বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ১... || ১০% বেনিফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারও ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ১... এর আনন্দ ও অনুভূতি টুকু শেয়ার করবো। পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে আমার মনে মনে প্ল্যান ছিল বাইকে করে পদ্মা সেতু ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দেখতে যাওয়ার। এজন্য কয়েক জন বন্ধু মিলে প্ল্যান প্রোগ্রাম করেছিলাম বাইকে করে পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়ার । কিন্তু প্রথমেই যেন আমাদের যাত্রা পথে বাধা এসে গেল। কেননা আমার বন্ধুরা তাদের অফিসিয়াল আবার কেউ ব্যবসার কাজের জন্য আমার সাথে বাইক ট্যুরে যেতে পারবেনা বলে জানিয়ে দিল।
কিন্তু আমি সেই বাধা কে কোন প্রকার তোয়াক্কা না করেই আমার অর্ধাঙ্গিনীর সাথে প্লান প্রোগ্রাম শুরু করে দিলাম। এখানেও যেন বাধার কোন শেষ নেই। কেননা আমার অর্ধাঙ্গিনী সরকারি প্রাইমারি স্কুলের টিচার, তার ছুটির জন্য আমাকে বেশ কয়েকটা দিন ধৈর্য ধরতে হলো। যাইহোক অবশেষে সেই দিনটি এলো যেদিন আমি আর আমার অর্ধাঙ্গিনী মিলে পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়ার জন্য বাইক ট্যুরে বেরিয়ে পড়লাম।
আমরা ফজরের আযানের সাথে সাথেই পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়ার জন্য কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। এত সকালে রাস্তাঘাট ছিল একদম ফাঁকা। তাই আমরা সকাল আটটার মধ্যে বগুড়া শহরকে অতিক্রম করতে পারলাম। পথিমধ্যে দাঁড়িয়ে আমাদের দুজনের দুই একটি ছবি তুলে নিলাম স্মৃতি হিসেবে রয়ে যাবে আমার মুঠোফোনে।
হঠাৎ দেখি আকাশে মেঘের উদয় হলো, রাস্তাটাও মোটামুটি ফাঁকা। যেহেতু আমরা বাইকে ছিলাম তাই চিন্তায় পড়ে গেলাম পথের মধ্যে বৃষ্টির কবলে না পড়ে যাই। আকাশে মেঘের কারণে সূর্যের তাপে একদম কমে গেল। আর আমরা ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় মোটরবাইকে করে আমাদের গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম।
কিছু দূর যাওয়ার পরে আকাশে আবারো সূর্যের হাসি দেখতে পাওয়া গেল। তাই আমাদের চিন্তাটা অনেকটাই কমে গেল। আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে মোটরবাইকে করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম। মাথার উপরে যখন সূর্যটা হাসি দিয়ে উঠলো তখনকার মনমুগ্ধকর পরিবেশ সত্যিই অনেক অনেক ভালো লেগেছিল।
আমাদের যাত্রাকালে আমরা দুই বার চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে চা বিস্কিট খেয়েছিলাম। কিন্তু সেই চা বিস্কিট আমাদের পেটের ক্ষুধা নিবারণ করতে পারেনি। তাই যতদূর যাচ্ছিলাম পেটের ক্ষুধা যেন দাউদাউ করে জ্বলছিল। তাই সকালের নাস্তা করার জন্য আমরা ফুড ভিলেজ (Food Village) এ গিয়ে উপস্থিত হলাম। এই ফুড ভিলেজ (Food Village) রেস্টুরেন্টটি বগুড়া জেলার শেরপুরে অবস্থিত একটি অত্যাধুনিক রেস্টুরেন্ট হিসেবে পরিচিত। যা উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা গামী যাত্রীদের বিরতির জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।
আমরা গাড়িতে করে যতবারই এই ফুড ভিলেজ (Food Village) এ এসেছিলাম ততবারই প্রচন্ড ভিড় দেখেছিলাম। এই প্রথম বাইকে করে এসে সকালের দৃশ্য দেখতে পেলাম রেস্টুরেন্ট একদম ফাঁকা। এরকম দৃশ্য আগে কখনো দেখিনি। পরে জানতে পারলাম রেস্টুরেন্টটি সকাল পাঁচটা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত কর্ম বিরতি ছিল। তাই আমরা সেখানে একটুও দেরি না করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম, ভালো কোনো রেস্টুরেন্টের আশায়। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই আরেকটি রেস্টুরেন্ট পেয়ে গেলাম। এই রেস্টুরেন্টটি বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের নামকরা অভিনেতা ডিপজল মহোদয়ের। রেস্টুরেন্টটির নাম ছিল পেন্টাগন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট (Pentagon Hotel & Restaurent)। এই রেস্টুরেন্টটিতেই আমরা সকালের নাস্তার কাজটি সেরে ফেললাম।
আজ এখানেই শেষ করছি। আগামীতে বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ২... নিয়ে অবশ্যই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব।
আশা করি আমার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ১... পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
আপনার বাইক ট্যুর এর গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া । গল্পটি অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনাদের সবার জন্য শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। পরবর্তী পোস্ট দেখার আমন্ত্রণ রইল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যাক ভাই চমৎকার আপনার বাইক ভ্রমণ দেখতে পেলাম । আস্তে আস্তে পরবর্তী পর্বগুলো পাবো আশা রাখছি অলরেডি আগেই জেনেছি আপনি প্রায় সাড়ে ৭০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করেছেন। তাহলে পদ্মা ব্রিজ থেকে আপনার ভ্রমণের শুরু। ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকেন এই কামনা করছি।
ভাই আমি মোট ৯০০ কিলোমিটার জার্নি করেছিলাম। আর সেই সময়গুলো নিয়ে পরবর্তী পোস্ট তৈরি করব। আশা করি পরবর্তী পোস্টগুলো দেখে নেবেন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনি অনেক ব্যস্ত মানুষ ভাই ,আপনার ব্যস্ত জীবন থেকে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আসলে বাইক ট্যুর অনেক ভালো লাগে। খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে লেখাগুলো উপস্থাপন করেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটা পড়ে।
ভাই বাইক ট্যুর আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বাইক ট্যুর আমার অনেক পছন্দ মাঝেমধ্যেই ছুটে চলে যায় আশেপাশ এলাকাতে ঘুরতে। আপনার বাইক ট্যুরের পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো আপনার জন্য সফলভাবে আপনি একটু সম্পন্ন করতে পারেন সেই দোয়াই রইল
ভাই আমিও ভ্রমন করতে ভালোবাসি। আর তাই মাঝে মাঝেই আমার বাইকটি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করে বেড়াই। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।