বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ২... || ১০% বেনিফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ২... এর আনন্দ ও অনুভূতি টুকু শেয়ার করবো। মোটর বাইকে করে ঘুড়ে বেড়াতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর তাই মাঝে মাঝেই বেরিয়ে পড়ি বাইক ট্যুর করার জন্য। আর তারই ধারাবাহিকতায় আমি পদ্মা সেতু ও কুয়াকাটা ঘুরে এসেছিলাম।
এই পদ্মা সেতু ও কুয়াকাটা বাইক ট্যুর এর আগে আমি @mahir4221 সহ সিলেটের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে এসেছিলাম। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের তেতুলিয়া, লালমনিরহাট জেলার ডালিয়া ব্যারেজ, পাটগ্রাম বুড়িমারী স্থলবন্দর ও তিন বিঘা করিডর, জামালপুর ও শেরপুর জেলার মধুটিলা, গজনী, কর্ণঝড়া, লাউচাপড়া, আবার দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী ও রামসাগর বাইক ট্যুর করেছিলাম। এবং আমার ব্যক্তিগত কাজ নিয়ে আমার অর্ধাঙ্গিনী সহ দুই বার ঢাকা গিয়েছিলাম। আর এবার আমি পদ্মা সেতু ও কুয়াকাটা বাইক ট্যুর করে ফিরে আসলাম।
আমি কিভাবে এতদূর জার্নি সম্পন্ন করেছিলাম তা অল্প অল্প করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। যদিও বা প্রথম দিকে আমি এতদূর জার্নি করতে ইচ্ছুক ছিলাম না। তবুও কেন জানি হঠাৎ করে শখটা মনকে চেপে ধরে বসলো কুয়াকাটা দেখার জন্য। আর তাই দিক বিদিক চিন্তা ভাবনা না করেই কুয়াকাটা পর্যন্ত বাইক ট্যুর সম্পন্ন করেছিলাম। এই বাইক ট্যুর করার সময় আমরা বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বিরতি দিয়েছিলাম। বিশেষ করে ভোরবেলা যখন না খেয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলাম, আর তাই রেস্টুরেন্টে খাবারের জন্য বিরতি দিয়েছিলাম। সেই সময়টুকু আজ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।
আমরা হোটেলের ভিতরে প্রবেশ করে দেখলাম সকালের সব পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। তাই হোটেলটিকে খুবই ঝকঝকে চকচকে মনে হচ্ছিল। আমরা হোটেলটির এক পাশে টেবিল চেয়ারে বসে পড়লাম নাস্তা করার জন্য। আর সে সময়টিতে আমি দুই একটি ছবি তুলে নিই আমার মোবাইল ফোনে।
আমরা সকালের নাস্তার জন্য বেশ কিছুটা সময় টেবিলে বসে রইলাম। আমি এর আগেও এই হোটেলটিতে বেশ কয়েকবার এসেছিলাম। তবে তখন এসেছিলাম বাসের যাত্রী হিসেবে আর এখন মোটরবাইকে করে এসেছি। এই হোটেলটিতে সব সময় রাতের বেলাতে এসেছিলাম, আর সেদিন হোটেলটির এতো সকালের মনোরম পরিবেশ দেখতে পেয়েছিলাম।
আমরা সকালে নাস্তা হিসাবে তন্দুর রুটি, মিক্সড ভেজিটেবল, ডিম, মিনারেল ওয়াটার ও চায়ের অর্ডার করেছিলাম। রেস্টুরেন্ট যেমন ঝকঝকে চকচকে তেমনি তার খাবারের মানও খুবই ভালো ছিলো। তবে দামের পরিমাণ আমাদের কুড়িগ্রামের চাইতে অনেক অনেক বেশি।
আমরা খুবই তৃপ্তি সহকারে সকালের নাস্তা শেষ করেছিলাম। আমরা অনেকটা রাস্তা পার হয়ে এসেছিলাম সকালের নাস্তা টা করতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে প্রচন্ড ক্ষুধার্ত অবস্থায় খাবারগুলো খেয়ে আমাদের কাছে ভীষণ রকম ভালো লেগেছিল।
আমরা আবারো যাত্রা শুরু করলাম। চলতে চলতে পৌঁছে গেলাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু। এই সেতুটি গত মাসেও বাংলাদেশের প্রথম বৃহত্তম সেতু ছিল। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে এই যমুনা সেতু দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে। মোটরবাইকে করে যমুনা সেতুতে প্রবেশ করার মুহূর্তে দুই একটি ছবি তুলে নেই আমার মোবাইল ফোনে। আজ আর লিখছি না আবারো দেখা হবে পরবর্তী বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৩... নিয়ে।
আশা করি আমার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ২... পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই বাইক রাইডে প্রোপার সেফটি গিয়ার ইউজ করবেন আর সাবধানে চালাবেন।আপনার অভিজ্ঞতা জানতে পেরে ভাল লাগল।অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
ছবি দেখে বুঝা যাচ্ছে বগুড়ার পেন্টাগন রেস্টুরেন্টে আপনার সময়টুকু ভাল কেটছে। খাবারগুলো দেখতে ফ্রেশ লাগছে। বাইক ট্যুর নাকি অনেক মজার হয় যদিও আমি কখনো করিনি। যেখানেই বাইক নিয়ে যাবেন সাবধানে যাবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো।আর তেল এর যে দাম এতো দামি তেল দিয়ে আপনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া বাইক ট্যুর অনেক আনন্দদায়ক হলেও ঝুঁকি থেকে যায়। সে ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই আপনি অনেক সাবধানতার সাথে বাইক ট্যুর করছেন। আপনার বাইক ট্যুর এর পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে ভ্রমণ করার মাঝেই জীবনের প্রকৃত সুখ খুঁজে পাওয়া যায়। আর হোটেলের পরিবেশটা দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বেশ পরিপাটি একটি হোটেল।
আপনি দেখছি বাইক নিয়ে অনেক বড় বড় ট্যুর দিয়েছেন। বেশ ভালো লাগল দেখে। যমুনা সেতু সম্পর্কে জানি কিন্তু কখনো দেখিনি। বেশ চমৎকার ছিলা আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা টা। ধন্যবাদ
আপনাকে।।