১৬আশ্বিন, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ

১অক্টোবর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ

২৩শে সফর, ১৪৪৩ হিজর

শুক্রবার

শরৎকাল।

---

---

আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।

---

১.

বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ও দূরত্ব, তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাত দেখে বোঝা যায় যে এ দেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ। মাঝারি বৃষ্টিপাত, মাঝারি শীত এবং আর্দ্র গ্রীষ্ম বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য। শীতকালে (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি) উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম থেকে প্রবাহিত বাতাসে খুব বেশি জলীয় বাষ্প থাকে না। ফলে খুব বেশি বৃষ্টি হয় না। গ্রীষ্মে, অন্যদিকে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে প্রবাহিত মৌসুমী বায়ু পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্পের কারণে প্রচুর বৃষ্টিপাত করে। তাছাড়া মার্চ-এপ্রিল মাসে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হঠাৎ ঝড় ও ঘূর্ণিঝড় হয়। এটি কালবৈশাখী ঝড় নামে পরিচিত। এই ঝড়ের সঙ্গে প্রায়ই শিলাবৃষ্টি হয়। এছাড়াও গ্রীষ্মে। সমুদ্র চাপে আছে। ফলস্বরূপ, মাঝে মাঝে ঘূর্ণিঝড় উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে।

---

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ

শিল্প বিপ্লবের ফলে মানুষের বিলাসিতার কারণে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বাড়ছে। জৈব জ্বালানি অনেক শিল্পে ব্যবহৃত হয় - কারখানা, যানবাহন, পরিবার। ফলে বাতাসে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে। অন্যদিকে, বিশ্বের জনসংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। তাদের খাদ্য, আশ্রয় ইত্যাদির জন্য বিপুল পরিমাণ বন পরিষ্কার করা হচ্ছে ফলস্বরূপ, গাছের দ্বারা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণের ভারসাম্য বজায় থাকে না।

---

জলবায়ু পরিবর্তনের অসুবিধা

জলবায়ু পরিবর্তন প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, মেরু অঞ্চল এবং পর্বত হিমবাহ গলে যাওয়া, মরুকরণকে ত্বরান্বিত করা। ফলস্বরূপ, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, খরা, লবণাক্ততা, বন্যা, বন্যার তীব্রতা ও দীর্ঘায়ু বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বৃদ্ধি, চরম তাপ, চরম ঠান্ডা ইত্যাদি দুর্যোগ ঘটছে। ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

---

তাপমাত্রা

বাংলাদেশে গ্রীষ্মের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 34 ° সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 1 C সেলসিয়াস। এই দেশে শীতকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 29 ° সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন 11 সেলসিয়াস। জানুয়ারী হল শীতল মাস এবং গড় তাপমাত্রা 18.6 ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতকালে, দেশের দক্ষিণ উপকূলের কাছাকাছি তাপমাত্রা বেশি এবং উত্তরে কম থাকে।

---

বৃষ্টিপাত

বাংলাদেশে অঞ্চলভেদে বৃষ্টিপাতের তারতম্য হয়। গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত 1100 মিমি থেকে 4500 মিমি পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়। এই বৃষ্টিপাতের প্রায় 90 শতাংশ এপ্রিল থেকে আগস্টের মধ্যে ঘটে। শীতকালে খুব কম বৃষ্টি হয়। দেশের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। দেশে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয় নাটোরের লালপুর এবং সার্ভিক্স সিলেটের লালাখালে।

---

আর্দ্রতা

এই দেশে আদ্রতার উপর নির্ভর করে আর্দ্রতার তারতম্য হয়। শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকে। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় বাতাস বেশ আর্দ্র থাকে। বাতাসের এই আর্দ্রতা বৃষ্টিপাতের সাথে সম্পর্কিত। শীতকালে গড় আপেক্ষিক আর্দ্রতা 83% থেকে 74%। গ্রীষ্ম এবং বর্ষায় যা 63% থেকে 69% পর্যন্ত। বাংলাদেশ প্রায়ই ভারী বৃষ্টি, খরা, খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়।

---

---

লোকেশন:

https://w3w.co///rebuking.swooshing.skate

ডিভাইস redmid

---

সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ