ভাগ্নের বাইক কিনতে গিয়ে আমার কাটানো কিছু মুহূর্ত || ১০% বেনিফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এইতো সেদিন আমার এক ভাগ্নেকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দিতে গিয়ে আমার অনেকটা সময় ব্যয় করেছিলাম। অনেকটা সময় ব্যয় করলেও সেই সময়টুকু আমার খুব ভালোই কেটেছিল। আর সেই সময়টুকুর কথাই আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমার ভাগ্নে জলঢাকা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফায়ারম্যান হিসেবে কর্তব্যরত আছে। কিছুদিন আগে আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে আমার এই ভাগ্নের বিয়ে দিয়েছিলাম। এবং সেই বিয়ে নিয়েও আমি একটি পোষ্ট আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করে ছিলাম। আর সেই ভাগ্নের কুড়িগ্রাম টু জলঢাকা যাতায়াতের জন্য একটি মোটরসাইকেল বিশেষ প্রয়োজন ছিল। তাই তাকে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য আমার নিকটস্থ খলিলগঞ্জ বাজারে গিয়ে একটি মোটরসাইকেল কিনে দিলাম।
আমরা বাড়িতে বসেই ইউটিউব চ্যানেলে মোটরসাইকেলটি পছন্দ করেছিলাম, তাই তাড়াতাড়ি করে পৌঁছে গেলাম আমাদের নিকটস্থ বাজারে। প্রাইম মটরস, খলিলগঞ্জ বাজার কুড়িগ্রাম। সেখানে গিয়ে আমি প্রথমেই শো রুমে ঢোকার মুহূর্তে একটি ছবি তুলে নেই। তারপরে শো রুমের ভিতরে প্রবেশ করি।
তারপর আমরা প্রাইম মটরস হিরো মোটরসাইকেলের শোরুম এর ভিতরে প্রবেশ করেই দেখতে পেলাম শোরুমের ভেতরে অনেকগুলো মোটরসাইকেল সারিবদ্ধ ভাবে সাজিয়ে রেখেছে। হিরো মোটরসাইকেলের যতগুলো মডেল ছিল সবগুলো মডেলই তাদের কালেকশনে ছিল। আর তাই আমরা আমাদের পছন্দনিও মোটরসাইকেলটি বেছে নিতে পারলাম। শোরুমটি সাজানো গোছানো এবং পরিপাটি ছিল। আমরা সেখানে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই আমাদের পছন্দনীয় হিরোর ইগনিটর মোটরসাইকেলটি শোরুমের কর্তব্যরত ম্যানেজারকে দেখিয়ে দিলাম। আর তখনই আমি দুই একটা ছবি তুলে নিলাম আমার মুঠোফোনে।
এরপর ভিতরে গ্রাহক সেবা দেয়ার জন্য সুসজ্জিত ভাবে সোফা সেট রেখেছিল মালিক কর্তৃপক্ষ। সেই সোফাসেটে আমার অর্ধাঙ্গিনী এবং আমার অর্ধাঙ্গিনীর বড় বোন ও তার ছেলে বসে পড়ল। সেখানে বসে বসেই আমরা শোরুমের কর্তব্যরত ম্যানেজারের সাথে আলাপ-আলোচনা সেরে ফেললাম। এবং গাড়িটির মূল্য নির্ধারণ করে টাকা গুনে রেডি করলাম।সেই ফাঁকে নিজের একটি সেলফি তুলে নিলাম।
আমরা যখন ম্যানেজারকে টাকা বুঝিয়ে দিলাম তখন তারা আমাদের পছন্দনীয় মোটরসাইকেলটির সমস্ত কাগজপত্র তৈরি করার জন্য কার্যক্রম শুরু করে দিল। এবং সেইসাথে তাদের শোরুম এর সাথেই সার্ভিসিং সেন্টারে মোটরসাইকেলটি পাঠিয়ে দিলো পূর্ণাঙ্গ ভাবে মোটরসাইকেলটি সেটিং দেওয়ার জন্য।
মোটরসাইকেলটি পাশের সার্ভিসিং রুমে নিয়ে গিয়ে তারা সেটিং দেওয়া শুরু করে দিল। আমি বাইরে থেকে সার্ভিসিং সেন্টার এর একটা ছবি তুলে নিলাম এবং ভেতরে গিয়ে মোটরসাইকেল সেটিং দেওয়ার মুহূর্তেও একটি ছবি তুলে নিলাম। এবং অনেকক্ষণ ধরে মোটরসাইকেলটি সেটিং কিভাবে দিচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করলাম।
এবার মোটরসাইকেলটি পূর্ণাঙ্গভাবে সেটিং দেওয়ার পরে সার্ভিসিং টেকনিশিয়ান মোটরসাইকেলটি আমার ভাগ্নেকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। যেহেতু আমার ভাগ্নে টির এটিই প্রথম মোটরসাইকেল। আর তাই সে এই মোটরসাইকেলটি পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে আমি আবারো দুই একটা ছবি তুলে নেই আমার মোবাইল ফোনে।
আশা করি আমার ভাগ্নের বাইক কিনতে গিয়ে কাটানো কিছু মুহূর্তের পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
বাইক সব ছেলেদের জন একটি সপ্ন বলা যেতে পারে, কারণ আমার নিজের অনেক সপ্ন ভালো একটি বাইক কিনব।কিন্তু এমন হয় যখন টাকা হবে তখন আর এই সপ্নটা থাকবে না। তাই যযথাসময়ে পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার জেটা আপনার ভাইগনা পেয়েছে।শুভ কামনা রইল
ভাইয়া,আপনার বাইক কেনার স্বপ্ন যেন খুব তাড়াতাড়ি পূরণ হয় এই কামনা করছি। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
আপনার ভাগ্নের মটরসাইকেল কিনে দেয়ার গল্পটি পড়লাম। ভাল লাগল। নিজের একটা কিনতে ইচ্ছে করছে। কিছু টাকা ধার দেন না জামাইবাবু। কিনে ফেলি একটা। হাহা। বিষয়টি মাথায় রাখবেন কেমন। ধন্যবাদ ও ভালবাসা থাকল
আমার মত জামাইবাবু থাকতে আপনার কোন আশাও নেই আবার কোনো ভরসাও নেই।হাহাহা
ভাই আপনার মোটরসাইকেল কেনার বিষয়টি আমার মাথায় নয় হৃদয়ের এক কোণে গেঁথে রেখে দিলাম। সময় সাপেক্ষে কথা বলব।
আপনি আপনার ভাগ্নির বাইক কিনতে গিয়ে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন ।আসলে কারো হয়ে কোন জিনিস কিনতে যাওয়া বিশেষ করে শখের জিনিস কিনতে যাওয়ার মাঝে মজাই আলাদা ।আপনি আপনার অনুভূতি গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং বাইক কেনা থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত পুরোটা সময় জুড়ে কি কি হয়েছে তা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ তবে বাইক একটু সাবধানে চালাতে বলবেন বাইক দেখে আমার ভীষণ ভয় লাগে।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, সাবধানে বাইক না চালালে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে। আপনার মত আমিও আমার ভাগ্নেকে এই একই উপদেশ দিয়েছি। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাই বাইক কিনতে গেলেন সুন্দর ভাবে সবই আমাদের সাথে শেয়ার করলেন তবে যে বাইক কিনলেন সে বাইকের দামটাই জানা হলো না। দামটা উল্লেখ করলে ভালো হতো।
আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। শুভকামনা আপনার জন্য।
ভাইয়া বাইকের দাম, এক লক্ষ সাতাশ হাজার টাকা। বাইকের দামটি না জানানোর জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমার পোস্টে এসে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আপনার ভাগ্নির মোটরবাইক ক্রয় করতে গিয়ে অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে কিছু ফটোগ্রাফি ও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমি মনে করি প্রতিটা ছেলের আর কোন স্বপ্ন থাকুক বা না থাকুক একটা স্বপ্ন সব সময় থাকে সেটা হচ্ছে একটি নিজস্ব বাইক। অবশেষে আপনার ভাগ্নির স্বপ্নটা পূরণ হলো। শুভকামনা রইল তার জন্য।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া প্রতিটা ছেলের প্রায় একটা স্বপ্ন থাকে আর তা হচ্ছে বাইক কেনা। সুন্দর মন্তব্য করেছেন এ জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।