহলে আমাদের শরীর অনেকটাই ক্ষতির দিকে যাবে এটাই স্বাভাবিক। আমি মনে করি ইফতার মুহূর্তে তরল জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত, এটা দই চিরা অনেক বেশি উপকারী বলে আমি মনে করি। ভালো লাগলো আপনার আজকের এই সুন্দর পোস্ট করে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম ইফতারির সময় বেশী করে তরল খাবার শরীর কে ঠান্ডা করে তোলে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু,ইফতারি তে ভাজা পোড়া বাদ দিয়ে এভাবে করে দই চিড়া দিয়ে ইফতার করলে,সেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ ভালো হয়।ধন্যবাদ আপু গুরুত্তপূর্ণ বিষয় শেয়ার করার
জন্য।
জি আপু আমাদের কে অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।