যুব সমাজের অধঃপতনের কারণ ও প্রতিকার।
০১কার্তিক , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২০অক্টোবর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
৩০রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরী
শুক্রবার।
শরৎকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
যৌবন বয়স আল্লাহ দেওয়া সবথেকে বড় নেয়ামতের মধ্যে অন্যতম। এ সময় একজন মানুষ যা ইচ্ছা করতে পারে,করার সাহস ও ক্ষমতা থাকে।মনে খুব সাহস থাকে যে আমি পারবো।তবে মনে রাখতে হবে প্রতিটা নিশ্বাস কিন্তু আমাদের আয়ু কুমিয়ে দিচ্ছে।এ জন্য যৌবন বয়স বেশি দিন স্থায়ী হয় না। তাই যৌবনের গুরুত্ব দিয়ে ভালো কাজ করা। >মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘তোমরা পাঁচটি জিনিসের আগে পাঁচটি জিনিসকে মুল্যায়ন করো। ১.বার্ধক্যের আসার আগে যৌবনকে, ২.অসুস্থতা আসার আগে সুস্থতাকে, ৩.অসচ্ছলতা আসার আগে সচ্ছলতাকে, ৪.ব্যস্ততা আসার আগে অবসরকে এবং ৫. মৃত্যু আসার আগে জীবনকে।’ (আল-হাদীস)
যৌবন বয়স ইবাদতের সেরা সময়:
যৌবন বয়স বেশি বেশি ইবাদত করার সুবর্ণ সময়। মানুষের মধ্যে যারা বুদ্ধিমান।যৌবনকাল একবার গেলে আর ফেরত আসে না। সঠিক সময়ে সঠিক কাজটা না করলে পরে আফসোস করে আর কিছু হবে না।যারা যৌবন বয়স্ক কে অবহেলায় অন্য পথে কাটাবে তারা যেমন দুনিয়াতে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তেমন আখিরাতে জিজ্ঞাসিত হবে।
এ সম্পর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেন, কিয়ামতের ময়দানে প্রত্যেকটা মানুষ পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দেয়া ছাড়া এক কদম এগোতে পারবেনা প্রশ্নগুলো হলো—১.জীবন কোন পথে ব্যয় করেছো, ২.যৌবনকাল কি ভাবে কাটিয়েছো ৩.সম্পদ কোন পথে উপার্জন করেছে ৪. সম্পদ কোথায় ব্যয় করেছে ৫.যা জেনেছে, সেই অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছে।’ (আল-হাদীস)**
অন্য একটা হাদিসে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কিয়ামতের কঠিন ময়দানে সাত শ্রেণীর মানুষ আরশের ছায়া পাবে এর মধ্যে এক শ্রেণী হলো যে যুবক যৌবন বয়সে ইবাদতে কাটায়। এর মানে একটু ভেবে দেখেছেন যেদিন সূর্যের ষোলটা মুখ খোলা থাকবে আমাদের মাথার আধ হাত উপরে। কঠিন এই ভয়াবহ দিনে একমাত্র যুবকরাই এখানে আশ্রয় পাবে এবং শান্তিতে থাকবে।
যুবকদের অধঃপতনের কারণ ও প্রতিকার
যুবসমাজ মানব জাতির চালক। যুবক ছাড়া সমাজ পরিবর্তন ও পরিবর্ধন অসম্ভব। যুবকদের ঐক্য শক্তি এবং তাদের আন্দোলনের উপর নির্ভর করে যে কোন সময় যেকোনো বিষয় সমাজের প্রতিস্থাপন হতে পারে । তাই যে সমাজে যুবকদের চরিত্র এবং নীতির নৈতিকতা নিয়ম-শৃঙ্খলা ভালো থাকবে সেই সমাজ সব সময় ভালোভাবে চলবে ।পক্ষান্তরে যে সমাজের যুব সমাজের চরিত্র নিয়ম-শৃঙ্খলা এবং ভদ্রতা ঠিক থাকবে না সেই সমাজ ধরে নেবেন অধঃপতনের দিকে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। যুব সমাজরা যেমন সমাজকে পূর্ণ গঠিত করে গড়ে তুলতে পারে। তেমনি ধ্বংস করতে পারে।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 3/7) Get profit votes with @tipU :)
জি ভাই যৌবন বয়স সৃষ্টিকর্তার দেওয়া সব থেকে বড় নেয়ামত কিন্তু এখন আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্লু ফ্লিম এবং মোবাইলের মাধ্যমে নিজের জীবন যৌবন শেষ করে দিয়েছি। এই কারণে আমি ভাইয়া দ্রুত বিয়ে করে ফেলেছি কারণ নিজের পাপের দায়ভার কেউ নেবে না। সমাজের কথা ভাবতে গেলে ভাই নিজের জীবন চলবেনা। আমাদের উচিত হবে বেশি বেশি এবাদত করা। বর্তমান সময়ে আমাদের যুব সমাজরা যদি ভালোভাবে গড়ে উঠতে হয় তাহলে তাদের ফোন থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সুন্দর একটি সংগঠন করে তুলতে হবে। ফোন ব্যবহার করবে ভালো কাজে কিন্তু এখনকার সময় গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে অনেক ছেলেমেয়ে। গেমের কারণে অধঃপতন সব
ঠিকই বলেছেন আপনি বিবাহের বয়স হয়ে গেলে দ্রুত করে ফেলানো ভালো। কেননা বর্তমান সময়ে পরকীয়া এবং মোবাইলে আসক্ত হয়ে যুবসমাজটা ধ্বংসের মুখে পড়ে গেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।