ট্রাভেল পোস্ট- " সুবর্ণ গ্রাম ভ্রমণ পর্ব-৪ " II written by @maksudakawsarII
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
নিজেকে ভালো রাখার সবচেয়ে ভালো একটি উপায় হলো নিজেকে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে ফেলা। আমাদের যখন মনটা বেশ খারাপ হয় তখন যদি আমরা নিজেদেরকে প্রকৃতির মাঝ হতে কিছুটা প্রশান্তির ছোঁয়ায় সিক্ত করতে পারি তাহলে কিন্তু আমাদের মনের সকল প্রকার দুঃখ কষ্টগুলোর কিছুটা হলেও লাঘোব করতে পারবো। নিজেকে সব সময় প্রানবন্ত রাখতে হলে আমাদের কে মাঝে মাঝে নিজেকে নিয়ে যেতে হবে প্রকৃতির মাঝে।
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন বলেন তো? আলহামদুলিল্লাহ্ আজ কিছুটা ভালো আছি আমি। তবে এখন বেশীর ভাগ ঘরেই অসুস্থতা বাসা বেধেঁছে। মানুষ কে করে তুলছে অস্থির । প্রকৃতির কাছে মানুষ আজ অসহায়। তবুও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে। চলে আসলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। অবশ্য এতক্ষনে টাইটেল পড়ে আপনারা বেশ ভালোই বুঝে গেছেন যে আজ আমি কি পোস্ট নিয়ে এসেছি। হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে সুবর্ণ গ্রাম ভ্রমণের ৩য় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আজকের পর্ব ও আপনাদের ভালো লাগবে।
এবার আমরা সেই সুইমিং পুল হতে বের হয়ে ভাবলাম একটু পুরো লেকের পাড় ঘুরে দেখি। তাই আমরা আস্তে আস্তে লেকের পাড় দিয়ে হাটতে লাগলাম। মাঝে মাঝে কিছু ফটোগ্রাফিও করলাম। লেকের পানি গুলো বেশ পরিচ্ছন্ন। চারপাশে সবুজ আর সবুজ। লেকের মাঝে মাঝে লাগানো হয়েছে সবুজ অরণ্য। আবার অন্য দিকে লেকের মাঝ খানে করা হয়েছে ছোট ছোট কিছু রেস্ট হাউজ। আমরা এই সব কিছুই ইনজয় করলাম আর ক্যামেরা বন্দী করলাম।
হাটতে হাটতে দেখলাম দারুন পিঠা বানানো হচেছ। এমন পিঠা দেখে আমার সাথের পিঠা পাগল মানুষ গুলোতো পাগল হয়ে গেল পিঠা খাওয়ার জন্য। যদিও আমি তেল জাতীয় পিঠা খাইনা। কিন্তু তাদের সাথে সাথে গিয়ে আমি শুধু চিতই পিঠা খেলাম। তবে দাম কিন্তু কম না। এই পিঠা ওয়ালীর কাছে শুধুমাত্র পাটিসাপটা বাদে সব গুলো পিঠার দামই ৩০/ টাকা করে। আর পাটিসাপটা পিঠার দাম হলো ৬০ টাকা করে। তাতে কি ? নাচঁতে এসে কি কোমড় দুলাবো না? তাই তো দাম যাই নেক না কেন। পিঠা খেয়ে নিলাম সবাই মিলে। সত্যি বলতে অনেক স্বাদ কিন্তু পিঠাওয়ালীর পিঠা গুলো।
এবার চোখ গেল সামনের খাবারের দোকান গুলোর দিকে। লেকের পাশে গড়ে উঠা এই খাবারের দোকান গুলোতে অনেক দাম প্রতিটি খাবারের। তবে মানুষ গুলো খাবার খাওয়ার সাথে সাথে লেকের পাশে কিছুটা সময় আড্ডা দিতে পারে কিন্তু। লেকের উপরে বেশ জায়গা নিয়ে খোলামেলা এই খাবারের দোকান গুলোতে বেশ বেচাঁকেনা যে হয় সেটা বুঝাই যায়। মানুষ গুলো দলে দলে এখানে বসে বসে সুন্দর প্রকৃতি উপভোগ করছে আর নিজেদের পছন্দের খাবার গুলো খাচেছ। সুন্দর প্রকৃতির মাঝে এমন একটি পরিবেশ কি কেউ মিস করতে চায়?
তাইতো আমরাও বসে গেলাম সেখানে কিছুটা সময় প্রকৃতি কে কাছ থেকে উপভোগ করতে। নিজেদের মত করে পোস মেরে মেরে ফটোগ্রাফি করছি। কিন্তু কি বলেন তো এমন একটি টেবিলে বসলে কি আর চুপ করে বসে থাকা যায়? তাই আমরাও সবাই কফি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। ভাবলাম কফি হাতে একটি ছবি তোলে আপনাদের সাথে শেয়ার করলে কেমন হয়? আপনারাই বলেন তো। তবে যাই বলেন না কেন ওনাদের কফির কিন্তু স্বাদ একেবারে আলাদা। যদিও দাম একটু বেশী।
তারপর আমরা আবার হাটতে লাগলাম। হাটতে হাটতে দেখলাম এখানে বেড়াতে আসা মানুষ গুলো খুব উৎফুল্ল চিত্তে নিজেদের মত করে আনন্দ উপভোগ করছে। কেউ চড়ছে ঘোড়ার গাড়ীতে কেউ ব্রীজের উপর দিয়ে রাস্তা পাড় হচ্ছে। কেউ বা স্পিড বোর্ডে করে লেকের মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এসব দেখে আমাদের মনেও একটু আনন্দ লাগলো। তাই একটু খোজঁ নেওয়ার চেষ্টা করলাম কেমনে কি? খোজঁ নিয়ে জানতে পারলাম লেকের মাঝে স্পিড বোর্ডে চড়তে একজনের ১০০ টাকা করে লাগবে। তাও আবার এক ঘুরান দিয়ে শেষ। আর ঐ যে উচুঁ ব্রীজ সেটা দিয়ে মানুষ গুলো বিভিন্ন রকমের পশু দেখার জন্য সাফারী পার্কে যাচ্ছে। তাই আমরাও নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করলাম কি করবো? অনেক ভাবলাম। আর ভাবলাম। কিন্তু কি করলাম অবশেষে সেটা জানতে আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে যে বন্ধুরা। আজ আর নয়।
শেষ কথা
শেষ কথা
আসলে মানুষের আনন্দ যে কোথায় তা কেউ বলতে পারবে না। তাই তো হাজারও মানুষ নিজেদের আনন্দটুকু ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য দৌড়ে আসে এমন সুন্দর প্রকৃতি ঘেরা জায়গা গুলোতে । যাতে করে কিছুটা সময় জীবনের দুঃখ গুলো কে দূরে সরিয়ে রাখা যায়।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Tweet
বেশ মজা করেছিলাম সেদিন আমরা। পিঠাওয়ালীর পিঠা গুলোর কথা না বললেই নয়। আর এমন একটি জায়গায় বসে এমন সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করাও ছিল বেশ আনন্দের। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট টি দেখে। আশা করবো আগামী পর্বে আরও আকর্ষণীয় কিছু পাবো।
ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সুবর্ণগ্রাম ভ্রমনের সুন্দর পোস্ট ইতিমধ্যে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিলেন। আজকে আবারো নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এই জায়গার। অনেক সুন্দর ছিল আপনার এই ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট। যা দেখে অনেক খুশি হয়েছি আমি। অনেক কিছু দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলেই ভাইয়া এই গরমে অনেকের ঘরেই অসুস্থতা বাসা বেধেছে। যাইহোক আপনি আজকে সুবর্ণগ্রাম ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন, যদিও আমি এই গ্রামটাতে কখনো যায়নি তবে গ্রাম অঞ্চলে আমার ব্যক্তিগতভাবে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আপনার একটিভিটি এর কিছু সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ভাইয়া আমি তো আজ সুবর্ণগ্রাম ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব শেয়ার করেছি। এছাড়া সুবর্ণগ্রাম তো কোন গ্রাম অঞ্চল না। সুবর্ণগ্রাম হলো একটি রিসোর্ট এর নাম। যেখানে ভ্রমণ পিপাসু মানুষজন বেড়াতে যান। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খুব সুন্দর একটি ভ্রমনের পর্ব শেয়ার করেছেন । এই সুবর্ণগ্রামে ভ্রমণ করে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি এখানকার যে সৌন্দর্য ছিল সবগুলোই আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ খুবই ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট দেখে৷ আশা করি পরবর্তীতে আরো অনেকগুলো পর্ব দেখতে পাবো৷
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।