বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৩... || ১০% বেনেফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৩... উপস্থাপন করব। আমি আগেই বলেছিলাম, আমি ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। আর তাই ভ্রমণ করার জন্য আমার প্রিয় বাইকটি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করে বেরিয়েছি। আর তারই ধারাবাহিকতায় আমি কিছুদিন আগে পদ্মা সেতু ও কুয়াকাটা ভ্রমণ করে এসেছিলাম। আর এই ভ্রমণের সময় যাত্রা পথে আমার বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। বাইকে করে ভ্রমণ করার মজাই আলাদা। কেননা বাইকে করে ভ্রমণ করার সময় বিভিন্ন জায়গায় বিরতি নেওয়া যায়। যার কারনে বিভিন্ন জায়গা সম্পর্কে তথ্য নেয়া যায় এবং সেই সাথে অনেক অনেক ফটোগ্রাফিও করা যায়। সেদিন আমরা বাইকে করে পদ্মা সেতু যাওয়ার সময় যমুনা সেতু অতিক্রম করেছিলাম।
আমরা যমুনা সেতুর টোল ঘরে এসে যমুনা সেতু পার হওয়ার জন্য ৫০ টাকা টোল দিয়েছিলাম। আমি এর আগেও বেশ কয়েকবার বাইকে করে যমুনা সেতু পার হয়েছিলাম। আর অগণিত বার বাসে করে যমুনা সেতু পার হয়েছিলাম। তাই দুই ধরনের যানবাহনে চড়ে এটাই উপলব্ধি করেছিলাম যে, বাইকে করে যমুনা সেতু পার হওয়ার মজাটাই আলাদা। যমুনা সেতুতে টোল দেয়ার সময় দুই একটি ছবি তুলে নিয়েছিলাম, যা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
আমরা এখন সেতুর দিকে এগিয়ে চলছি। সামনের দিকে যতই এগিয়ে চলছি মনের মধ্যে ততই উত্তেজনা কাজ করছে। কেননা খোলা হাওয়ায় বাইকে করে যমুনা সেতু পার হব। আর সঙ্গী হিসেবে ছিল আমার অর্ধাঙ্গিনী। তাহলে আপনারাই বলুন মনের মধ্যে কি পরিমাণ উত্তেজনা কাজ করছিল।
আমরা দুজনে মিলে যমুনা সেতু পার হচ্ছিলাম তখন আমার অর্ধাঙ্গিনী সামনের রেলিংয়ের পাশ দিয়ে ট্রেন চলাচলের রাস্তাটি খুব মনোযোগের সাথে দেখছিল। আর ঠিক সেই সময় দূরে লক্ষ্য করলাম ট্রেন চলাচলের জন্য যমুনা নদীতে আলাদা একটি রেল সেতু নির্মাণ হচ্ছে। এই রেল সেতু নির্মাণ নিয়ে ফেরার পথে আলোচনা করব।
আমরা যমুনা সেতুতে দাঁড়িয়ে দুই একটি ছবি তোলার জন্য মোটরবাইক থেকে নেমে পড়লাম। যদিও বা যমুনা সেতুতে দাঁড়ানোর কোন নিয়ম নেই তবে বাইকে থাকার কারণে যমুনা সেতুতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার ইচ্ছাটাকে কোনভাবেই দমিয়ে রাখতে পারলাম না। আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার মুহূর্তেই ঢাকা থেকে আগত একটি ট্রেন উত্তরবঙ্গের দিকে ছুটে চলেছে। আর সেই দৃশ্য আমরা দাঁড়িয়ে থেকে উপভোগ করলাম। উফফ ব্যাপারটি এতই মজার যা কখনো বাসে থেকে উপলব্ধি করা যায় না।
আমরা চলতে চলতে ঢাকা বিভাগের সাভার জেলায় একটি Cafe তে গিয়ে পৌঁছালাম। যার নাম ছিল Lake Side Cafe । ইতিমধ্যে রাস্তায় বেশ কয়েকবার বিরতি দিয়েছিলাম। কিন্তু তার ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি না। তবে সাভার জেলায় যে Lake Side Cafe টি দেখতে পাচ্ছেন তা খুবই সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। Lake Side Cafe টি খুব বেশি ভালো লেগে গেল তাই কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম।
Lake Side Cafe এর ভিতরে প্রবেশ করেই ক্যাফের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখলাম যা আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছিল। আবার আমারও ছিলাম অনেক ক্লান্ত ও তৃষ্ণার্ত। তাই আমরা সেখানে বসে পড়লাম। তা নিয়ে আজকে আর কিছু লিখছি না। আগামী বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৪... এ আলোচনা করব।
আশা করি আমার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৩... পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
আপনার বাইক ট্যুর পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি ঠিক বলেছেন বাইকে যে ভাবে সব কিছু ঘুরে ঘুরে দেখা যাবে গাড়িতে তা দেখা সম্ভব নয়।আর সঙ্গী হিসেবে ছিল আপনার অর্ধাঙ্গিনী তাহলে তো ঘুরাটা বেশ আনন্দে ঘুরেছেন। সত্যি সাভারে Lake Side Cafe এর ভিতরে পরিবেশ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ, যা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। যমুনা সেতুতে দাঁড়ানো ছবিটা অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ
আপু শুধুমাত্র বাইকে করে ভ্রমণ করার কারণে যমুনা সেতুতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সুযোগটা পেয়েছিলাম। তাছাড়া কখনোই সম্ভব হতো না। আর এই বাইক ভ্রমণে প্রিয় মানুষটি ছিল বলেই ভ্রমণটি খুবই মজার হয়েছিল।
ভাইয়া আপনি ভ্রমণ করতে বেশ ভালোবাসেন। আর তাই ভ্রমণ করার জন্য আপনার প্রিয় বাইকটি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন।। আর তারই ধারাবাহিকতায় আপনি কিছুদিন আগে পদ্মা সেতু ও কুয়াকাটা ভ্রমণ করেছেন।। আর এই ভ্রমণের সময় যাত্রা পথে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনারা যমুনা সেতুতে দাঁড়িয়ে দুই একটি ছবি তোলার জন্য মোটরবাইক থেকে নেমে পড়লেন। যদিও বা যমুনা সেতুতে দাঁড়ানোর কোন নিয়ম নেই। তবে বাইকে থাকার কারণে যমুনা সেতুতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার ইচ্ছাটাকে কোনভাবেই দমিয়ে রাখতে পারলেন না।
আপনার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৩.।পোস্টটি আমারর কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। শুভ কামনা♥ ♥
আপু যমুনা সেতুতে দাঁড়ানোর কোন নিয়ম নেই তবুও যমুনা সেতুতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার লোভটা সামলাতে পারিনি। আর তাই অর্ধাঙ্গিনীর মাধ্যমে চটজলদি দুই একটি ছবি তুলে নিয়েছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমি ইউটিউবে প্রায় ব্লগারদের দেখে থাকি তারা মোটরসাইকেলে অনেক জায়গায় এভাবে ভ্রমণ করে বেড়াই এবং মানুষের উপকারও করে থাকে। আপনি চাইলে এভাবে ভ্রমণ করে বিভিন্ন স্থান আমাদের মাঝে তুলে ধরতে পারেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট দেখে।
ভাই এত ব্যস্ততায় থাকি যার কারণে ইউটিউবের ব্লগারদের মত অতটা সময় দিতে পারবো না। তবে মাঝে মাঝে বাইকে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেরিয়ে আসি। পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
বাইক দিয়ে ট্যুর এর সুবিধাই আলাদা ,যে খানেই সুন্দর হুট করে নেমেই ছবি তুলে নেওয়া যায় । আর প্রিয় মানুষ কে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ ই আলাদা।
বাইকে করে ঘুরে বেড়াতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বাইকে করে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ সুবিধা অনেক। আর তাইতো নিজের অর্ধাঙ্গিনী কে নিয়ে পদ্মা সেতু ও কুয়াকাটা ভ্রমনে গিয়েছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।