ক্রিয়েটিভ রাইটিং (গল্প)|| সততার পুরস্কার।
আসসালামু আলাইকুম,, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ বিশ্ব "মা" দিবস। সকল মাকে জানাই মা দিবসের শুভেচ্ছা। আমার মনে হয় মাকে ভালোবাসার জন্য কোন দিবসের প্রয়োজন নেই। মায়ের মত কেউ হয় না, মা তো মা-ই হয়। যাই হোক আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি একটি গল্প। আশা করি আমার গল্পটি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক,,,
সুজন এবং রুপা একই গ্রামে বাস করে। সুজনের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নেই সংসারে বাবা নেই মা নেই সে একাই থাকে। সামান্য একটা চাকরিও করে সে। তবে সুজন নিজে থেকে অনেক সৎ ইচ্ছা করলে সে অসৎ পথে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারতো। আর রুপা ধনী পরিবারের বলা যায় জমিদারির মেয়ে রুপা। যেমন রিতার তেমন গুণ। তার বাবার রয়েছে মিষ্টির ব্যবসা। তার বাবার মিষ্টির দোকানের সুনাম এই গ্রাম থেকে ও গ্রাম এবং কে শহর পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। একটা সময় সুজন এবং রুপার মধ্যে গড়ে ওঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। রুপাই সুজনকে অনেক ভালোবাসতো। সুজনের রুপাকে ছাড়া থাকতে পারত না। বেশ ভালোই চলছিল তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক। এরই মাঝে হঠাৎ করে রুপার বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু রূপাদর্শজনকে ভালোবাসে সে কি করে অন্য জায়গায় বিয়ে করবে। তাই ভেবে সে সুজনের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে। এরপরই শুরু হয় সুজন এবং রুপার সংসার।
সংসারের সুজন এবং রুপা ছাড়া আর কেউ নেই। রুপার বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন কেউ তাদের কোন খোঁজ নেয় না। সবাই রুপাকে পরিত্যাজ্য করেছে। তবে রুপা সবকিছু মানিয়ে নিয়ে সুজনের সঙ্গে বেশ জমিয়ে সংসার করছে। বড়লোক পরিবারের মেয়ে হলেও গরিবের সংসারে এসে বেশ মানিয়ে নিয়েছিল সুজনের সাথে। সুজনদার চাকরি থেকে ততটুকু পেত তাতেই তাদের বেশ ভালো রকম চলে যেত। এর মাঝেই তাদের সংসারে নেমে আসলো অন্ধকার। সুজনের অফিসের এক কর্মচারী তাকে বিনা দোষে ফাঁসিয়ে দেয়। এটি প্রথমে বিশ্বাস করতে না চাইলেও সেই কর্মচারী টিসুজনের বসকে বিশ্বাস করে যে এই কাজটি সুজন করেছে। এই ফলস্বরূপ সুজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেয়। সুজন মনমরা হয়ে বাড়ি ফেরে, তাকে এ অবস্থায় দেখেই রুপা জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে তোমার এভাবে আছো যে। তখন সে রুপাকে বলে তুমি কেন তোমার ওই ধনী পরিবার ছেড়ে আমার গরীব সংসারে এলে বলতো। আমি তো তোমাকে কিছুই দিতে পারি না যে চাকরিটা ছিল সেটাও চলে গেল এবার কি করবো আমি। কিভাবে রাখবো তোমাকে কিভাবে তোমাকে খাওয়াবো কিছুই বুঝতে পারছি না।
রুপা তখন সুজনকে বলে এত ভেবোনা কিছু একটা ঠিক করা যাবে। যাও তুমি হাতমুখ ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে এস। খাবার বেড়েছি খাবারটা খেয়ে নাও। এমন সময় বাড়িতে প্রতিদিনের মতো দুধওয়ালা আসে দুধ দিতে। তখন সুজন দুধওয়ালাকে বলে তোমাকে আর আসতে হবে না। রুপা তখন দুধওয়ালে কে বলে না গো ভাই তুমি রোজই এসো তবে আজকে থেকে একটু বেশি দুধ দেবে। দুধওয়ালা রুপার কথা মত আজকে তিন কেজি দুধ দিয়ে চলে যাই। সুজন তখন রুপাকে বলে তোমার মাথা ঠিক আছে? এতগুলো দুধ নিলে টাকা কোথায় পাবো। তুমি চিন্তা করো না আমি সবকিছু ব্যবস্থা করে নিব। ভাবছো তো এই যে এত দুধ নিলাম এগুলো আমি কি করবো।শোন তবে আমার বাবার মিষ্টির দোকান আর আমি ময়দার মেয়ে। ভাবছি দুধ দিয়ে মিষ্টি বানাবো আমার দাদিমার হাতে ধরে শেখানো মিষ্টি। শোনো তুমি আমার এই বাংলা মিষ্টি নিয়ে পাড়ার মোড়ের যে বড় দোকানটি আছে সেখানে একবার দেখে এসো তো কেমন হয়েছে।
এবার সুজন রুপার কথা মত তার বানানো মিষ্টি নিয়ে পাড়ার মোড়ে দোকান থেকে দেখাতে চাই। মিষ্টির দোকানদার তো রুপার হাতের মিষ্টি খেয়ে একেবারে হতভম্ব হয়ে যাই। বিশ্বাসই করতে পারেনা এই মিষ্টি ঘরে থেকে কিভাবে বানানো সম্ভব। দোকানদার এতটাই খুশি হয়ে যায় যে সুজনকে অফার দেয় এই মিষ্টি আরো বানিয়ে দেওয়ার জন্য এবং তার মিষ্টি সে নায্য মূল্যে কিনে নিবে এবং মিষ্টি বানানোর সকল উপকরণ সেই দোকানদার দিয়ে দিবে। এভাবে শুরু হয় রুপা এবং সুজনের নতুন ব্যবসা। বেশ ভাল ইনকাম হচ্ছিল দুজনের ভালোই সেলসিয়া যাদের সংসার। একটা সময় এই মিষ্টি ব্যবসার মাধ্যমে তারা নিজেদের দোকান খুলে এবং মিষ্টি বানিয়ে তারা এখন অনেক রোজগার করে বড় বাড়িও বানিয়েছে।
এরই মাঝে হঠাৎ একদিন ওই সুজনের অফিসের আরেক কর্মচারী তাদের বাড়িতে আসে। এসে সুজনকে বলে অফিসের বস অনেক অসুস্থ এবং সুজনের সাথে কিছু কথা বলতে চাই। সুজন প্রথমে রাগ দেখিয়ে বলে উনার সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই আমি যেতে পারব না। কিন্তু রুপা তাকে বুঝিয়ে বলে তিনি অসুস্থ তোমার সাথে কথা বলতে চাই তোমার উচিত তার কাছে যাওয়া। তাই সুজন পর এই রুপার কথা অনুযায়ী রাজি হয় এবং বসের সাথে দেখা করে। দেখা করে বাড়ি ফিরে রুপা কে বলে আসলেই রুপা কে কত কিছুই না দেয়। আজ আমার সে বস তার ভুল বুঝতে পেরে আমাকে আবার চাকরি ফিরিয়ে দিসতে চাচ্ছে। বলে সেটা অনেক ভালো খবর তুমি আবার চাকরিতে জয়েন করো আমি এদিকে মিষ্টির ব্যবসা সামলাই। এভাবেই চলতে থাকে রুপাজনের সুন্দর সংসার।
👩🦰আমার নিজের পরিচয়👩🦰
আসসালামু আলাইকুম,, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ বিশ্ব "মা" দিবস। সকল মাকে জানাই মা দিবসের শুভেচ্ছা। আমার মনে হয় মাকে ভালোবাসার জন্য কোন দিবসের প্রয়োজন নেই। মায়ের মত কেউ হয় না, মা তো মা-ই হয়। যাই হোক আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি একটি গল্প। আশা করি আমার গল্পটি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক,,,
সুজন এবং রুপা একই গ্রামে বাস করে। সুজনের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নেই সংসারে বাবা নেই মা নেই সে একাই থাকে। সামান্য একটা চাকরিও করে সে। তবে সুজন নিজে থেকে অনেক সৎ ইচ্ছা করলে সে অসৎ পথে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারতো। আর রুপা ধনী পরিবারের বলা যায় জমিদারির মেয়ে রুপা। যেমন রিতার তেমন গুণ। তার বাবার রয়েছে মিষ্টির ব্যবসা। তার বাবার মিষ্টির দোকানের সুনাম এই গ্রাম থেকে ও গ্রাম এবং কে শহর পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। একটা সময় সুজন এবং রুপার মধ্যে গড়ে ওঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। রুপাই সুজনকে অনেক ভালোবাসতো। সুজনের রুপাকে ছাড়া থাকতে পারত না। বেশ ভালোই চলছিল তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক। এরই মাঝে হঠাৎ করে রুপার বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু রূপাদর্শজনকে ভালোবাসে সে কি করে অন্য জায়গায় বিয়ে করবে। তাই ভেবে সে সুজনের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে। এরপরই শুরু হয় সুজন এবং রুপার সংসার।
সংসারের সুজন এবং রুপা ছাড়া আর কেউ নেই। রুপার বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন কেউ তাদের কোন খোঁজ নেয় না। সবাই রুপাকে পরিত্যাজ্য করেছে। তবে রুপা সবকিছু মানিয়ে নিয়ে সুজনের সঙ্গে বেশ জমিয়ে সংসার করছে। বড়লোক পরিবারের মেয়ে হলেও গরিবের সংসারে এসে বেশ মানিয়ে নিয়েছিল সুজনের সাথে। সুজনদার চাকরি থেকে ততটুকু পেত তাতেই তাদের বেশ ভালো রকম চলে যেত। এর মাঝেই তাদের সংসারে নেমে আসলো অন্ধকার। সুজনের অফিসের এক কর্মচারী তাকে বিনা দোষে ফাঁসিয়ে দেয়। এটি প্রথমে বিশ্বাস করতে না চাইলেও সেই কর্মচারী টিসুজনের বসকে বিশ্বাস করে যে এই কাজটি সুজন করেছে। এই ফলস্বরূপ সুজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেয়। সুজন মনমরা হয়ে বাড়ি ফেরে, তাকে এ অবস্থায় দেখেই রুপা জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে তোমার এভাবে আছো যে। তখন সে রুপাকে বলে তুমি কেন তোমার ওই ধনী পরিবার ছেড়ে আমার গরীব সংসারে এলে বলতো। আমি তো তোমাকে কিছুই দিতে পারি না যে চাকরিটা ছিল সেটাও চলে গেল এবার কি করবো আমি। কিভাবে রাখবো তোমাকে কিভাবে তোমাকে খাওয়াবো কিছুই বুঝতে পারছি না।
রুপা তখন সুজনকে বলে এত ভেবোনা কিছু একটা ঠিক করা যাবে। যাও তুমি হাতমুখ ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে এস। খাবার বেড়েছি খাবারটা খেয়ে নাও। এমন সময় বাড়িতে প্রতিদিনের মতো দুধওয়ালা আসে দুধ দিতে। তখন সুজন দুধওয়ালাকে বলে তোমাকে আর আসতে হবে না। রুপা তখন দুধওয়ালে কে বলে না গো ভাই তুমি রোজই এসো তবে আজকে থেকে একটু বেশি দুধ দেবে। দুধওয়ালা রুপার কথা মত আজকে তিন কেজি দুধ দিয়ে চলে যাই। সুজন তখন রুপাকে বলে তোমার মাথা ঠিক আছে? এতগুলো দুধ নিলে টাকা কোথায় পাবো। তুমি চিন্তা করো না আমি সবকিছু ব্যবস্থা করে নিব। ভাবছো তো এই যে এত দুধ নিলাম এগুলো আমি কি করবো।শোন তবে আমার বাবার মিষ্টির দোকান আর আমি ময়দার মেয়ে। ভাবছি দুধ দিয়ে মিষ্টি বানাবো আমার দাদিমার হাতে ধরে শেখানো মিষ্টি। শোনো তুমি আমার এই বাংলা মিষ্টি নিয়ে পাড়ার মোড়ের যে বড় দোকানটি আছে সেখানে একবার দেখে এসো তো কেমন হয়েছে।
এবার সুজন রুপার কথা মত তার বানানো মিষ্টি নিয়ে পাড়ার মোড়ে দোকান থেকে দেখাতে চাই। মিষ্টির দোকানদার তো রুপার হাতের মিষ্টি খেয়ে একেবারে হতভম্ব হয়ে যাই। বিশ্বাসই করতে পারেনা এই মিষ্টি ঘরে থেকে কিভাবে বানানো সম্ভব। দোকানদার এতটাই খুশি হয়ে যায় যে সুজনকে অফার দেয় এই মিষ্টি আরো বানিয়ে দেওয়ার জন্য এবং তার মিষ্টি সে নায্য মূল্যে কিনে নিবে এবং মিষ্টি বানানোর সকল উপকরণ সেই দোকানদার দিয়ে দিবে। এভাবে শুরু হয় রুপা এবং সুজনের নতুন ব্যবসা। বেশ ভাল ইনকাম হচ্ছিল দুজনের ভালোই সেলসিয়া যাদের সংসার। একটা সময় এই মিষ্টি ব্যবসার মাধ্যমে তারা নিজেদের দোকান খুলে এবং মিষ্টি বানিয়ে তারা এখন অনেক রোজগার করে বড় বাড়িও বানিয়েছে।
এরই মাঝে হঠাৎ একদিন ওই সুজনের অফিসের আরেক কর্মচারী তাদের বাড়িতে আসে। এসে সুজনকে বলে অফিসের বস অনেক অসুস্থ এবং সুজনের সাথে কিছু কথা বলতে চাই। সুজন প্রথমে রাগ দেখিয়ে বলে উনার সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই আমি যেতে পারব না। কিন্তু রুপা তাকে বুঝিয়ে বলে তিনি অসুস্থ তোমার সাথে কথা বলতে চাই তোমার উচিত তার কাছে যাওয়া। তাই সুজন পর এই রুপার কথা অনুযায়ী রাজি হয় এবং বসের সাথে দেখা করে। দেখা করে বাড়ি ফিরে রুপা কে বলে আসলেই রুপা কে কত কিছুই না দেয়। আজ আমার সে বস তার ভুল বুঝতে পেরে আমাকে আবার চাকরি ফিরিয়ে দিসতে চাচ্ছে। বলে সেটা অনেক ভালো খবর তুমি আবার চাকরিতে জয়েন করো আমি এদিকে মিষ্টির ব্যবসা সামলাই। এভাবেই চলতে থাকে রুপাজনের সুন্দর সংসার।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
Also your post was promoted on 🧵"X"🧵 by the account josluds
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/7) Get profit votes with @tipU :)
রুপা এবং সুজনের সুন্দর একটি ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আমার সুন্দর বিষয় জানতে পেরে যেখানে দোকানদার তাদের মিষ্টি তৈরি করাতে খুশি হয়ে তাদের কাজে লাগিয়ে দিল আর এভাবেই তাদের সুন্দর একটি ছোটখাটো বিজনেস শুরু হয়ে গেল। খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখা আজকের এই ক্রিয়েটিভ রাইটিং পড়ে।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
চমৎকার লাগলো আপনার এই পোস্টটি পড়ে। রুপা এবং সুজনের ঘটনাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে আরো উৎসাহিত করার জন্য।
ধন্যবাদ।