শেষ পর্যন্ত কে থাকবে আমার আপনার সাথে??
১৮কার্তিক , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
০৪নভেম্বর , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
০৮রবিউস সানি , ১৪৪৩ হিজরী
শুক্রবার ❤️
হেমন্তকাল ।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
আপনাকে একটা সহজ প্রশ্ন করি?? কে আপনার প্রকৃত সাথী ??কে শেষ পর্যন্ত আপনার সঙ্গে থাকবে??
আমি শেষ বলতে মৃত্যুকে বোঝাইনি। মৃত্যু তো শেষ নয় বরং অশেষ একটি জীবনের শুরু মাত্র। অশেষ এই জীবনের নাম পরকাল বা আখেরাত। মৃত্যুর পরের জীবনই আসল জীবন এই জীবনের সাফল্যই আসল সাফল্য। তেমনিভাবে এই জীবনের ব্যর্থতাই প্রকৃত ব্যর্থতা।
প্রিয় ভাই ও বোন আমরা প্রকৃত সাথী চিনতে বরাবরই অনেক ভুল করি। কখনো আমরা আমাদের সম্পর্কেই প্রকৃত সাথী বলে মনে করি। কেননা আমরা দেখি বিপদে দুর্যোগে সম্পদ আমাদের কাজে আসে। সম্পদ আমাদেরকে সমাজের প্রভাবশালী বানায়। সম্পদ আমাদেরকে ক্ষমতার আসনে বসেন তাই আমরা সম্পর্কেই প্রকৃত বন্ধু বলে মনে করি। তাই আমরা সব সময় সম্পদ অর্জনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ি । যত বেশি পারি সম্পদ অর্জন করতে থাকি এবং জমাতে থাকি।
সবসময়ই আমরা অবচেতন মনে ভাবতে থাকি সম্পদ আমাদেরকে রক্ষা করবে। একমাত্র সুখ শান্তি এবং ভালবাসার সম্পদেই আমাদেরকে এনে দিতে পারবে আমরা সব সময়ই এটাই ভাবি। এজন্য আমরা কখনো সৃষ্টি করতাম নাফরমানি করতে পিছপা হইনা। সম্পদ অর্জনের জন্য মিথ্যা চুরি জুলুম রাহাজানি খুন সবকিছুই আমরা করতে প্রস্তুত থাকে। আমাদের এমবিশন একটাই সম্পদ চাই বেশি বেশি টাকা চাই বেশি বেশি বাড়ি-গাড়ির মালিক হতে চাই।
আবার আমরা পরিবার পরিজন বন্ধু-বান্ধব আশপাশের মানুষকে প্রকৃত সাথী ভেবে বসি। আমরা ভাবতে পছন্দ করি তারা আমাদের সাথে চিরকাল থাকবে। পরিবারের ভালোবাসার জন্য আমরা কত সময় কত ত্যাগী না সহ্য করি। পরিবার পরিজনকে সুখে রাখার জন্য আমরা কত খারাপ এবং হারাম উপায়ে না অর্থ উপার্জন করি।
প্রিয় ভাই ধন সম্পদ বলুন আর পরিবার-পরিজন বলুন বন্ধু আর আত্মীয়-স্বজন বলুন, আসলে কেউ আমাদের প্রকৃত সাথী নয়। তারা শেষ পর্যন্ত কেউই আমাদের সঙ্গে থাকবে না। তাহলে একটু ঠান্ডা মস্তিষ্কে ভালো করে ভাবুন তো, তাহলে কে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকবে?? তাহলে কে সে আমাদের প্রকৃত বন্ধু???
চিতায় বলুন আর কবর বলুন মৃত ব্যক্তির কিছু কিছু তিনটা জিনিস যায়। একটার পরিবার-পরিজন দুই ধন সম্পদ ৩ তার কর্মের ফল। এর মধ্যে দুইটা জিনিস ফেরত আসে পরিবার পরিজন এবং সম্পদ। কিন্তু তিন নাম্বার যেটা তার কর্ম তার আমল। হোক সেটা নেক আমল বা বদ আমল সেটা তার সাথে রয়ে যায়। কথার কথা সম্পদ তাও চিতা বা কবরের পাশ পর্যন্ত যাবেনা। সবাই চলে আসার পরেও কিন্তু আপনার সাথে আপনার আমলটা থেকেই গেল। এখনই আমলের উপর নির্ভর করে আপনাকে হয় শান্তি না হয় কষ্টে থাকতে হবে।
আপনি এখন মরার আগে একটু মোরে দেখুন তো?? একটু ভাবুন তো?? কেউ কি আপনাকে মনে রাখবে!! একদিন দুইদিন বা পাঁচ দিন এরপরে সবাই আপনাকে ভুলে যাবে। কিন্তু আপনার প্রস্তুত করে রাখা ধন-সম্পদ সবাই ভাগাভাগি করে নেবে। সবাই সবার মত ব্যবহার করবে। কিন্তু এই সম্পদ উপার্জন করতে গিয়ে যদি আপনি অসৎ পথ অবলম্বন করে থাকেন তাহলে কিন্তু এর প্রতিফলটা আপনাকেই ভোগ করতে হবে। এবার একটু ভাবুন তাহলে আপনার লাভটা কোথায় আর লসটা হল কোথায়??
উপরে আমি যে প্রশ্ন করেছিলাম আশা করছি আপনারা সেই উত্তরগুলা পেয়ে গেছেন। কি আমাদের প্রকৃত বন্ধু কে আমাদের সাথে থাকবে কে আমাদের শান্তির জন্য কাজ করবে। আর কি কারনেই বা আমরা মৃত্যুর পরে শাস্তি উপভোগ করব। সম্পদ তো আমাদের কবরবাসী তার পাশেও যাবে না কিন্তু এই সম্পদ উপার্জন করার কারণেই হয়তো একদিন আমি ধ্বংসের মুখে পতিত হব।
প্রিয় ভাই ও বোন এখনো কি সময় হয়নি আপনাদের প্রিয় সাথী চেনার প্রিয় বন্ধুকে চেনার?? এখনো কি সময় হয়নি ঘুরে দাঁড়াবার?? এখনো কি সময় হয়নি পরকালের পাথেয় যোগাড় করার??
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
আমার লেখা পুরো কথাগুলো পড়ে খুব সুন্দর এবং উৎসাহমূলক একটি মন্তব্য করেছেন বুঝে খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে। আসলে ক্ষণস্থায়ী জীবনে আমরা যাই ভাবি না কেন যদি না সঠিক মত আমল করে যেতে পারি তাহলে অবশ্যই কঠিন বাধার সম্মুখীন হতে হবে মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে আমাদেরকে।
অনেক সুন্দর একটি কথা বলেছেন ভাইয়া আসলে দুনিয়াতে যে আমাদের পাঠানো হলো এর আসল উদ্দেশ্য কি সেটাই আমরা ভুলে গিয়েছি।।
সত্যি ভাইয়া এই পৃথিবীতে আমাদের আপনজনকে তা আমরা বুঝতে পারি না। আসলে এই পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অনেক আপন। আবার কিছু কিছু মানুষ আছে যারা আপন হয়েও অনেক পর। আসলে কে কখন আপন হয়ে যায় কিংবা কে কখন পর হয়ে যায় সেটা আমরা বুঝতে পারি না। আমরা যখন এই পৃথিবীতে থাকবো না তখন হয়তো অনেকেই আমাদের ভুলে যাবে। আবার অনেকে আছে যারা আমাদের সারা জীবন মনে রাখবে।
আসলে মায়াজালে ঘিরা এই পৃথিবীতে যত মানুষই দেখি না কেন ক্ষণিকের জন্য আপন মনে হলেও আসলেই কি তারা আমাদের আপনজন তারা কি কেউ আমাদের চিরস্থায়ী সাথী। ধন্যবাদ আপু সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।।
টুইটার
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল, আসলে কথা গুলো চিরন্তন সত্য। পৃথিবীটা হচ্ছে মায়ার বাঁধন, এখানে আমাদের আপন জন অনেকেই আছে। এই আপন জনের জন্য আমরা কতোকিছুই করি,হয়তো অনেকেই সৎ উপায়ে আবার অনেকেই অসৎ উপায়ে উপার্জন করে। মৃত্যুর সময় আমল ছাড়া আর কিছুই সাথে জাবে না।কিন্তু মৃত্যুর পর তাকে আর কেউ মনে রাখবে না শুধু তার রেখে যাওয়া সম্পদের ভাগ নেবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
পৃথিবীটা হচ্ছে মায়ার বাঁধন যেখানে ছড়ানো রয়েছে মায়াজাল যার বাঁধনে আমরা সবকিছু ভুলে যাচ্ছি আসলে আমাদের যে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে আমাদের যে একজন সৃষ্টিকর্তা রয়েছেন তার কাছে আমাদের সব কিছুর হিসাব দিতে হবে এ কথাগুলো আমরা মনেই রাখি না
আসলে ভাইয়া, আপনার কথাটা কিন্তু একদম বাস্তব। আসলে চলার পথে আমাদের সাথে হাজার হাজার মানুষের দেখা কিংবা নিজেদের আত্মীয়-স্বজন পরিচিত। কিন্তু প্রশ্ন হল এই সব কিছুর মাঝে কে আপন কে পর। আসলে কখনো কখনো দেখা যায় আপনরাও পর হয়ে যায় আবার পর আপন হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় আপন পর চিনতেই আমরা ভুল করি। কারণ এখন বিশ্বাসটাই যেন নড়বড়ে হয়ে গেছে। আপনার লেখাটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত আমাদের সৃষ্টিকর্তা এবং আমাদের আমলনামাটাই থাকবে যার মাধ্যমে আমরা হয় শাস্তি পাব না হয় শান্তি পাব অবশ্যই আমাদের এই লক্ষ্যে সামনের দিকে কোন উচিত যাতে আমরা শান্তির ব্যবস্থা করতে পারি।।।
আপনার সাথে আমিও একমত ভাইয়া। পৃথিবীর এই জীবন তো ক্ষণস্থায়ী তবে আখিরাতের জীবন দীর্ঘস্থায়ী । পৃথিবীতে আমরা যতই ধন-সম্পদ ইনকাম করি সেগুলো তো পৃথিবীতেই রয়ে যাবে, আমাদের পরকালের জন্য কিছু ইনকাম করা উচিৎ যেটা ভবিষ্যতে ভোগ করতে পারবো।
পৃথিবী ক্ষণস্থায়ী কিন্তু আখিরাত্য চিরস্থায়ী আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছি পৃথিবীকে নিয়ে আখেরাতের কথা ভুলে গেছি।। অবশ্যই আমাদের উচিত হবে যেখানে থাকতে হবে চিরকাল সেখানকার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।।
খুব সত্যি কথা ভাইয়া। এ পৃথিবীতে আপন কেউ নয়। তবে হে যে মানুষ গুলো সত্যের পথে চলতে শেখায়,ভাল কাজে উৎসাহ দেয় তাদেরকে কিছুটা হলেও আপন মনে করা যায়।কিন্তু নিজের ভাল কাজ গুলোই কিন্তু প্রকৃত বন্ধু। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সত্য সঠিক এবং সহজ পথ আমাদেরকে খুঁজে নিতে হবে হোক নিজে নিজে না হয় কোন মানুষের দেখে তবুও ভালো কাজগুলো আমাদেরকে করতেই হবে।
জি ভাইয়া দুনিয়াতে অধিকাংশ মানুষ সম্পদ অর্জনের পিছনে জীবনটা কাটিয়ে দেয়। অর্থের পিছনে ছুটতে ছুটতে একসময় জীবন শেষ হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় শেষ জীবনে অর্থ থাকে কিন্তুু খরচ করার সময় থাকে না। সেই সম্পদ ছেলে মেয়েরা ভাল খারাপ দুই কাজেই লাগায়। কিন্তুু খারাপের জন্য তো নিজের উপর পাপ আসে। তাই সম্পদ নয় সৃষ্টিকর্তাকে প্রকৃত সাথী বানাতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অর্থই অনর্থের মূল এই অর্থের কারণেই আমাদের জীবনকে আমরা তিলে তিলে শেষ করে দিই কখন আমাদের জীবনের শেষ মুহূর্ত চলে আসে আসলে আমরা বুঝতেই পারি কিন্তু যখন বুঝতে পারি তখন আর আমাদের কিছু করার থাকে না এজন্য সময় থাকতে ভালো কাজগুলো করতে হবে এবং মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।।