DIY- এসো নিজে করি : রঙ্গিন কাগজ ব্যবহার করে কুয়ো শোপিচ তৈরি || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
আজ রবিবার || ১৩ই অগ্রহায়ণ || ১৪২৮ বঙ্গাব্দ ||২৮,নভেম্বর-২০২১
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? নিশ্চয়ই সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
======================================
আজ আবার নতুন একটি DIY পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে এলাম। আজ আমি একটি শোপিচ বানাবো। আগের দিনে মানুষ সব সময় কুয়োর পানি ব্যবহার করতো। কুয়ো থেকে পানি তোলার জন্য একটি রশির সাথে বালতি বেধে রশি টিকে একটি চাকার মধ্যে পেচিয়ে হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে পানি তোলা হতো। আমার আজকের শোপিচটি ঠিক তেমনি আগের দিনের কুয়োর মতই। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণঃ
১. গ্লু গান
২. পেপারকাটার
৩. কাঠি
৪. আঠা
৫. কাচি
তৈরি পক্রিয়াঃ
প্রথমে গাঢ় লাল এবং হাল্কা লাল রংগের A4 সাইজের কাগজকে চিত্রের মত করে ৩ ভাগে কেটে ভাগ করি।
তার পর একটি কাগজ নিয়ে নিচের দিক থেকে চিত্রের মত করে পেচানো শুরু করি।
যেখানে কাগজটি পেচানো শেষ হবে সেখানে একটু আঠা দিয়ে আটকে দিবো।
একই ভাবে আমরা লাল রঙের ১৫ টি এবং হাল্কা লাল রঙের ১০ টি পাইপ বানিয়ে নিব।
দুই রঙের কাগজ কেই চিত্রের মত করে মাঝ বরাবর কেটে নেই।
তারপর হাল্কা লাল রঙের কাগজ গুলোকে একটি কাগজের উপর আঠার মাধ্যমে চিত্রের মত করে আটকে চেইনের মত বানাই।
তারপর কাগজের চেইনটিকে একটি কাটুনের উপর চিত্রের মত করে গ্লুগানের সাহায্যে গোল করে আটকে দেই।
গোল বানিয়ে নেয়া অংশটির ২ পাশে ২ টি পাইপ চিত্রের মত করে আটকে দেই
তার পর ২ টি কাগজ কে পেচিয়ে চাকার মত বানিয়ে নিতে হবে। সেই চাকার মত বানিয়ে নেয়া অংশ গুলোকে চিত্রের মত করে পাইপ গুলোর উপরে গ্লুগানের সাহায্যে আটকিয়ে দেই।
তারপর চিত্রের মত আর একটি কালো কাগজের পাইপ বানিয়ে নেই। বানানোর পর সেটিকে গোল চাকা গুলোর মাঝে ঢুকিয়ে দেই। ঢুকানোর পর নিল অথবা যে কোন রঙের কাগজের সাহায্য কালো পাইপটির মাঝের মত করে পেচিয়ে দেই।
পেচিয়ে দিলেই আমাদের কুয়োর নিচের অংশ তৈরি হয়ে যাবে।
এবার ছাদ বানানোর পালা।
এবার লাল রঙের পাইপ গুলো কেও চিত্রের মত করে আটকিয়ে নেই।
তারপর লাল রংগের কাগজের পাইপ গুলোকে চিতের মত করে গ্লুগানের সাহায্যে আটকিয়ে দেই। আটকানোর পর মাঝ দিয়ে একটি কালো পাইপ বসিয়ে দেই। তার পর দুটি ছোট লাল পাইপ ঠিক চিত্রের মত করে গ্লুগানের সাহায্যে আটকিয়ে দেই কালো পাইপটির উপর।
একটি কাটুন কে এভাবে গোল করে কেটে নেব
তার পর একটি কাগজকে এই ভাবে গোল করে পেচিয়ে আঠা দিয়ে আটকে দেই।
তারপর সবুজ রঙের কাগজটির ভেতর গোল কেটে নেয়া কাগজ টি সমান ভাবে আটকে দেব।
তারপর চিকন করে একটি সবুজ কাগজ গোল করে নেব যা হবে আমাদের বালটির হ্যান্ডেল , নেয়ার পর আগের পেচিয়ে নেয়া কাগজটিকে বালটির মত করে কেটে নিয়ে হ্যান্ডেলটিকে আঠার সাহায্যে আটকিয়ে দেব।
তারপর বানানো বালটিতে সুতো লাগিয়ে নেই যা রশির কাজ করবে।
এবার আমাদের প্রথমে বানিয়ে নেয়া কুয়োটির সাথে সাদটিকে গ্লুগানের সাহায্যে আটকিয়ে দিতে হবে।
তার পর চাকাটির সাথে বালটির রশি টি পেচিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমাদের কুয়ো শোপিচ।
এবার এটাকে একটু সুন্দর করার পালা।
এবার আমাদের বানানো শোপিচটিকে এভাবে আমরা কাগজের মাধ্যমে সাজিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমাদের কুয়ো শোপিচ।
কনটেন্ট | DIY-এসো নিজে করি |
---|---|
ছবিগুলো তোলা হয়েছে | রেডমি 9 দিয়ে |
বিষয় | রঙ্গিন কাগজ ব্যবহার করে শোপিচ তৈরি |
কারিগর | মাহির শাহরিয়ার ইভান (@mahir4221) |
আমি মাহির শাহরিয়ার ইভান। আমি একজন ব্লগার। নতুন কোন বিষয়ে লিখতে এবং সবাই কে অজানা বিষয়ে জানাতে আমার অনেক ভালো লাগে। ছবি তুলতে, খেতে এবং ঘুরতে আমার অনেক ভালো লাগে। আর সব থেলে বড় শখ ছবি তোলা।
YouTube |
---|
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER
.
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনি খুবই সুন্দর একটি কাগজের তৈরি কুয়ো বানিয়েছেন। সম্পূর্ণ ইউনিক একটি পোস্ট আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে পানি তোলার জন্য বালতি তৈরি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালোবাসা অবিরাম প্রিয় ভাই।
এটি দুর্দান্ত, বন্ধুরা, এটি একটি সাজসজ্জা হতে পারে এবং বাড়িতে আপনার ছোট্টটির জন্য একটি খেলনাও হতে পারে।
জি ভাইয়া এটা সাজসজ্জার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভিষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার ডাই প্রজেক্ট টি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। দেখে বুঝাই যাচ্ছে যে এটি তৈরি করতে অনেক ধৈর্য ও সময় এর প্রয়োজন হয়েছিল। কুয়ো বর্তমানে বিলুপ্তের পথে,বলা যায় এটি এখন আর দেখাই যায় না।আপনি আপনার প্রজেক্ট এর মাধ্যমে আমাদের সবাইকে বিষয় টি স্বরণ করিয়ে দিলেন,,,,, ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
জি আপু সময় তো অনেক লেগেছে তবুও অনেক মজা লাগে এগুলো বানাতে। তাই কিছু মনে হয় না।
আপনাকে ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাই আপনি খুব চমৎকার ও অসাধারণ সুন্দর একটি
diy প্রজেক্ট তৈরি করেছেন। আসলে খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে আপনার কুয়ো শোপিচ তৈরি করাটি। এত সুন্দর একটা diy তৈরি করার জন্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মাশাআল্লাহ ভাইয়া ভাইয়া দারুণ।
রঙ্গিন কাগজ দিয়ে কুয়ো শোপিচ তৈরি করেছেন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া।
এই শোপিচ তৈরিতে করেছে অনেক ধৈর্য ও দক্ষতার সাথে। এতো সুন্দর
রঙ্গিন কাগজ দিয়ে কুয়ো শোপিচ তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য। আপনার জন্যও শুভ কামনা রইলো আপু।
রঙিন কাগজ দিয়ে আপনি কিভাবে এত সুন্দর একটি শোপিস তৈরি করলেন আমি সেটাই বসে বসে চিন্তা করছি। এত সুন্দর বানানো কি করে সম্ভব হল। আপনার সৃজনশীল প্রতিভা অনেক বেশি ।আমার কাছে আপনার বালতি টি সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে ।পুরো শোপিস টি এত সুন্দর হয়েছে বলার ভাষা খুজে পাচ্ছিনা ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি শোপিস আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
আপনার মন্তব্য দেখলে আমি অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হই আপু। আমাকে সব সময় এভাবে অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভ কামনা রইলো প্রিয় আপু।
অসাধারন ভাইয়া। সম্পূর্ণ ইউনিক একটি চিন্তাভাবনা। আসলে কাজের প্রক্রিয়াটা অনেক সহজ। কিন্তু এই কাজের চিন্তা ভাবনা টা খুজে বের করা টাই হচ্ছে সবথেকে কঠিন কাজ। কিন্তু আপনি সেই কঠিন কাজটি কে খুব সহজেই সম্পন্ন করেছেন আর তার প্রত্যেকটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। এ জন্য আপনাকে জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আপনার ভালো লেগেছে শুনে মনটা খুশি হয়ে গেলো ভাইয়া। সবই সম্ভব হয় আপনাদের এত সুন্দর অনুপ্রেরণা মূল্যক মতামত এর জন্য। ভালোবাসা অবিরাম প্রিয় ভাই।
বাহঃ দারুন জিনিস বানিয়েছেন তো রঙিন কাগজ দিয়ে কুয়ো অসাধারণ হয়েছে। খুবই ভালো লাগছে মনে হচ্ছে কুয়ার পাড়ে গিয়ে বালতিতে করে পানি উঠাই।যদিও কোনদিনও ওঠায়নি।খুব ছোটবেলায় যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম তখন আমাদের বাড়িতে একটা কুয়ো ছিল তখন দেখেছি মানুষজন শেখান থেকে পানি উঠাতো অনেক আগে আমি তখন একেবারে ছোট ভালো করে বুঝতাম না।আজ অনেক দিন পর আবার দেখতে পেলাম খুবই ভালো লাগছে ধন্যবাদ।
হাহা চলে আসেন আপু এসে পানি নয়ে জান। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আমাকে এভাবে উৎসাহিত করার জন্য। শুভ কামনা রইলো আপু আপনার জন্য।
অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া আপনার কুয়োর শোপিসটি।অত্যন্ত পরিশ্রম এবং ধৈর্যের সাথে যে এটি তৈরি করেছেন তা আপনার পোস্টটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে।ধাপ ক্রমান্বয়ে তৈরি এবং বর্ণনা দারুণ ছিল।কুয়োর আশেপাশের ছোট উদ্ভিদগুলো এর সৌন্দর্য কে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।শুভকামনা রইলো ভাইয়া আপনার জন্য।
জি ভাইয়া এই কাজ গুলোতে প্রচুর ধৈর্যের প্রয়োজন, সময় লাগে অনেক তবুও বেশ মজার কাজ এগুলো।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অসাধারণ একটি শোপিচ তৈরি করেছেন। দেখতে বোঝা যাচ্ছে না এটা কাগজ দিয়ে তৈরি। খুবই সুন্দর লাগছে।
ধন্যবাদ আপনাকে
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।