মৃত্যুর কাছে ভালবাসার পরাজয় চতুর্থ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
@maksudakawsar
খিলগাঁও, ঢাকা বাংলাদেশ
2 ভাদ্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
17 সেপ্টেম্বর, রবিবার
আপনারা সবাই ভালো আছেন নিশ্চয়ই। আমিও অনেক ভালো আছি।
আপনাদের মাঝে এ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে ভালবাসার পরাজয় গল্পটির মোট তিনটি পর্ব শেয়ার করা হয়েছে। জানিনা আমার স্ব-রচিত গল্পটি আপনাদের কেমন লাগছে।
আজ আমি আপনাদের সাথে গল্পটির চতুর্থ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
মৃত্যুর কাছে ভালবাসার পরাজয় গল্পের পর্ব সমূহের লিংক-
পর্ব -1
-https://steemit.com/hive-129948/@maksudakawsar/1
পর্ব-2
https://steemit.com/hive-129948/@maksudakawsar/6lmamg
পর্ব-3
https://steemit.com/hive-129948/@maksudakawsar/jwym5
তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক-
মৃত্যুর কাছে ভালবাসার পরাজয় চতুর্থ পর্ব
রিয়ার মাথায় ততক্ষনে আকাশ ভেঙ্গ পরল। দুজনে থতমত হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। রিয়ার ফুপুতো হতবাক হয়ে গেল এসব কিছু দেখে। ফুপু কাউকেই কিছু বলতে পারলো না। কারন সুজন ছেলেটাকে তিনি ছোট সময় থেকেই আদর করেন। তাই তিনি মাথা নিচু করে ভিতরে চলে গেলেন।আর এদিক দিয়ে সুজনও ভয়ে রিয়ার থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। রিয়াতো ভয়ে ভয়ে নিজের ঘরে চলে গেলেন।রিয়া বুঝতে পারলো এটা কোন ঝড়ের আভাস। তাই রিয়া অনেক টেনশনে পড়ে গেল।
রাতে খাবার টেবিলে রিয়া যায়নি। ফুপু যদি কিছু বলে, সেই ভয়ে রিয়া তার ঘর থেকেই বের হয়নি। কিছুক্ষন পর কানন এসে রিয়া কে বলল আপু আম্মু তোমাকে ডাইনিং ৱুমে ডাকে। রিয়া আস্তে আস্তে আর ভয়ে ভয়ে ডাইনিং রুমে গেল। এবার ফুপুর দিকে লক্ষ্য করে বলল আমারে ডাকছো। রিয়ার ফুপু হ্যাঁ, খেতে বস। রিয়া কোন কিছু না বলে খেতে বসে গেল। হঠাৎ রিয়ার ফুপু বলল তোর ব্যাগ গুছিয়ে রাখিস। কাল মাহাবুব আসবে তোকে নিতে। রিয়া চুপ করে রইল। কিছু বলার সাহস হলো না।
পরেরদিন বিকেলে রিয়া তার ভাইয়ের সাথে বাবার বাড়িতে চলে গেল।সেই পরিবেশ, সেই জীবন। এখন রিয়ার জীবনে আর একটি নতুন কাহিনীর শুরু। কি করে সইবে মেয়েটি এত কষ্ট? নাওয়া,খাওয়া, ঘুম এখন সব শেষ রিয়ার জীবন হতে। এ যেন এক বিভিষীকাময় জীবন। কিছুই ভাল লাগেনা রিয়ার। সারাক্ষন শুধু বুকের মধ্যে কষ্টগুলো চাপ খেয়ে থাকে । কি করে সইবে এ বয়সে এতটা কষ্ট?
পরদিন রিয়ার বোন আসলো বাড়িতে। তারপর রিয়া কে কাছে ডেকে খুব আদর করে বুঝিয়ে বলল। বোন আমার তুইতো অনেক ছোট। আমাদের মা নেই। বাবাও এখন আমাদের কথা ভাবে না। আবার বাসায় আমাদের সৎ মা। আমি যে তোকে আমার সাথে রাখবো সেই উপায়ও নেই। তুইতো আমার শাশুড়ির বিষয়টা জানিস। বোন আমার এসব ভুলে যা। ও ছেলে কখনও তোকে বিয়ে করবে না ।
এবার রিয়া তার বোনকে বলল, না আপু সুজন এ ধরনের ছেলে না। ও আমার বিষয়ে সবকিছু জানে। আর আমাকে ও বলেছে আমার এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হলে আব্বার কাছ প্রস্তাব পাঠাবে। এসব কথা শুনে রিয়ার বড় বোন বলল তাহলে তো ভালো কথা। আর কি এবার মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা কর। সব বিষয়ে পরে দেখা যাবে।
কিন্তু যত যাই হোক সারা রাত্র ঘুমাতে পারল না রিয়ার বোন। মা হারা ছোট বোন বলে কথা। কি হবে তার ছোট বোনের জীবনটা। কি করলে তার বোনটাকে এ রাস্তা থেকে ফেরাতে পারবে। অনেক চিন্তা করার পর রিয়ার বোন সিদ্বান্ত নিল ছেলেটির সাথে কথা বলবে। তাকে সব বুঝিয়ে বললে সে শুনবে। কিন্তু রিয়ার বোন তো কোন বাহিরের পুরুষ লোকের সাথে কথা বলে না। তাই সে ঠিক করলো, রিয়ার মা এর যে খালাতো বোন আছে তাকে পাঠাবে সেই ছেলের সাথে কথা বলতে। তাই সে সেই খালাকে খবর দিয়ে পাঠালো এবং সমস্ত ঘটনা খুলে বলল। এরপর রিয়ার খালাকে সেই ছেলেটির সাথে দেখা করে সব বুঝিয়ে বলতেও বলেন । সমস্ত ঘটনা শুনে রিয়ার খালা ছেলেটির সাথে দেখা করতে রাজি হয়। তাই অনেক কষ্টে ছেলেটির ফোন নাম্বার যোগার করে ছেলেটির সাথে কথা বলেন এবং তারপর দিন ছেলেটির সাথে সরাসরি দেখা করলেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো ছেলেটির সাথে কথা বলে রিয়ার খালাতো রীতিমত অবাক। সত্যিই ছেলেরা সেলুকাস।
ছেলেটি সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করে ফেলল। সে বলল আপনার ভাগনী বিষয়টি ভুল বুঝেছেন। আমি আসলে একটি ভুল করে ফেলেছি। দেখেন ও তো অনেক ছোট। আমি চাই না মেয়েটি এ বয়সে কোন কষ্ট পাক।
(চলবে)
গল্পটির আজ চতুর্থ পর্ব আমি আপনাদের মাঝ তুলে ধরলাম। আমি চেষ্টা করেছি গল্পটিতে কিছু ভিন্নতা আনার। কেমন লাগলো আমার আজকের পর্ব জানাতে ভুলবেন না যেন। খুব তাড়াতাড়ি আসছি এই গল্পের পরবর্তী পর্ব নিয়ে ততদিন অপেক্ষায় থাকুন।
আপনারা ভাল ও সুস্থ্য থাকুন।
বয়সন্ধি কাল টা এরকমই হয়।আবেগ বেশি থাকে।কিন্তু ছেলেটার উপর রাগ লাগতেছে। কিভাবে পালটি মারল।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
জ্বি দাদা ঠিকই বলেছেন বয়সন্ধিকাল তো এরকম আবেগময়ী হয়।ছেলেটা তো এমনই।
ভাইয়া আপনি সত্যি বলেছেন। এ বয়সে বুঝা মুশকিল যে এটা আবেগ না বাস্তব।
আসলেই মেয়েটা বয়স কম হওয়ার কারণে এরকম একটা ভুল করল। আর ছেলেটার কথা শুনে তো আমার একদম মাথা গরম হয়ে গেল। কত সহজেই পোল্ট্রি হয়ে গেল। মেয়েটার যে এবার কি হবে? এর আগের পর্বটাও আমি পড়েছিলাম। পরের পর্বটা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ আপু। মনে হচ্ছে আপনি গল্পটি মনযোগ সহকারে পড়েছেন। যার কারনে ছেলেটির ব্যবহারে আপনার রাগ উঠে গেল।
Hi, @maksudakawsar,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @rex-sumon.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP