জীবনের দর্শন
জীবনে বড় কিছু করতে হলে সবাইকে কোন না কোন
একটা লক্ষ্য বেছে নিতে হয়। আর এই লক্ষ্য বেছে নিতে গিয়ে সাধারণত সবাই বড় ধরনের কোন কিছু বেছে নেয় জীবনের লক্ষ্য হিসেবে। ছোটবেলা প্রত্যেক সন্তানের বাবা-মা তাদের লক্ষ্য হিসেবে বড় ধরনের কোন নমুনা দিয়ে থাকে। সাধারণত প্রত্যেক বাবা-মায়ের চায় তাদের সন্তান ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বা বড় কোন বিজ্ঞানী হোক। তার প্রমাণ মেলে স্কুল-কলেজগুলোতে পড়ার সময় শিক্ষক যখন কোন ছেলেকে জিজ্ঞেস করে যে সে বড় হতে কি হতে চাই তখন বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরা হয় সে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হবে।ওই সময় ছেলেমেয়েগুলো শিক্ষকতা কিংবা আরো যে মহৎ পেশা গুলো রয়েছে সেগুলো পর্যন্ত বেছে নেয় না।
বড় লক্ষ্য বেছে নেওয়ার ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। কারণ স্বপ্ন যত বড় হয় এই ব্যক্তি সফলতার ততো কাছাকাছি পৌঁছে।কিন্তু এই বিষয়টির যেমন ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে, তেমনি নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। কারণ অনেক সময় বড় স্বপ্ন তাড়া করতে গিয়ে বড় কিছু হতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ে এবং জীবনে চরম ভাবে ভেঙে পড়ে। যারা ছোটবেলায় বাবা-মার বেঁধে দেয়া বড় লক্ষ্যের ফল।
এজন্য আমার মতে সন্তানদের আগে থেকেই কোনকিছুকে জীবনের লক্ষ্য হিসেবে ঠিক করে দেওয়া উচিত নয়। প্রত্যেক বাবা-মার উচিত তাদের সন্তানদের ছোটবেলায় নীতি নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়া। অর্থাৎ সন্তানরা যাতে সুস্থ মন মানসিকতা এবং মানসিক বিকাশ নিয়ে বেড়ে ওঠে। কিন্তু বাবা মারা সাধারণত নীতি-নৈতিকতার পিছনে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে যে বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় তা হল শ্রেণীতে কিভাবে প্রথম হওয়া যায়। শ্রেণীতে যে প্রথম হয়েছে তার থেকে কম মার্কস পেলে অনেক ধরনের করা কথা শুনানো হয় এবং শাসন করা হয়। যার ফলে ছেলেমেয়েগুলো ছোটবেলা থেকেই বিকৃতি মন মানসিকতা নেই বড় হতে থাকে। তাদের মন কৃত্রিমতা দিয়ে ভরে যায়। মনে হয় যেন প্রতিটি ছেলে মেয়ে গুলো এক একটিরোবট। তাদের অনুভূতিগুলো হারিয়ে ফেলেছে এবং হয়ে পড়ছে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। তাদের সৃজনশীলতার পরিচয় গুলো হারিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে এখনকার যুগের ছেলেমেয়েগুলো আর রবীন্দ্রনাথ,নজরুল কিংবা মধুসূদন হয় না। তাদের উপর চাপ প্রদান করা হচ্ছে এবং তারা পড়াশোনা করছে। এখনকার যুগের শিক্ষিত ছেলে মেয়ের সংখ্যা অনেক,কিন্তু স্বশিক্ষায় শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের সংখ্যা খুবই নগণ্য।
এ ধরনের চিন্তা ধারা থেকে বের হয়ে আসা দরকার,তা নাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়বে। ভবিষ্যতে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কিংবা নজরুলের মতো নেতৃত্ব দেয়ার মতো ছেলে মেয়ে গুলোকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ ছোটবেলা থেকেই তাদের মনের মধ্যে ভয় ঢুকে আছে। এর চিন্তা ধারা থেকে বের হয়ে আসার জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আর এই সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে একমাত্র শিক্ষকরা এবং লেখকরা। ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েদেরকে শুধুমাত্র একাডেমিক কার্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি অন্য কার্যক্রমগুলো চালিয়ে যেতে হবে। এভাবে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজের এই ভ্রান্ত মনোভাব থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব। যার ফলে ভবিষ্যত প্রজন্ম একটি সুস্থ ও সুন্দর সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে বেড়ে উঠবে।
ভাই খুব সুন্দর লিখেছেন, আর হ্যা, এটা সত্য যে, স্বপ্ন বড় না হলে আগ্রহ কিংবা ইচ্ছাশক্তিও বড় হয় না।
তবে ফটোগুলোর সেটিংস টা ঠিক হই নাই এই বিয়ষটির প্রতি লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে। আশাকরি ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে পাশে থাকবেন সব সময় একজন বড় ভাইয়ের মতো।
অবশ্যই ভাই, আমরা আছি সব সময়।
ভালো লিখেছেন ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার লেখা পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
জীবন দর্শন সম্পর্কে ভালো ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ।
আমার লেখা পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
You have been upvoted by @rex-sumon A Country Representative, we are voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the newcomers coming into steemit.
Follow @steemitblog for the latest update. You can also check out this link which provides the name of the existing community according to specialized subject
There are also various contest is going on in steemit, You just have to enter in this link and then you will find all the contest link, I hope you will also get some interest,
For general information about what is happening on Steem follow @steemitblog.