সুস্বাদু কাতলা মাছের ঝোল || ১০% বেনেফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট দিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে সুস্বাদু কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। কাতলা মাছ খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর এই কাতলা মাছ যদি আমার তৈরি রেসিপি অনুসরণ করে তৈরি করা যায় তাহলে খেতে অনেক অনেক সুস্বাদু হবে। এই কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি খেতে এতো সুস্বাদু হয় যে তার স্বাদ মুখে লেগে থাকার মত। গরম গরম ভাতের সাথে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি খেতে পারলে তার কোন তুলনাই হয়না।
আর এই অতুলনীয় স্বাদের রেসিপি আমি কিভাবে তৈরি করেছি তার প্রতিটি ধাপ সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আমি প্রথমে কাতলা মাছের চাকাগুলো ভালোভাবে ভেজে নিয়ে তারপরে রান্না করে সুস্বাদু ঝোল রেসিপিতে পরিণত করেছি। আমার বিশ্বাস আমার এই রন্ধনপ্রণালীর ধাপগুলো অনুযায়ী কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করতে পারলে খেতে অনেক অনেক মজার হবে। আর তাই আমার রন্ধনপ্রণালীর ধাপগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। তো বন্ধুরা দেরী না করে চলুন শুরু করা যাক সুস্বাদু কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করার প্রক্রিয়া।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | কাতলা মাছ | বড় ৪ টুকরা |
২ | আলু | ৩-৪ টুকরা |
৩ | পেঁয়াজ | মাঝারি ৫ টি |
৪ | শুকনা মরিচ গুড়া | ১ চা চামচ |
৫ | হলুদ গুঁড়া | ১/২(আধা)চা চামচ |
৬ | জিরা বাটা | ১ চা চামচ |
৭ | সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
৮ | লবণ | পরিমাণমতো |
" ধাপ : ১ "
![]() | ![]() |
---|
প্রথমেই পেঁয়াজগুলো কে কুচি করে কেটে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।
" ধাপ : ২ "
![]() | ![]() |
---|
তারপর আলু গুলো ছোট ছোট টুকরো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এবার সিদ্ধ করে নেয়া আলুগুলো হাতের সাহায্যে ভালো করে মিহী করে ডোলে নিতে হবে।
" ধাপ : ৩ "
![]() | ![]() |
---|
এবার উপকরণে নেয়া মাছে অল্প করে হলুদ গুঁড়া শুকনা মরিচের গুঁড়া ও লবণ উপরে ছরিয়ে দিতে হবে।
" ধাপ : ৪ "
![]() | ![]() |
---|
এবার হলুদ, শুকনা মরিচ ও লবণ সব মিলিয়ে মাছের সাথে ভালো ভাবে মাখিয়ে নিতে হবে, তারপর চুলায় ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিতে হবে।
" ধাপ : ৫ "
![]() | ![]() |
---|
এবার ফ্রাইপ্যান গরম হয়ে আসলে সয়াবিন তেল ফ্রাইপ্যানে ঢেলে দিয়ে মাছ গুলো ফ্রাইপ্যানে ছেড়ে দিতে হবে।
" ধাপ : ৬ "
![]() | ![]() |
---|
তারপর মাছ গুলো উল্টিয়ে দিয়ে ভেজে নিয়ে আলাদা পাত্রে তুলে রাখতে হবে।
" ধাপ : ৭ "
![]() | ![]() |
---|
এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। তারপর কড়াই গরম হয়ে আসলে সয়াবিন তেল পরিমাণমতো কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ৮ "
![]() | ![]() |
---|
এবার সয়াবিন তেল গুলো গরম হয়ে আসলে, পূর্বে কুচি করে নেয়া পেঁয়াজগুলো কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে বাদামি রং করে ভেজে নিতে হবে।
" ধাপ : ৯ "
![]() | ![]() |
---|
এবার পেঁয়াজ কুচি গুলো বাদামী রং হয়ে আসার পর এক কাপ পরিমাণ পানি কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে। তারপর একে একে করে উপকরণে নেয়া সকল মসলাগুলো কড়াইতে ছেড়ে দিতে হবে।
" ধাপ : ১০ "
![]() | ![]() |
---|
এবার সকল মসলা কড়াইতে ছেড়ে দেওয়ার পর চামচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে নিয়ে, পানি ও মসলাগুলো ভালো ভাবে কষিয়ে নিতে হবে। তারপর কষানো হয়ে গেলে পূর্বে ভেজে নেয়া মাছ গুলো কড়াইতে ছেড়ে দিতে হবে।
" ধাপ : ১১ "
![]() | ![]() |
---|
এবার ভেজে নেয়া মাছগুলো ছেড়ে দেবার পর আরো কিছুক্ষণ কষিয়ে কষিয়ে মসলা পানি গুলো যখন কমে আসবে, তখন পূর্বে মিহি করে নেয়া আলুগুলো কড়াইতে ছেড়ে দিতে হবে।
" ধাপ : ১২ "
![]() | ![]() |
---|
এবার মিহি করে নেয়া আলু গুলো কড়াইতে ছেড়ে দেবার পর মাছগুলোকে সিদ্ধ করার জন্য পরিমাণমতো পানি কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে। তারপর আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নেবার পর যখন কষানো ঝোল গুলো মাখোমাখো হয়ে আসবে। তখন বুঝতে হবে আমাদের কাঙ্খিত সুস্বাদু কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি টি তৈরি হয়ে গেছে।
" ধাপ : ১৩ "
এবার আলাদা একটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন সুস্বাদু কাতলা মাছের ঝোল।
আশা করি আমার তৈরি সুস্বাদু কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
কাতলা মাছের লোভনীয় একটি রেসিপি উপস্থাপন করেছেন রেসিপিটি খেতে খুব সুস্বাদু হবে দেখেই বোঝা যাচ্ছে আমার তো দেখেই জিভে জল চলে আসলো সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন রন্ধনপ্রণালী শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আমার তৈরি রেসিপি দেখে আপনার জিভে জল চলে এসেছে আর তাই আমার বাসাতে আপনাকে আমি দাওয়াত করলাম। চলে আসুন এই রেসিপি আবার নতুন করে রান্না করে খাওয়াবো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
![default.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmNwBDPMPvL1yaKWTYF4wxyUmxWiEJgAy1WZWTJyCha5wE/jswit_comment_initial.w320.jpg)
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
বাহ বেশ বড়ই মনে হলো মাছ টি।তবে এই কাতল মাছের প্রসঙ্গে আমার একটি কথা মনে পড়ে গেলো।ছোটবেলায় আমাদের পুকের এই কাছ ধরতে গিয়ে আমি আমার নাক ফাটিয়েছিলেন হিহি।
যাইহোক খুব লোভনীয় হয়েছে রেসিপিটি।🖤
ভাইয়া মাছটি বেশ বড়ই ছিল, ছোটবেলায় পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে আপনার নাক ফাটানোর গল্প শুনে খুবই মজা পেলাম। ধন্যবাদ
কাতলা মাছ আমার খুবই প্রিয়। আপনি কাতলা মাছের ঝাল ঝাল রেসিপি তৈরি করেছেন আসলে ঝাল ঝাল ঝোল রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলেন, শুভকামনা রইল।
কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি খেতে মন চাইলে আমার বাসায় চলে আসুন। আবারও নতুন করে এই রেসিপি তৈরি করে খাওয়াবো। ধন্যবাদ
কাতলা মাছ সত্যি অবেক মজার একটি মাছ। আমাদের পুকুরে কাতলা মাছ চাষ করা হয়। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে লোভে পড়ে গেছি ভাই। ভালোবাসা নিয়েন ভাই।
আপনাদের পুকুরে কাতলা মাছ চাষ করা হয় কথাটি জানতে পেরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কাতলা মাছ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। অন্যান্য মাছের চেয়ে এই মাছটি আমার কাছে স্বাদের মনে হয়। আমি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আবার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি কাতলা মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
আমার তৈরি কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক।
সুস্বাদু কাতলা মাছের ঝোলঅসাধারণ ভাবে করেছেন। দেখে জিভে জল এসে গেল। কাতলা মাছ আমার খুব প্রিয়। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক সুন্দরভাবে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি করেছেন। যেকোনো মাছের এইরকম ভাবে রান্না করলে বেশ ভালো লাগে খেতে। কিন্তু কাতলা মাছতো অনেক জনপ্রিয় একটি মাছ। এমনকি মাছের টুকরোগুলো বেশ বড় বড় লাগলো। এমনকি রেসিপির কালারটা ও বেশ ভালো লেগেছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু মাছটি বেশ বড়ই ছিল,যার কারণে মাছের টুকরোগুলো অনেক বড় বড় দেখা যাচ্ছে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি দেখে খুব লোভ লাগছে দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রান্নার পদ্ধতি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আমার তৈরি কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।