মজাদার কাঁচা আমের ভর্তা || ১০% বেনিফিশিয়ারি shy-fox 🦊 এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপি টি উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। টক-ঝাল-মিষ্টি স্বাদের কাঁচা আমের ভর্তা খেলে সত্যিই শরীরটা অনেক চাঙ্গা হয়ে যায়। আমের সিজন আসলেই আমরা হয়তো অনেকেই, ঝরে পড়া আম, অথবা কোটা দিয়ে পাড়া আম বাসায় নিয়ে এসে এভাবে টক ঝাল মিষ্টি মিষ্টি দিয়ে মজাদার কাঁচা আমের ভর্তা তৈরি করে খাই। আমের সিজন আসলেই কাঁচা আমের টক ঝাল মিষ্টি দিয়ে মজাদার আমের ভর্তা তৈরি করা হয় না এমন কোন কথা নেই। কেননা এটি একটি কমন রেসিপি। আর এই রেসিপি আমরা সকলে সাধারণত তৈরি করে খেয়ে থাকি।
আমরা সকলেই জানি কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। সবুজ কাঁচা আম খেলে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। কাঁচা আম মুখে নিয়ে চিবাতে পারলে পিত্তথলির এসিড ও পিত্তরস বৃদ্ধি পায় যার কারণে লিভার অনেকটাই সুস্থ থাকে। আবার কাঁচা আম গ্রহণ করতে পারলে রক্তশূন্যতা কমে যায়। কাঁচা আমের অনেক উপকারিতা আছে। আমাদের শরীরটা যখন ক্লান্তি বোধ হয় তখন যদি কাঁচা আম এভাবে ভর্তা করে খাওয়া যায় তাহলে শরীরটা অনেক চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তাই আমাদের সকলেরই উচিত কাঁচা আম খাওয়া।
আজ আমি মজাদার কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপি কিভাবে তৈরি করেছি তার প্রতিটি ধাপ আপনাদের মাঝে অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। কাঁচা আমের এই মজাদার রেসিপি আপনারা ইচ্ছা করলে কাঁচামরিচ দিয়ে ভর্তা করে খেতে পারেন। তবে আমার কাছে শুকনা মরিচ দিয়ে ভর্তা করে খেলে সব থেকে ভালো লাগে। কেননা শুকনা মরিচের আলাদা একটা ফ্লেভার আছে যার কারণে কাঁচা আমের ভর্তার বেশি স্বাদ পাওয়া যায়। আর তাই আমি এই রেসিপিতে শুকনা মরিচ ব্যবহার করেছি। আজ আর কথা বাড়াচ্ছি না, তাই আমি কিভাবে এই মজাদার কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছি তার প্রক্রিয়া দেখিয়ে দিচ্ছি।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | কাঁচা আম | বড় ৬ টি |
২ | শুকনা মরিচ | ৫ টি |
৩ | লবণ | পরিমাণমতো |
৪ | বিট লবণ | পরিমাণ মতো |
৫ | সয়াবিন তেল | সামান্য পরিমাণ |
৬ | চিনি | ৩ চা চামচ |
৭ | চাকু/বটি | ১ টি |
" ধাপ : ১ "
প্রথমে কাঁচা আম গুলো গাছ থেকে পেড়ে আনার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
" ধাপ : ২ "
এবার আম গুলো ধুয়ে নেবার পর চাকু অথবা বটির সাহায্যে আমের খোসা গুলো ছাড়িয়ে নিতে হবে।
" ধাপ : ৩ "
এবার আমের খোসা গুলো ছাড়িয়ে নেবার পর সবজি কাটারের সাহায্যে কাঁচা আমগুলো কুচি করে কেটে নিতে হবে।
" ধাপ : ৪ "
কাঁচা আম গুলো গ্রেট করে নেয়ার পর, উপরে দেয়া চিত্রের মত করে সবগুলো কাঁচা আম গ্রেট করে নিতে হবে।
" ধাপ : ৫ "
এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে উপকরণে নেয়া সামান্য পরিমাণ সয়াবিন তেল কড়াইতে ঢেলে দিয়ে শুকনা মরিচ গুলো কড়াইতে ছেড়ে দিতে হবে।
" ধাপ : ৬ "
শুকনা মরিচ গুলো কড়াইতে ছেড়ে দেবার পর, উপরে দেয়া চিত্রের মত করে ভেজে নিতে হবে।
" ধাপ : ৭ "
এবার শুকনা মরিচ গুলো ভেজে নেয়ার পর উপকরণে নেয়া লবণ, বিট লবণ, চিনি এবং শুকনা মরিচ গ্রেট করা আমের পাত্রের একপাশে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে।
" ধাপ : ৮ "
এবার লবণ, বিট লবণ, চিনি এবং শুকনা মরিচ গুলো মাখিয়ে নেবার পর, গ্রেট করা আমের সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।
" ধাপ : ৯ "
এবার মাখিয়ে নেবার পর আলাদা একটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে, আপনার মনের মত করে সাজিয়ে নিন।
আশা করি আমার তৈরি মজাদার কাঁচা আমের ভর্তার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
সকাল সকাল কাঁচা আমের ভর্তা দেখালেন কেন!এমনিতেই খালি পেট তারমধ্য মজাদার রেসিপি। একেবার জিবে জল ধরে রাখা মুশকিল হয়ে গেছে। দারুণ চমৎকার ভাবে দেখিয়েছেন কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপি। এটি আমার খুব পছন্দ। এত দারুণ ভর্তা রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু অনেক অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
কাঁচা আমের সময় যদি এভাবে ভর্তা তৈরি করে খাওয়া না হয় তাহলে আমের এই সিজনটা যেনো বৃথাই কাটানো হয় ।আপনার কাঁচা আমের তৈরি করার ভর্তা দেখেই আমার মুখে পানি এসে গেলো ভাইয়া ।এমন সময়ে এই রেসিপিটি সত্যিই অনেক লোভনীয়।
ঠিক বলেছেন আপু, আমের সময় যদি এভাবে ভর্তা খাওয়া না হয় তাহলে সত্যিই সিজনটা বৃথাই থেকে যায়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
গতকালকে আমিও কাঁচা আমের ভর্তা তৈরি করে খেয়েছি ভাইয়া, বেশ সুন্দর লেগেছে টক ঝাল মিষ্টি আহ্, এাটাও ঠিক বলেছেন ভাইয়া কাঁচা আমের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, শরীর পক্ষে সত্যি অনেক উপকারী, ঢ়াই হোক ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ভাই অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আমার পোস্টে এসে, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মিতা আপনি আজকে চমৎকার ভাবে মজাদার কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
মিতা, এ ধরনের রেসিপি দেখলে আমিও জিভে জল ধরে রাখতে পারিনা। দেখেই খাওয়ার লোভ লেগে যায়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এভাবে কাঁচা আমের ভর্তা তৈরি করে খেলে সেটা খেতে খুবই মজার হয়। আমিও একবার তৈরি করেছিলাম অনেক ভাল লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই তাই ভাই এভাবে কাঁচা আমের ভর্তা তৈরি করে খেলে অনেক অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
![default.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmNwBDPMPvL1yaKWTYF4wxyUmxWiEJgAy1WZWTJyCha5wE/jswit_comment_initial.w320.jpg)
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে ভাইয়া 😋।
কাচা আমের তৈরি যেকোনো জিনিস আমার খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে ভর্তা হলে তো কথাই নেই। তবে এই ভাবে কখনো ভর্তা তৈরি করে খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ ভাইয়া লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জিভে জল চলে আসার জন্যই এই রেসিপিটি শেয়ার করেছিলাম আপু। আপনার জিভে জল চলে এসেছে এতেই আমার রেসিপির সার্থকতা। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
এই সকল রেসিপি দেখলে জিবে অটোমেটিক পানি চলে আসে,যেমন তেতুল দেখলে এমন কোন লোক নাই যে তার জিবে পানি আসবে না। আম রেসিপিও তেমন একটি মজার। আপ্নি খুবই সুন্দর করে তৈরী করছেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
ভাই, কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপি দেখলে আমারও জিভে জল চলে আসে। আমার বিশ্বাস প্রায় প্রত্যেকেরই এরকম অবস্থা হয়ে থাকে। আমার রেসিপি দেখে আপনার জিভে জল আসছে তাতে আমার রেসিপির সার্থকতা। ধন্যবাদ
সকাল সকাল এই রকম পোস্ট দেখলে মাথা নষ্ট হয়ে যায়।এমনেই আম অনেক পছন্দের। তাও আবার এমন সুন্দর ও মজাদার ভর্তা হলে তো কথাই নাই। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, আমার পোস্টে এসে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
কাঁচা আম ভর্তা বরাবরই আমার খুব ফেভারিট বেশি করে জ্বাল দিয়ে প্রস্তুত করলে তো কোন কথাই নেই সাথে যদি ডাউল থাকে খাবার সময় তাহলে তো আরো বেশি মজা হয় ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
কাঁচা আমের ভর্তা খেতে আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লাগে ভাইয়া। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।