ট্রাভেল পোস্ট- " সুবর্ণ গ্রাম ভ্রমন পর্ব-১ " II written by @maksudakawsarII
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
নিজেকে ভালো রাখার সবচেয়ে ভালো একটি পদ্ধতি হলো ঘুরতে যাওয়া। আমাদের যখন মনটা বেশ খারাপ হয় তখন যদি আমরা নিজেদেরকে প্রকৃতির মাঝ হতে কিছুটা প্রশান্তি ছোঁয়ায় সিক্ত করতে পারি তাহলে কিন্তু আমাদের মনের সকল প্রকার দুঃখ কষ্টগুলোর কিছুটা হলেও লাঘোব করতে পারবো। নিজেকে সব সময় প্রানবন্ত রাখতে হলে আমাদের কে মাঝে মাঝে নিজেকে নিয়ে যেতে হবে প্রকৃতির মাঝে।
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন বলেন তো? চারদিকে প্রচন্ড তাপদাহে হয়তো আপনারা তেমন ভালো নেই। কারন এখন বেশীর ভাগ ঘরেই অসুস্থতা বাসা বেধেঁছে। মানুষ কে করে তুলছে অস্থির । প্রকৃতির কাছে মানুষ আজ অসহায়। তবুও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে। চলে আসলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। অবশ্য এতক্ষনে টাইটেল পড়ে আপনারা বেশ ভালোই বুঝে গেছেন যে আজ আমি কি পোস্ট নিয়ে এসেছি। হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে ট্রাভেল পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। যেহেতু এবারের ভ্রমন ছিল বিশাল এক এরিয়া জুড়ে। তাই ভাবলাম কিছু কিছু অংশ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
ভেবেছিলাম এবারের ঈদের ছুটিটা কাটাবো কক্সবাজারে। তাই গত একমাস যাবৎ নানা রকমের প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্যে না থাকলে কি আর হয়? একদিকে যেমন পারিবারিক সমস্যা আর একদিকে অফিসের ছুটি নিয়ে প্রবলেম। আর এত এত ঝামেলার মধ্যে আর যেতে মনে চাইলো না কক্সবাজার। মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেল। ভেবেছিলাম আর কোথাও যাবো না। ঘরে বসে বসেই দিন পার করবো। কিন্তু ছোট বোন আর আপনাদের ভাইয়ার পিরাপিরিতে আমার সিদ্ধান্ত আর আমার রইল না। তাদের সাথে ঘুরতে যেতেই হবে। কিন্তু কোথায় যাবো সেটাই তো বুঝতে পারছিলাম না। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম ঢাকার অদূরে সুবর্ণ গ্রামে একটু ঘুরে আসা যেতে পারে। জায়গাটি কিন্তু আমার নোনাসের বাড়ীর সামনেই। বহুবার সেখানে যাওয়া হলেও এই সুবর্ণ গ্রামে আর যাওয়া হয়ে উঠেনি।
তাই তো ঈদের পর দিন স্ব দলবলে চলে গেলাম সেখানে। আমরা ঢাকার কুড়িল হতে বি আর টিসি করে গাউছিয়া ভুলতা যেয়ে নামি। তারপর সেখান থেকে অটো করে পৌঁছে যাই সুবর্ণ গ্রাম। কি আর করার আইজ আমি গরীব বলে আমার নিজের গাড়ী নাই। যেহেতু আমরা পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুরের খাবারের সময় হয়ে গেছে তাই সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমরা আগে দুপুরের খাবার খেয়ে নিবো। তারপর ভিতরে ঢুকবো। কারন ভিতরে যেয়ে শুধু শুধু খাবারের পিছনে সময় নষ্ট করার দরকার কি? কিন্তু ঈদের পরের দিন হওয়ায় আমরা তেমন কোন হোটেল খোলা পেলাম না। তাই যেটা পেলাম সেটার মধ্যে ঢুকে ভর্তা ভাত খেয়ে নিয়ে ভিতরে রওনা দিলাম।
অবশ্য আগে ভাগেই আমরা জানতাম এখানে টিকেটের মূল্য জনপ্রতি ৩০০/-টাকা করে। কিন্তু এখান কোন মামা চাচা না থাকায় আর টাকা কমানো গেল না। তাই মোট ১২০০/- টাকার টিকেট কিনে ঢুকে গেলাম আমাদের স্বপ্নের সুবর্ণ গ্রামে। অবশ্য এই রিসোর্ট বা পার্কে প্রবেশ করতে হলে সিড়িঁ বেয়ে দোতালায় উঠে তারপর যেতে হয়। বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে প্রবেশ পথ। আমরা বেশ সহজেই ঢুকে গেলাম ভেতরে। যে প্রচন্ড রোদ তার মধ্যে প্রথমেই বাহিরের প্রকৃতি কে একটু আলিঙ্গন না করলে কি আর চলে? তাই তো আর সবার মতো করে বাহিরের প্রকৃতিকে উপভোগ করে নিলাম কিছু সময়।
প্রকৃতির মাঝে কি শুধু ঘুরেছি ? বেশী বেশী ফটোগ্রাফিও করেছি। সানগ্লাস পড়ে, সানগ্লাস ছাড়া। এত এত ফটোগ্রাফি না করলে কি আর হয়। চারজন মানুষ এ দিকে যায় তো সে ঐদিকে। কারন সবার হাতেই আছে মোবাইল। সবাই তো ফেইসবুকে আপলোড দিবে তাই না। আর আমি আর আমার ছোট বোন দিবো আপনাদের মাঝে শেয়ার। তাই তো আমরা নিজেদের চেয়ে প্রকৃতির ফটোগ্রাফিই করলাম বেশী। আর বাকী দুই জন তে বেশ ফটোগ্রাফি করলো তাও ফেইসবুকের জন্য। হি হি হি।
যখন সবাই ফটোগ্রাফি করতে করতে হাপিয়ে গেলাম তখন গেলাম দৌড়ে আইসক্রিমের দোকানে। ওরে মা। কি অবস্থা যে ভিড়। আবার দামও বেশী। একেতো ঈদ । তার উপর আবার জন সমুদ্র। তাই না চাইলেও সেখান থেকে প্রতি পিস ৮০/- টাকা করে চকবার কিনে খেতে হলো। কিন্তু কি বলেন তো এখানে দাড়িঁয়ে সময় পার করলে কি আর হবে? সমস্ত পার্ক তো ঘুরে দেখতে হবে। একবার ভাবলাম পার্কিং করে রাখা গাড়ী গুলোতে বসেই সমস্ত সুবর্ণ গ্রাম চুষে বেড়াবো। কিন্তু না। পরেই ভাবলাম যে দাম যদিও জন প্রতি পঞ্চাশ টাকা তবুও গাড়ী করে ঘুরে বেড়ানো টা ঠিক হবে না। ঐ যে বলে না চার মাথা যেখানে ভিন্ন মত সেখানে। তাই ভিন্ন মতের কারনে সেখানেই আরও সময় চলে গেল। কিন্তু বলেন তো আপনারা আমরা কি সেদিন জীপ গাড়ীতে উঠেছিলাম? হুম এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে তো আমার পোস্টের দিকে নজর রাখতে হবে। অপেক্ষায় থাকুন.....। হি হি হি
শেষ কথা
শেষ কথা
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
Tweet
ঈদের পরের দিন সুবর্ণগ্রামে ঘুরতে গিয়ে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। সুবর্ণ গ্রামের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন করে মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।
আপনার ভ্রমণ বিষয়ে পোস্ট পড়াড় মধ্য দিয়ে কিন্তু বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হল। তবে ফটোগুলো যদি একটার পর একটা উপস্থাপন করতেন তাহলে হয়তো আরো ভালোভাবে দেখতে পারতাম। যাই হোক বেশ কিছু জানার সুযোগ হয়েছে আপনার এই পোষ্টের মধ্যে দিয়ে।
জি ভাইয়া আগামীতে আলাদা আলাদা ফটৈাগ্রাফি করবো ইনশাল্লাহ্। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর এবং সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনারা জীপ গাড়িতে উঠেছিলেন কিনা সেটা বলা যাবে না। কারণ আপনি আমাকে নিয়ে যাননি ঘুরতে। যাইহোক আপু চারজনে মিলে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি হয়েছে দেখছি। মাঝে মাঝে মন ফ্রেশ রাখতে এরকম সুন্দর জায়গায় ঘুরতে যেতে হয়। তাহলে ভালো লাগে।
হায় হায় আপু এটা তো অনেক বড় ভুল হয়ে গেল আপনাকে ছাড়া কিভাবে গেলাম। থুক্কু মুকু। আগামীতে যেখানে যাব আপনাকে নিয়ে যাব। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সুবর্ণগ্রাম ভ্রমণ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো৷ আসলে আমাদের সকলেরই উচিত আমাদের মন ভালো রাখার জন্য ভ্রমণ করা এবং সব সময় ভ্রমণ করার মাধ্যমে আমরা নতুন নতুন জায়গা সম্পর্কে দেখি এবং জানতে পারি৷ আজকে আপনি সেরকম একটি জায়গা ভ্রমন করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন যা থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ৷
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
আমার আগে তো দেখছি আপনিই পোস্ট করে দিলেন। বেশ সুন্দর করে সেদিনের সুবর্ণগ্রাম ভ্রমনের গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যি কিন্তু বেশ দারুন ছিল সুবর্ণ গ্রাম। আশা করি আগামী পর্বগুলোতে আরও আকর্ষন থাকবে।
কি করবো তোমার আশায় বসে থাকবো। তুমিও করো পোস্ট। ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।