রেসিপি পোস্ট- আলু দিয়ে মুরগীর কিমা মাংসের ঝাল ঝাল ভূনা রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন? আমিও আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় বেশ ভালো আছি। অনেক গরম আবার চারদিকে। আবারও মানুষ গরমে দূর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। কিন্তু কি আর করার প্রকৃতির কাজ তো প্রকৃতি করবেই।
প্রতিদিন এক রকমের খাবার খেতে খেতে মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। মাঝে মাঝে মনে চায় একটু ভিন্ন রকমের খাবার দিয়ে রুচির একটু পরিবর্তন ঘটাতে। আর মাঝে মাঝে একটু ভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করলে নিজের কাছেও যেমন ভালো লাগে তেমনি করে মুখের স্বাদও ফিরে আসে। বেশ কয়েকদিন যাবৎ মনে হচ্চে যে একটু ভিন্ন স্বাদের কিছু রান্না করতে। কিন্তু কি রান্না করবো কিছু্ই বুঝতে পারছিলাম না।
হঠাৎ মনে হলো ফ্রিজে রাখা মুরগীর মাংস দিয়ে নতুন একটি রেসিপি তৈরি করলে কেমন হয়। কারন মুরগীর মাংস তো সবার প্রিয় । আর মুরগীর মাংস আবার বিভিন্ন ভাবে রান্না করা যায়। তবে আমার মনে হয় আমি আজ কে যে ভাবে মুরগীর মাংস রান্না করার রেসিপি শেয়ার করবো সেটা খুব কম মানুষই জাানে। আর সবা্র কাছে আমার রেসিপিটিও বেশ ভালো লাগবে।
তাই আজ আমি আপনাদের সবার মাঝে মুরগীর মাংসের একটি নতুন রেসিপি শেয়ার করবো। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে বেশ ভালোই লাগবে। তাহলে চলুন দেখে আসা যাক আমার আজকের নতুন রেসিপি আলু দিয়ে মুরগীর কিমার ঝাল ঝাল রেসিপি।
★মুরগীর মাংসের কিমা
★আলু
★তেল
★কাচাঁ মরিচ
★আদা বাটা
★রসুন বাটা
★ হলুদ গুড়া
★মরিচ গুড়া
★জিরা গুড়া
★পেয়াঁজ
★দারচিনি
★এলাচ
★তেজপাতা
★লং
★ লবন
★পানি
ধাপ-১
প্রথমে হাড্ডি ছাড়া মুরগীর মাংস গুলো কে ভালো করে ব্লেন্ড করে কিমা করে নিতে হবে।এবার ৩/৪ টি আলু কিউব করে কেটে ধুয়ে নিতে হবে।
ধাপ-২
এবার চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে তাতে একে একে তেল, দারচিনি, এলাচ, লং এবং তেজপাতা দিয়ে একটু নেড়ে দিতে হবে।
ধাপ-৩
এবার সেই পাত্রে পরিমান মত পেয়াঁজ এবং কাচা মরিচ দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিতে হবে।তারপর পেয়াঁজ গুলো কে তেলের ভিতরে ভালো করে লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে।
ধাপ-৪
এবার লাল লাল করে ভেজে নেওয়া সেই পেয়াঁজের মধ্যে হলুদ মরিচ আদা রসুন বাটা দিয়ে লো করে পেয়াঁজের সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। যাতে মসলার গন্ধটা না থাকে।
ধাপ-৫
এবার ভেজে নেওয়া সেই মসলার মধ্যে সামান্য পানি দিয়ে ভালো করে মসলা কষিয়ে নিতে হবে। বেশ কিছুক্ষন ধরে মসলা কষিয়ে নিতে হবে। যাতে করে মসলার উপর তেল ভেসে উঠে।
ধাপ-৬
এবার কষানো সেই মসলার মধ্যে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিতে হবে। তারপর ঢেকে দিয়ে মসলার সাথে আলু গুলো ভালো করে কষিয়ে দিতে হবে। তারপর আলু গুলো কষানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ধাপ-৭
এবার আলুগুলো সেদ্ধ হয়ে আসলে তাতে কিমা করে রাখা মুগরগীর মাংস গুলো দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ-৮
এবার তরকারির মধ্যে সামান্য লবন দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে দিয়ে সেগুলো কে আবারও ঢেকে দিতে হবে। তারপর বেশ কিছুক্ষন এভাবে রান্না করতে হবে।
৯ম ধাপ
কিছুক্ষন পর আলুর সাথে মাংসের কিমা কষানো হয়ে গেলে তাতে সামান্য পানি দিয়ে আবারও ঢেকে দিতে হবে। এবার পানি শুকানো পর্যন্ত বার বার ঢাকনা তুলে নেড়ে দিতে হবে।
১০ম ধাপ
এবার তরকারির পানি কিছুটা শুকিয়ে আসলে তাতে সামান্য জিরার গুড়া ছিটিয়ে দিতে হবে।
১১তম ধাপ
এভাবে বেশ কিছুক্ষন চুলায় রেখে রান্না করতে হবে। যাতে করে তরকারির পানিটা শুকিয়ে আসে।
শেষের ধাপ
এবার তরকারির পানি টা শুকিয়ে আসলে তা আলাদা পাত্রে ঢেলে নিয়ে পরিবশেন করতে হবে।
তো তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের আলু দিয়ে মুরগীর কিমা মাংসের ঝাল ঝাল ভূনা রেসিপি। । রেসিপি টি করার সময় আপনাদের জন্য ইউনিক এই রেসিপিটির প্রতিটি ধাপের ছবি তুলে নিয়েছি। যাতে করে আপনারাও বাসায় তৈরি করতে পারেন আলু দিয়ে মুরগীর কিমা মাংসের ঝাল ঝাল ভূনা রেসিপি বাসায় তৈরি করে নিতে পারেন। |
---|
ডিভাইস ও মডেল | vivo-S-22 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের রেসিপি? । আপনাদের উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম কিন্তু। |
---|
আহা কি লোভনীয় রেসিপি সকাল সকাল দেখে এরকম ভাবে লোভ হবে খাওয়ার জন্য বুঝতে পারিনি।।
সত্যি আপু মাঝে মাঝে আপনাদের এমন রেসিপি দেখে খুবই লোভে পড়ে যাই আজকের রেসিপিটি তো অসাধারণ হয়েছে এই জাতীয় রেসিপি আমারও খুবই ফেভারেট।।।।
ইস্ আফসোস হচ্ছে। যদি পারতাম তাহলে রান্না করে ভাইয়ার জন্য একটু পাঠিয়ে দিতাম। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মুরগির মাংসের অনেক রেসিপি খাওয়া হয়েছে। তবে এইভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে শিখে নিলাম অবশ্যই একদিন বাসায় রান্না করে খেয়ে দেখব কেমন হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু আমার মনে হয় রান্না করে খাওয়ালে শুভ ভাইয়ার অপছন্দ হবে না।
আলু দিয়ে মুরগির মাংসের কিমা তৈরি করেছেন । যেটা দেখে খেতে ইচ্ছা করছিল খুব। রন্ধন প্রক্রিয়াটা অনেক সুন্দর ছিলো আপু। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর করে আমার রেসিপির প্রশংসা করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের সুন্দর ফিডব্যাক দেয়ার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু মাঝে মাঝে একটু ভিন্নভাবে রান্না করলে রুচির পরিবর্তন হয়। আর মুরগির মাংস খেতে ভালোই লাগে তবে একটু ভিন্ন ভাবে যদি রান্না করা যায় তাহলে কিন্তু টেস্টটা আরো বাড়ে। আপনি কিন্তু মুরগির কিমা দিয়ে আলু দিয়ে খুব মজাদার করে রান্না করেছেন। এই খাবারগুলো সকালের নাস্তার সাথে দারুন লাগবে। আমার তো দেখে খেতে ইচ্ছা করছে।
জি আপু সকালের নাস্তা বা গরম ভাতের সাথে বেশ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মানুষরা আমাদের আলু দিয়ে মাংস খাওয়া দেখে হাসে। কিন্তু তারা জানে না এই আলু দিয়ে মাংস খেতে কতটা সুস্বাদু হয়।আমার এক অবাঙ্গালী বন্ধু ছিল।তাকে আমি একদিন জোর করে খাইয়ে ছিলাম আলু দিয়ে মটনের ঝোল। তারপরে থেকে সে অবাঙালি হওয়া সত্ত্বেও বাড়িতে মাংস রান্না করলে তাতে অবশ্যই আলু দেয়। আপনার রেসিপিটা দেখে দুর্দান্ত একটা আইডিয়া পেলাম। দেখেই জিভে জল চলে আসার মত এই রেসিপি। রুটি পরোটা লুচি দিয়ে ফাটাফাটি লাগবে খেতে।
তাহলে এবার রেসিপিটি বাসায় করে আমার জন্য একটু অনলাইন করে দেন। আমি একটু দেখবো কেমন রান্না করলেন। হি হি হি। ধন্যবাদ দিদি
https://twitter.com/maksudakawsar/status/1660343484077969408?s=20
ফ্রিজে থাকা মুরগির মাংস দিয়ে চমৎকার একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন আপু। সবথেকে বড় বিষয় মুরগির মাংসের রেসিপি মানে দারুন কিছু।
ভীষণ লোভনীয় ছিল রেসিপি।
তাই ভাইয়া সত্যি লোভনীয় ছিল। তাহলে তো একদিন খাওয়াতেই হয়।
ফ্রিজে থাকা মুরগির মাংস দিয়ে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এভাবে কখনো মুরগির মাংসের কিমা দিয়ে আলু রান্না করা হয়নি। নতুন একটি রেসিপি শিখলাম। আর আপনি নতুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হুম আপু নতুন রেসিপি দিলাম। তাহলে এবার রান্না করে আমাকে একটু পার্সেল করেন। দেখি কেমন পারনে । হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলছেন আপু একই ধরনের খাবার খেতে খেতে মুখের রুচি একদম নষ্ট হয়ে যায়। তাই মাঝে মধ্যে যদি খাবারের মধ্যে ভিন্নতা আনা যায় তাহলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক মজার করে মুরগির মাংস দিয়ে কিমা তৈরি করেছেন সাথে আলু দিয়ে দেখে অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে। এই ধরনের আলু দিয়ে মুরগির কিমার সাথে অনেক গুলো ভাত খাওয়া যাবে। দারুণ একটি রেসিপি তৈরি করে নিলেন আপনি খাবারের ভিন্নতার জন্য।
হুম তাই তো রেসিপিটা করলাম। যাতে আপনি তৈরি করে মাঝে মাঝে আমাকে পার্সেল করতে পারেন। হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।