মজাদার পায়েস রান্নার রেসিপি |•| 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালই আছি।
সবাইকে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আজ ঈদ আর এই ঈদে প্রায় আমাদের সকলের বাসায় বিভিন্ন রকম মিষ্টি জাতীয় খাবারের আয়োজন করা হয়। আর সেই মিষ্টি খাবার গুলোর মধ্যে পায়ের অন্যতম। আমি মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে একটু কমই পছন্দ করি। উল্লেখযোগ্য কিছু মিষ্টি খাবার রয়েছে যেগুলো খেতে আমার ভালই লাগেনা। আর আমার ভালোলাগার মিষ্টি খাবার গুলোর মধ্যে একটি।
আমার বাসায় উৎসব ছাড়াও মাঝে মাঝেই পায়েস রান্না করা হয়। আমার বাবা এই পায়েস খেতে খুবই পছন্দ করে। বিশেষ করে আমার আম্মুর হাতের পায়েস মজা হয়। মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ এমনিতেই একটু বেশিই হয়। তাই আমি অন্য কোথাও পায়েস খুব একটা না খেলেও আম্মুর হাতের রান্না করা পায়েস খাই।
এই পায়েস রান্না করা খুবই সহজ এবং স্বল্প কিছু উপাদানের সাহায্যে আমরা পায়েস রান্না করে ফেলতে পারি। যেহেতু পায়েস রান্না করতে বেশি উপাদানের প্রয়োজন হয় না সেহেতু এটা রান্না করা খুবই সহজ। আর আমার এই পোস্টে আমি খুব সহজেই আপনাদের মাঝে পায়েস রান্না করার রেসিপি উপস্থাপন করব। আশা করি আমার এই পোস্টটি দেখে যে কেউ খুব সহজেই পায়েস রান্না করে ফেলতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক পায়েস রান্নার প্রক্রিয়া।
উপকরণের ছবি | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
তরল দুধ | ২ লিটার | |
পোলাও এর চাল | ২৫০ গ্রাম | |
সাদা এলাচ | ৬-৭ টি | |
চিনি | স্বাদ অনুযায়ী | |
গুড়া দুধ | পরিমাণ মতো |
⊕ ধাপ-১ ⊕
প্রথমে আমরা একটি নন স্টিকের কড়াইয়ে দুধগুলো নিয়ে নেব। তারপর দুধগুলোকে চুলায় বসিয়ে দিতে হবে।
⊕ ধাপ-২ ⊕
দুধগুলো গরম হয়ে এলে ভালো করে ধুয়ে নেয়া পোলাওয়ের চাল গুলোকে আমরা দুধে ছেড়ে দেব।
⊕ ধাপ-৩ ⊕
আমরা যেরকম মিষ্টি খেতে পছন্দ করি ঠিক সেই পরিমাণে চিনি যোগ করব।
⊕ ধাপ-৪ ⊕
এবার সাদা এলাচ গুলোকে হালকা ফাটিয়ে দুধে ছেড়ে দেব।
⊕ ধাপ-৫ ⊕
এবার পরিমাণমতো গুঁড়োদুধ যোগ করব।
⊕ ধাপ-৬ ⊕
সবগুলো উপাদান যোগ করা হয়ে গেলে কড়াইটিকে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে ।
⊕ ধাপ-৭ ⊕
তারপর চুলায় জ্বাল দিতে দিতে যখন দুধ গুলো শুকিয়ে পায়েস ভারী হয়ে আসবে তখন বুঝতে হবে পায়েস হয়ে গিয়েছে। পায়েস গুলো ভারী হয়ে এলেই চুলা থেকে নামিয়ে উপর দিয়ে কিছু কিসমিস ছিটিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার পায়েস।
আজ তাহলে এই পর্যন্তই, আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে আমার অন্য কোন এক পোস্টে, সে অব্দি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল সকলের জন্য।
YouTube |
---|
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো। মজাদার পায়েস রান্নার রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
আপনাকেও ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাইয়া। আমার বাসায় এখনও পায়েস রয়েছে তাড়াতাড়ি চলে আসুন দাওয়াত রইলো আপনার জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার কাছে এভাবে পায়েস খেতে খুবই ভালো লাগে।আপনি খুব সুন্দর ভাবে পায়েস তৈরি করেছেন। আপনার পায়েস দেখতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।ধন্যবাদ সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আহারে কি সুস্বাদু ও মজাদার পায়েস। তাও আবার আপনার মায়ের হাতের। আপনার মায়ের হাতের পায়েস খেতে অনেক অনেক মজার হয়ে থাকে সে বিষয়ে খুবই ভালো ধারনা আছে। আপনার মায়ের হাতে তৈরি মজাদার পায়েস দেখেই খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে। এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি কিভাবে তৈরি করেছেন, তার প্রতিটি ধাপ দেখিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঠিকই বলেছ মামা আম্মুর হাতের পায়েস এর আলাদা রকম একটা মজা হয়। এবারও তো খেয়েছ আশা করি তোমার কাছে ভাল লেগেছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মিষ্টি জাতীয় জিনিস খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। যদিও মিষ্টিজাতীয় জিনিসে এখন একটু খুব কম খাই। তবে আপনার পায়েস রান্নার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। দেখে বোঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছে। সেইসাথে বর্ণনা আপনার মাশাল্লাহ ভালো ছিল।প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমি তেমন মিষ্টি জাতীয় জিনিস খাই না, তবে ঈদের সময় একটু বেশি খাওয়া। ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
দেখেই তো লোভ লেগে যাচ্ছে আপু।অসাধারন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি দারুন হয়েছে বেশ গুছিয়ে সুন্দর ভাবে প্রতিটা ধাপ উপস্থাপনা করেছেন শুভ কামনা রইলো।
ভাইয়া আমি তো আপু না 😁
যাইহোক আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার পায়েস রেসিপি সত্যিই অনেক মজাদার হয়েছে দেখে বোঝা যাচ্ছে পায়েস আমার মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পায়েস রান্নার রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধাপে ধাপে। ঈদের দিনে আমাদের সবার বাড়িতেই মিষ্টিজাতীয় খাবার রান্না করা হয় একটি ঈদুল ফিতরের অন্যতম একটি দিক। যাইহোক এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি আপু প্রাইস গুলো খেতে সত্যি খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
মজাদার পায়েস রান্নার রেসিপি অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে ভাইয়া। পায়েস দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু রয়েছে। আপনার মা রান্না করেছে তাহলে তো কোন কথাই নেই। মা এদের হাতের রান্না সব সময় সুস্বাদু হয়। পায়েস রান্নার রেসিপি প্রতিটি ধাপ এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন আপু মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ সত্যিই অনেক বেশি হয় । আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
ইস কি সুস্বাদু ও মজাদার পায়েস আপনার মায়ের হাতের রান্না করা দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না। আমারও মায়ের হাতের পায়েস খেতে অনেক অনেক মজা লাগে মনে হয় যেন দুই-তিনদিনের স্বাদটা মুখে লেগে থাকে। আপনার মায়ের হাতে তৈরি মজাদার পায়েস দেখেই খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি কিভাবে তৈরি করেছেন, তার প্রতিটি ধাপ দেখিয়ে দেওয়ার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আমি মিষ্টিজাতীয় খাবার খুব একটা পছন্দ করি না তবে আম্মু পায়েস রান্না করলে খাই কারণ সেটা খুবই সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।