💖 সবাইকে স্বাগতম 💖

বাংলা মাসের:২৩ চৈত্র, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ |রোজ:বৃহস্পতিবার। |

হ্যা_{^{লো আসসালামুয়ালাইকুম আমার বাংলা ব্লগেরবন্ধুরা কেমন আছো সবাই, আশা করি ভালো আছেন সবাই৷ আজকে আমি আপনাদের মাঝে বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে আয়োজিত নবীন বরণে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করবো।আশা করি সবার ভালো লাগবে, তাইলে চলুন শুরু করা যাক নবীন বরণে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত নিয়ে আলোচনা।💗💗💗💗👇👇}}

---

---

ভৌগলিক অবস্থান:

লোকেশন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ছবি চত্বরে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ডিভাইস:

📷 : Vivo Y19

গত সপ্তাহে বগুড়া ছাত্র কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ৪৯ তম ব্যাচের নবীন বরণ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। প্রথম পর্বে আমি নবীন বরণের কাটানো সুন্দর মুহূর্তের সম্পূর্ণ অংশটা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারিনি। কিছু অংশ অবশিষ্ট রয়েছে, সেটি আজকে আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।

নবীন বরণ এর বিষয়বস্তু:

১. দুপুর দু'টায় ছায়া চত্বরে একত্রিত হওয়া।
২. বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।
৩. ফটোসেশন পর্ব।
৪.খেলাধুলা ও পুরস্কার বিতরণ।
৫. ক্রেস্ট প্রদান ও পরিচয় পর্ব ।
৬. সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও বক্তব্য।
৭.খাওয়া-দাওয়া।
৮. রাতের বেলা ফানুস ওড়ানো।

প্রথম পর্বে আমি ১-৪ নং পয়েন্ট পর্যন্ত সকল বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেছি।

১ম পর্বের লিংক:

প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্ব

---

ক্রেস্ট প্রদান ও পরিচয় পর্ব:

নবীন বরণ এর প্রধান আকর্ষণ মূলত এই পর্বটি ছিল। কারণ এই পর্বের মাধ্যমে মূলত ৪৯ তম আবর্তনের নবীন বরণ এর প্রধান কাজটি সম্পন্ন হয়। আমাদের ৪৯ তম আবর্তন সহ আমাদের ইমিডিয়েট সিনিয়র থেকে শুরু করে বড় যত ব্যাচ রয়েছে সকল ব্যাচের ভাই এবং আপুরা এদিন উপস্থিত ছিলেন। তাদের কাছ থেকে প্রথমে ক্রেস্ট গ্রহণ করার পরে মাইক্রোফোনে প্রত্যেক নবীন শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ পরিচয় উল্লেখ করতে হয়েছিল।

আমার নিজের পরিচয় পর্ব যেভাবে উপস্থাপন করেছিলাম:

আসসালামু আলাইকুম
মো:আল মাহমুদ দিপু
রসায়ন বিভাগ
৪৯তম আবর্তন
আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল
জেলা: বগুড়া( সেউজগাড়ী)
স্কুল এবং কলেজ: বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ, বগুড়া

---

সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও বক্তব্য:

---

এই পর্বটি সবচেয়ে দীর্ঘ ছিল। প্রায় ২.৫ ঘন্টা এই পর্ব স্থায়ী ছিল। এ পর্বে প্রথমে আমাদের ব্যাচ সহ আমাদের বড় সকল ব্যাচের যেসকল ভাইয়া এবং আপুরা গান গাইতে, কবিতা আবৃতি করতে কিংবা জোকস বলতে পারেন তারা অংশ নিয়েছিলেন। আর আমার মত যারা এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিজ গুলোর কিছুই পারে না, তারা চুপচাপ অনুষ্ঠান দেখার মাধ্যমে উপভোগ করেছিলাম। এরপর যে সকল বড় ভাই এবং আপুরা পড়াশোনা শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে গেছেন, তারা বক্তব্য প্রদান করেছিলেন। তাদের বক্তব্যের মূল কথা ছিল আমাদের নতুন ব্যাচের জন্য বিভিন্ন অনুপ্রেরণা এবং উপদেশ। যে কথাগুলো আমাদের জন্য খুবই কার্যকরী ছিল।৪-৬ বছর কিভাবে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করতে হবে কোন কাজগুলো করা যাবে এবং কোন কাজগুলো করা যাবে না সেগুলো খুব সুন্দরভাবে বলে দিয়েছিলেন।

খাওয়া-দাওয়া:

যাবতীয় সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হতে রাত প্রায় ৯ টা বেজে গিয়েছিলো। ক্যাম্পাসে থাকা কালিন সময়ে অন্যান্য দিন দুপুরে খাওয়ার পর বিকেলের নাস্তা খাওয়া হয়। কিন্তু এদিন অনুষ্ঠানের কারণে সেগুলোর কোনো কিছুই সম্পন্ন করতে পারি নাই। যার ফলে ক্ষুধা একটু বেশি লেগে গিয়েছিল। নবীন বরণে উপস্থিত প্রত্যেকের জন্য ভালো একটি রেস্টুরেন্টের খাবারের অর্ডার করা হয়েছিল। একটি নির্দিষ্ট বাটির মধ্যে চিকেন পোলাও,একটি করে ডিম,শসা, একটি পানির বোতল এবং একটি করে কোক খাবারের মেনু হিসেবে ছিল। ক্ষুধার পরিমাণ অনেক বেশি থাকায় দ্রুত সেগুলো খেয়ে নিলাম।

ফানুস ওড়ানো:

স্বল্প সময়ের এই পর্বটিও বেশ আনন্দদায়ক ছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বেশ কিছুক্ষন বক্সে গান বাজিয়ে ছেলেপেলেরা যে যার মত নাচানাচি করল। অনেকে অবশ্য হলে কাজ থাকার কারণে যে যার মতো নিজ নিজ হলে চলে গেল। নাচানাচি করা শেষ করে আমরা ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের সামনে চলে গেলাম ফানুস উড়ানো জন্য। সেখানে অনেক বেশি অঞ্চল ফাঁকা থাকার জন্য ফানুস উড়ানোর পারফেক্ট স্থান ছিল। বড় ভাই এবং আপুদের সঙ্গে সেখানে গিয়ে আমরা ফানুস ওড়ালাম। ফানুস ওড়ানো শেষ হওয়ার মাধ্যমে আমাদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানেরও পরিসমাপ্তি ঘটল।

আমার শেয়ার করা পোস্টটি কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানান, আশা করি সবার ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে, কমেন্ট এবং আপভোট দিবেন। 💗💗🌲