আ_{^{মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।}}

আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি রেসিপি পোষ্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে বেগুন দিয়ে গাঙকই কই শুটকি ভুনা রেসিপি উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আমার মনে হয় অধিকাংশ মানুষই শুটকি মাছ খেতে খুবই পছন্দ করে। হয়তো হাতেগোনা কিছু সংখ্যক লোক শুটকি মাছ খেতে পছন্দ করবে না। আমি যেকোনো ধরনের শুটকি মাছ খেতে ভীষণ ভালোবাসি। আর তাই আজ আমি বেগুন দিয়ে গাঙকই শুটকির সুস্বাদু ভুনা রেসিপি উপস্থাপন করব।

আমরা সকলেই জানি শুটকি মাছ রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। আর তাই শুটকি মাছে কোন প্রকার জীবাণু থাকে না। প্রচুর রোদে শুটকি শুকানো হয় বলে শুঁটকিতে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়াও শুঁটকিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। আর এই ভিটামিন ডি, মানব দেহ গঠনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে বিশেষ করে হাড় দাঁত ও নখ গঠনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আমরা জানি,মাছের মধ্যে যে সকল পুষ্টিগুণ থাকে শুটকির মাঝেও একই রকম পুষ্টিগুণ থাকে। তাই মাছ ও শুটকির মধ্যে পুষ্টিগুণের পার্থক্য নেই।

আজ আমি অত্যন্ত সুস্বাদু করে বেগুন দিয়ে গাঙকই শুটকি রেসিপি কিভাবে তৈরি করেছি তার প্রতিটি ধাপ অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। বেগুন দিয়ে গাঙকই শুটকি ভুনা সত্যিই খেতে অনেক অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। তাই যারা শুটকি খেতে পছন্দ করেন না তারা যদি আমার এই রেসিপি অনুসরণ করে বেগুন দিয়ে শুটকি মাছ ভুনা তৈরি করে খান, তাহলে ইনশাআল্লাহ অবশ্যই অবশ্যই ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক বেগুন দিয়ে গাঙকই শুটকির সু-স্বাদু ভুনা রেসিপিটির তৈরীর প্রক্রিয়া।

ক্রমিক নং	উপকরণ	পরিমাণ
১	গাঙকই শুটকি	২০০ গ্রাম
২	বেগুন	৪০০ গ্রাম
৩	পেঁয়াজ	৫ টি
৪	কাঁচা মরিচ	৮-১০ টি
৫	রসুন	৩ টি
৬	জিরা বাটা	২ চা চামচ
৭	হলুদ গুঁড়া	১ চা চামচ
৮	সয়াবিন তেল	পরিমাণমতো
৯	লবণ	স্বাদমতো

" ধাপ : ১ "

প্রথমে শুটকি মাছ গুলোকে উপরে দেয়া চিত্রের মত করে কেটে নিতে হবে।

" ধাপ : ২ "

এবার শুটকি গুলোকে হালকা গরম পানিতে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে।

" ধাপ : ৩ "

-	-

এবার পর্যায়ক্রমে বেগুন গুলোকে কেটে এবং রসুন গুলোকে থেঁতো করে নিতে হবে।

" ধাপ : ৪ "

আবারো পর্যায়ক্রমে পেঁয়াজ গুলো কুচি করে কেটে নিতে হবে এবং কাঁচা মরিচ গুলোকে মাঝ বরাবর কেটে নিতে হবে।

" ধাপ : ৫ "

এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল ঢেলে দিতে হবে।

" ধাপ : ৬ "

এবার সয়াবিন তেল গুলো গরম হয়ে আসলে কেটে নেয়া পেঁয়াজ ও মরিচ গুলো কড়াইতে ছেড়ে দিতে হবে।

" ধাপ : ৭ "

তারপর পেঁয়াজ ও মরিচগুলো ছেড়ে দেয়ার কিছুক্ষণ পর রসুন থেঁতোগুলো কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে বাদামি রং করে ভেজে নিতে হবে।

" ধাপ : ৮ "

এবার পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন থেঁতো গুলো বাদামী রঙের হয়ে আসলে এক গ্লাস পরিমাণ পানি কড়াইতে ঢেলে দিয়ে উপকরণে নেয়া সকল মসলা কড়াইতে ছেড়ে দিতে হবে।

" ধাপ : ৯ "

এবার মসলাগুলো ছেড়ে দেয়ার পর চামচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নেয়া শুটকি গুলো কড়াইতে ছেড়ে দিতে হবে।

" ধাপ : ১০ "

এবার শুটকি গুলো কড়াইতে ছেড়ে দেবার পর চামচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

" ধাপ : ১১ "

এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেবার পর কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়ে কেটে নেয়া বেগুন গুলো কড়াইতে ছেড়ে দিতে হবে। তারপর চামচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে দিতে হবে।

" ধাপ : ১২ "

এবার চামচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে দেয়ার পর সিদ্ধ হবার জন্য পরিমান মত পানি কড়াইতে ঢেলে দিয়ে আবারো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

" ধাপ : ১৩ "

এবার ঢেলে দেয়া পানিগুলো যখন শুকিয়ে মাখোমাখো হয়ে আসবে। তখন বুঝতে হবে আমাদের কাঙ্খিত বেগুন দিয়ে গাঙকই শুটকির সু-স্বাদু ভুনা রেসিপিটি তৈরি হয়েছে।

" ধাপ : ১৩ "

এবার আপনার তৈরি বেগুন দিয়ে গাঙকই শুটকির সু-স্বাদু ভুনা রেসিপিটি মনের মতো সাজিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

আশা করি আমার তৈরি বেগুন দিয়ে গাঙকই শুটকির সু-স্বাদু ভুনা রেসিপির পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।