কাল প্রায় সারাটা দিন বাহিরে কিছু কাজে ব্যাস্ত ছিলাম। বাসায় ফিরি বিকাল বেলা সন্ধার আগে আগে। বাহিরে প্রচুর গরমের কারনে বাসায় ফিরে প্রচুর ক্লান্ত বোধ করছিলাম। তাই রুমে ধুকেই একটু সুয়ে পরি। গসল করা হয় নি, তাতে কি আগে একটু বিশ্রাম নেই তার পর গোসল করা যাবে। কিছুক্ষণ সুয়ে থাকার পরেই আমার ফোনে (@mayedul) মামার কল আসলো, মামা ফোন দিয়ে বললো আমি বাজারে দাঁড়িয়ে আছি তুমি তারা তারি আসো একটা ওয়াইফাই রাউটার কিনবো। আসলে মামার বাসায় ইন্টারনেট খুবই ধীরগতিতে চলে, এককথায় বলতে গেলে মামা বাসায় বসে পোস্ট করতেই পারে না। তাই আমি মামাকে বলেছিলাম বাসায় একটা ওয়াইফাই লাইন নিতে, তাহলে কাজ করে মজা পাবা। তাই মামা দেরি না করে আমাকে বিকেলেই কল দিলো রাউটার ক্রয় করার জন্য।

তারপর তারাতাড়ি গোসল করে বাসায় আর দেরি না করে বেরিয়ে পরি। তারপর বাসার মোরে গিয়ে একটা অটো রিক্সায় চেপে পরলাম। আমার বাসার এখান থেকে বাজার যেতে সময় লাগে ১০ মিনিটের মত। বাজার যেতে যেতেই সন্ধ্যা হয়ে যায়। মাগরিবের নামাজের সময় হয়ে যাওয়ায় মামা নামাজে ঢুকে তাই আমি মসজিদের বাহিরে দারিয়ে কিছুক্ষন মামার জন্য অপেক্ষা করছিলাম আর আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট পড়ছিলাম।

নামাজ শেষে মামা তারাতাড়ি মসজিদ থেকে বের হয় কারন আমি তারাতারি বের হতে বলেছিলাম। মামা আসার পর সেখানে আমরা আর দেরি না করে মার্কেটে প্রবেশ করি। অনেক গুলো দোকান ঘুরলাম, সব খানেই ডাকাতের মত দাম চাচ্ছে। দোকানদার গুলো ভেবেছিলো আমরা মনে হয় রাউটার এর দাম জানিই না হাহাহা।

অনেক গুলো দোকানে দেখার পর একটা দোকানে ভালো দামে রাউটার পেয়ে গেলাম। তাই আর দেরি না করে কিনে ফেললাম রাউটার। মামা যেহেতু অনলাইনে কাজ করবে তাই ভালো মানের একটা রাউটার নিয়ে দিয়েছলাম।

তারপর মার্কেট থেকে বেরিয়ে মার্কেটের সামনে আমি এবং মামা অনেক্ষন দারিয়ে গল্প করলাম। মামা ফার্মাসিটিক্যালস কম্পানিতে এরিয়া ম্যানেজার পদে কর্মরত আছেন সে কারণে তাকে সারা দিন বাহিরে থাকতে হয় । তাই তার নাকি খুদা লেগে গিয়েছিলো। তাই দুজন ভাবতে লাগলাম কি খাওয়া যায়। আমারো মোটামুটি খুদা লেগেছিলো, কিন্তু ভারি জিনিস খাওয়ার রুচি ছিলো না।

দুজন ভাবতে ভাবতেই মার্কেটের সামনে একটি ফুচকার দোকান চোখে পরলে। সেই দোকানে ফুচকার পাশাপাশি চটপটি সহ আরো বিভিন্ন ধরনের আচার পাওয়া যায়। সেই দোকানের কাছে যেতেই আমার লোভ লেগে গিয়েছিল ।

মামার যেহেতু খুদা লেগেছিলো তাই দেরি না করে আমরা ২ প্লেট ফুচকা অর্ডার করি। সেখানে প্রচুর পরিমানে লোক দারিয়ে ছিলো সেটা দেখেই বুঝে গিয়েছিলাম খাবার এর মান ভালোই হবে। দোকানটিতে শুধু একজন দোকানদার ছিলো তাই সবাইকে খাবার পরিবেশন করতে একটু সময় লেগেছিলো।

অবশেষে আমরা আমাদের অর্ডার করা ফুচকার প্লেট হাতে পাই। আমার মতে ফুচকার মধ্যে যেই টকটি দেয়া হয় সেই টকটির উপরে ফুচকার স্বাদ নির্ভর করে। আর সেই দোকানের টকটি দেখেই আমি বুঝেছিলাম এই ফুচকা খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। খাওয়ার পর বুঝলাম ফুচকা গুলো খেতে সত্যি ভীষণ মজার ছিল। দোকানটি ছোট হলে কি হবে এখানে খাবারের মান সত্যিই অসাধারণ। আমার কাছে এরকম রোডসাইড ফুড স্টলগুলোতে খেতে বেশ ভালোই লাগে।

বাহিরে গিয়ে ফুচকা খেলাম একটু ঘুরাঘুরি করলাম এখন চা না খেলে কি চলে? চা প্রেমি বলে কথা। সেখানে পাশেই একটি চায়ের ছোট স্টল ছিল। তারপর আমরা সেই স্টলে এ গিয়ে দুটি চায়ের অর্ডার করি। সেখানে চা খেতে বেশ মজার ছিল। বেশ ভালই লেগেছিল সেখানে চা খেতে। আমার কাছে বড় বড় হোটেলে থেকে এরকম ছোট স্টলের চা খেতে বেশি ভালো লাগে।

যেহেতু সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে তাই সেখানে চা খেয়ে আমরা আর দেরী করলাম না কারন বাসায় গিয়ে আবার ওয়াইফাই লাইন লাগাতে হবে। এদিকে আমি আগেভাগেই ওয়াইফাইয়ের লোককে বাসায় ফোন দিয়ে ঢেকে নিয়েছি। তাই তাড়াতাড়ি আমরা দুজন একটি রিকশা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই।

আজ তাহলে এই পর্যন্তই। আপনাদের সাথে আবার কোন একদিন দেখা হবে আমার অন্য কোন এক পোস্টে। সে অব্দি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল সকলের জন্য।

JOIN WITH US ON DISCORD SERVER