আমার বাংলা ব্লগের প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা, প্রতিদিনের মতো আজকে আবারো নতুন আরো একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সবার মাঝে। আজকের এই পোস্টটি সাজিয়েছিলাম কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি নিয়ে। যাইহোক আজ একমাস পর আমি মাত্র দুই দিনের ছুটিতে আমার নিজ বাসায় এসেছি। তো নিজ বাসায় আসার পরে এমনিতে প্রচুর বৃষ্টি ছিল এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটু ব্যস্তময় সময় পার করছিলাম। আমি আজকে কি পোস্ট করবো সেটা যখন ভেবে পাচ্ছিলাম না তখন মোবাইলে গ্যালারি খুঁজে এই সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো পেয়েছিলাম। যা এখন আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি। তো বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক আমার হাতে উঠানো সুন্দর কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি।

আপনারা এখন যে ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে একটা চাপ্রি পিঠার স্টল। এই স্টলটি ঢাকা মিরপুর ১৩ সিটি কর্পোরেশন অফিসের পাশে বসে। এর পাশ দিয়েই আমার বাসায় যাতায়াত করতে হয় । তো আমি যখন অফিসে কাজ শেষ করে বাসার দিকে আসি প্রতিদিনই আমি একটা হোক দুটো হোক খেয়ে থাকি এই চাপ্রি পিঠাগুলো। এইখানে প্রায় ২৪ ধরনের ভর্তা পাওয়া যায়। যার যে ধরনের ভর্তা পছন্দ সে সেই ধরনের ভর্তা নিয়ে এই চাপ্রি পিঠাগুলো খেয়ে থাকে। তবে এই পিঠাগুলো কিন্তু আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। আর এই ভালোলাগা সেই মুহূর্তটা ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ।

এখন যে ফলের ফটোগ্রাফিটা দেখতে পাচ্ছেন এটা কম বেশি আমরা সবাই চিনি এটা হচ্ছে পেঁপে। এই ফটোগ্রাফিটা উঠেছিলাম আমি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের পাশে কচুক্ষেতের ফলের দোকান থেকে। এই পেঁপে গুলোর উপর হালকা একটু তেলের প্রলেপ দিয়ে পলি দিয়ে সুন্দর করে ঢেকে রেখেছে। যা যেকোন মানুষকেই আকৃষ্ট করবে। আর এই ফলের ডিসপ্লেটা দেখতে আমার ভালো লেগেছিল বিধায় ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এখন যে ফলের ফটোকপিটা দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে শরিফা ফল। প্রথমে আমি দূর থেকে ভেবেছিলাম এটা আতা ফল পরে কাছে গিয়ে দোকানদার কে জিজ্ঞেস করলে উনি বলেন এটা শরিফা ফল। তবে এই ফলটা দেখে আমার ভালো লেগেছিল আর ভালোলাগার জন্য ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম।

এখন যে ফটোগ্রাফিটা দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে তালের গুড় এর ফটোগ্রাফি। মূলত আমি আখের গুড় কিনতে গিয়েছিলাম। তখন এই তালের গুড়ের কথা জিজ্ঞেস করলে দোকানদার বলেন যে তালের গুড়টা অনেক ভালো । আর এই তালের গুড়টা এসেছিল বাগেরহাট থেকে। তারপর আমাকে একটু গুর দিল টেস্ট করার জন্য। আমি খেয়ে দেখলাম অনেক ভালোই লাগলো। তখন আমি হাফ কেজি নিলাম আমার কাছ থেকে নিয়েছিল ১৬০ টাকা। আমি আগে কখনো তালের গুড় খাইনি বিধায় এই ফটোগ্রাফিটা উঠিয়েছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এখন যে ফটোগ্রাফিটা দেখতে পাচ্ছেন এটাও কচুক্ষেত বাজারের ভিতর থেকে উঠিয়েছিলাম। আমি যখন বাজারে ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন হঠাৎ করেই এই জলপাইয়ের বলটা দেখতে পাই। এই বছরে এই প্রথম জলপাই গুলো দেখতে পেয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম। আশা করি জলপাইয়ের ফটোগ্রাফিটা আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

এখন যে ফটোগ্রাফিটা দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে একটি মাল্টা গাছের ফটোগ্রাফি। এ মালটা গাছ সহকারে অনেকগুলো ফুলের গাছ নিয়ে যাচ্ছিল একটি ভ্যানে করে। তো পুরো ভ্যানের ভিতরে এই মালটা গাছটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল বিধায় আমি ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

অবশেষে আমার ফোনের গ্যালারি থেকে সুন্দর এই এলোমেলো ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। আশা করি এই ফটোগ্রাফিগুলো দেখার পরে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে । তো বন্ধুরা আজ তাহলে এ পর্য্যন্ত্যই, পরবর্তীতে যে কোন একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের সবার মাঝে। সে পর্য্যন্ত্য আপনারা পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।