💖 সবাইকে স্বাগতম 💖

বাংলা মাসের:২৩ চৈত্র, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ |রোজ:বৃহস্পতিবার। |

হ্যা_{^{লো আসসালামুয়ালাইকুম আমার বাংলা ব্লগেরবন্ধুরা কেমন আছো সবাই, আশা করি ভালো আছেন সবাই৷ আজকে আমি আপনাদের মাঝে বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে আয়োজিত নবীন বরণে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করবো।আশা করি সবার ভালো লাগবে, তাইলে চলুন শুরু করা যাক নবীন বরণে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত নিয়ে আলোচনা।💗💗💗💗👇👇}}

---

---

ভৌগলিক অবস্থান:

লোকেশন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ছবি চত্বরে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ডিভাইস:

📷 : Vivo Y19

---

নতুনদের বরণ করে নেয়ার অনুষ্ঠান হলো নবীন বরণ। আমাদের ৪৯ তম আবর্তন এর ব্যাচ ২০২০ সালের মার্চ মাসে ক্যাম্পাসে আসলেও, দীর্ঘদিন করনা ভাইরাসের লকডাউন এর কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় নবীন বরণ দেরিতে সম্পন্ন হল। যদিও আর কিছুদিন পরেই নতুন ব্যাচ এর অর্থাৎ ৫০ তম আবর্তনের আগমন ঘটবে। সাধারণত প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবার কয়েক ধাপে নবীনবরণ সম্পন্ন হয়ে থাকে। ডিপার্টমেন্ট, হল, জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি,আবার ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীরা মিলে কেন্দ্রীয় নবীনবরণ। আমাদের ক্যাম্পাসে এসব কিছুরই নবীন বরণ হয়ে থাকে। আমি মূলত গাইবান্ধা জেলার হলেও, ছোটবেলা থেকেই বগুড়াতে বড় হয়েছি। যার ফলে দুটি জেলারই ছাত্র কল্যাণ সমিতির সদস্য রয়েছি। গত শুক্রবার বগুড়া জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির নবীন বরণ সম্পন্ন হয়েছিল।সেই নবীন বরণে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের মাঝে ভাগ করে নেব।

---

নবীন বরণ এর বিষয়বস্তু:

১. দুপুর দু'টায় ছায়া চত্বরে একত্রিত হওয়া।
২. বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।
৩. ফটোসেশন পর্ব।
৪.খেলাধুলা ও পুরস্কার বিতরণ।
৫. ক্রেস্ট প্রদান ও পরিচয় পর্ব ।
৬. সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও বক্তব্য।
৭.খাওয়া-দাওয়া।
৮. রাতের বেলা ফানুস ওড়ানো।

---

১. দুপুর দু'টায় ছায়া চত্বরে একত্রিত হওয়া:

---

শুক্রবার নামাজ পড়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি এবং আমার হলের দুজন বন্ধু মিলে ছায়া চত্বরের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। ছায়া চত্বর আমাদের আ ফ ম কামালউদ্দিন হল থেকে বেশ ভালই দূরে। হেঁটে যেতে ১২-১৫ মিনিটের মত সময় লাগে। সেখানে গিয়ে দেখে আমাদের ব্যাচমেটদের মধ্যে আমরা তিনজন প্রথম এসেছি। যদিও আমাদের আগে আমাদের বড় ভাইয়েরা যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তারা এসেছিলেন। ডেকোরেশন এর লোকজনরা অবশ্য আরো আগে এসে সবকিছু রেখে গিয়েছিলেন। পরে বড় ভাইদের আমরা ডেকোরেশন এর কাজে সাহায্য করেছিলাম। পরবর্তীতে সকলের শিক্ষার্থীরা ছায়া চত্বরে পৌঁছাতে ৪.৩০ বেজে গিয়েছিলো।

২. বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি:

---

সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহরের অন্যান্য স্থানের তুলনায় গাছগাছালির সংখ্যা বেশি। আমাদের বগুড়া জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির একটি ট্রাডিশন রয়েছে। তাহলে প্রত্যেক বছর নবীন বরণ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে অন্তত দুটি করে বৃক্ষরোপণ করা। জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির বড় ভাইদের সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসের লাইব্রেরীর নিকট একটি পুকুরের পাশে বৃক্ষটি রোপন করলাম।

৩. ফটোসেশন পর্ব📷:

---

আমাদের ক্যাম্পাসের বগুড়া জেলার দোয়েল ভাই ফটোগ্রাফিতে বেশ পারদর্শী ছিলেন। প্রথমে বিভিন্ন ব্যাচভিত্তিক(৪৯,৪৮,৪৭,৪৬,--- তম আবর্তন আলাদাভাবে) ফটোগ্রাফি করা হলো। পরবর্তীতে সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একত্রে মিলে ফটোগ্রাফি সম্পন্ন করলাম। শহীদ মিনারের আশেপাশের স্থানগুলোতে বেশিরভাগ ফটোগ্রাফি সম্পন্ন করলাম।

৪.খেলাধুলা ও পুরস্কার বিতরণ:

---

খেলাধুলার পর্বটা অনেক মজার ছিল। আমাদের ৪৯ তম আবর্তনের ছেলেদের মোরগ লড়াই, বেলুন ফাটানো ; মেয়েদের বেলুন ফাটানো, বালিশ খেলা এবং ছেলেমেয়েদের যৌথভাবে বল নিক্ষেপ খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। অন্যান্ন ব্যাচের বড় ভাই এবং আপুদের যৌথভাবে বালিশ খেলা দেয়া হয়েছিল। আমি অবশ্য মোরগ লড়াই এবং বেলুন ফাটানো দুটোতে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছিলাম। খেলাধুলার পর্ব শেষ হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছিল।

আজকের পর্বে আপাতত এই কয়েকটি বিষয় উপস্থাপন করলাম। পরবর্তী সপ্তাহের এই দিনে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং কাছের মানুষদের খেয়াল রাখবেন।

চলবে.....

---

আমার শেয়ার করা পোস্টটি কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানান, আশা করি সবার ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে, কমেন্ট এবং আপভোট দিবেন। 💗💗🌲