কথাগুলো তিক্ত হলেও বাস্তব 💔💔
২৯পৌষ , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
১৩জানুয়ারী , ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
২০জমাদিউল সানি, , ১৪৪৪ হিজরী
শুক্রবার ❤️♥️
শীতকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করছি। বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আমাদেরকে সর্বক্ষণই জীবন অতিবাহিত করতে হয়। আগামী দিনের সম্ভাবনার কথা ভেবে দিন এবং রাত যাপন করতে হয়। পৃথিবীর মায়ায় পড়ে আজ আমরা কত কিছুই না করছি। অথচ একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে দিচ্ছি পরবর্তীতে আরেকটি টেনে তুলতে পারবো কিনা তারও কোন ভরসা নেই আমাদের। আর এটাই হলো মানবজীবন। যাহোক আজ আপনাদের মাঝে কিছু কথা শেয়ার করব কথাগুলো তিতো হলেও ও বাস্তব। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
কারো সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার পরে তার সাথেই আবার ভালবাসাটা গড়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু ভালবাসা ভেঙে কখনো বন্ধুত্ব করে পাশাপাশি চলা সম্ভব হয় না। কারণ কোন মানুষ মারা যাওয়ার আগে তাকে ওষুধ সেবন করালে ওষুধ কাজ করবে ।কিন্তু কখনোই মারা যাওয়া মানুষের উপর কোন ওষুধ প্রয়োগ করে কার্যকর হয় না।
অনেক আগে একটি বইতে পড়েছিলাম:
নিজের বউ থেকে যদি অন্য মেয়েকে আপনার চোখে সুন্দরী দেখায় তাহলে আপনি ভেবে নিয়েন যে আপনার চোখ শয়তানে পরিণত হয়ে গেছে।
বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক এমনই হয়ে গেছে ।প্রত্যেকটা ছেলে অথবা মেয়েই ঘর থেকে পরকে বেশি সুন্দর এবং আপন মনে করা শুরু করে দিয়েছে। যার কারণে ছেলে অথবা মেয়ে উভয়ের উপরেই ধ্বংসযজ্ঞ নেমে এসেছে। পরিবারে ও শান্তি নেই আর মানসিক প্রশান্তি তো অনেক আগেই উঠে গেছে।
একটা ভালো মেয়ে যদি গ্রাম্য ভাষায় বলতে যাই এককথায় একটি সংসারী মেয়ে তার স্বামী বা প্রিয় মানুষের কাছ থেকে দামি কোন কিছু কখনো এক্সপেক্ট করে না। সবসময়ই আশা থাকে একটু সময় এবং বুক ভরা ভালবাসার। একটি মেয়ে যতটাই কষ্টে থাকুক না কেন? যদি তার স্বামী তার পাশে থাকে সবদিক থেকে সাপোর্ট করে তাহলে শত কষ্ট সে হাসিমুখে মেনে নিতে পারে।
যে ছেলে তার নিজের ফ্যামিলির কষ্ট এবং দুর্দিন নিজ চোখে দেখেছে সে পৃথিবীর সব ধরনের কষ্ট সব সময় নিজের মধ্যে হজম করে নিতে পারবে। নিজের কষ্টগুলো সামাল দিতে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে ভালবাসাটাকেও বিসর্জন দিতে হয়। প্রিয় মানুষগুলোকে ছেড়ে থাকতে হয় দুর্দান্তে করতে হয় অনেক হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম। আর এভাবে হয়তো একটি ছেলের ভালবাসার সূর্য ডুবে যায় একসময় জীবনের সাথে সংগ্রাম করতে। এর নামই একজন ছেলে।একসাথে কিছুই পাওয়া হয় না ফ্যামিলি এবং ভালোবাসা দুটোর। হয় ফ্যামিলিকে বেছে নিতে হয়। আর না হয় ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে দূরে যেতে হয়। এর নামই মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে।
তুমি না হয় থেমে যেও এখানেই আমি না হয় যত্নে গড়া দায়িত্বোরা নিজের কাঁধে নিয়ে বইতে থাকব সারা জীবন।
জি এই কথাটি আমার নয় এই কথাটি বলেছিলেন একজন বিশিষ্ট লেখক তার মৃত্যুশয্যায় শায়িত থাকা স্ত্রীকে। আসলে একজন মানুষের মধ্যে কত রকমই ভালোবাসা আবেগ এবং অনুভূতি কাজ করলে এমন কথা শেষ মুহূর্তে আসতে পারে। আসলে এটাই ভালোবাসা। থাকবেনা মানুষ পৃথিবীতে চিরদিন জেনেও ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে। ঘরোবাধে আবার সে ঘর ভেঙে যায় মরুভূমির বিক্ষিপ্ত বালু আর উষ্ণ তাপমাত্রার মতোই।
আসলে ভালোবাসা দিয়ে যে ঘরগুলা বাধা হয় বাজে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখা হয় চিরদিন একসাথে থাকার পরিকল্পনা করে স্বপ্ন গড়া হয়। সেই স্বপ্ন কখনো মিথ্যা হতে পারে না। মানুষ সবসময়ই চায় তার প্রিয়জনকে নিয়ে তার সারাটা জীবন পার করুক। কিন্তু ওই যে বাংলায় একটি কথা আছে জন্মালে মরতে হয়। হয়তো ওই মৃত্যু একদিন আমাদের সাজানো স্বপ্ন সাজানো ভালোবাসা সাজানো ঘরটাকে তছনছ করে দেয়। তবুও কি আমরা স্বপ্ন দেখা বাদ দেই। অবুঝ মন তবুও স্বপ্ন দেখে স্বপ্ন বনে কত আঁকিবুকি রাখে চোখে।
একটু ভাবুন তো কেউ যদি একটি মাটির পাত্র সংরক্ষণ করে রাখতে চায় হাজার বছর ভালো প্রটেকশন দিয়ে তাহলে সেটা সম্ভাবনা থাকে 95%। এবার আপনার নিজের জীবনের কথা ভাবুন তো আপনি একটা নিশ্বাস ফেলছেন পরবর্তীতে টেনে তুলতে পারবেন কিনা তার নিশ্চয়তা কতটুকু। এর মানে এখন আমি বলতেই পারি যে একটি মাটির পাত্র থেকে মানুষের জীবনের মূল্য কম। তাকে হাজার বছর রাখা সম্ভব হলেও মানুষ ইচ্ছা করলে একটা সেকেন্ডও জীবিত থেকে দেখাতে পারবে না তার নির্দিষ্ট সময়সীমার বাইরে।
এতকিছু কি আর আমাদের ভাববার সময় আছে আমরা তো ব্যস্ত রয়েছি দুনিয়ার রং তামাশা আর হাসি-ঠাট্টার মাঝে ডুবে থাকার নেশায়। কখনো কি ভেবে দেখেছি কোথা থেকে আসলাম আর কোথায় একদিন চলে যাব। আজ যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে পৃথিবী আমাকে কতদিন মনে রাখবে। পৃথিবী যে আমাকে মনে রাখবে এমন কোন ভালো কাজ কি আমি পৃথিবীতে করে যাচ্ছি। একটু ভাবুন তো। মৃত্যু আমার আপনার জীবনকে ঠেকিয়ে দেবে কোথায়। কখন কিভাবে কিছুই কিন্তু আমরা জানি না। পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজন সবাইকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখি সবসময় কিন্তু যদি বন্ধু হয়ে যায় আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস তাহলে শত স্বপ্ন থেকে যাবে চোখের মাঝেই।
আমাদের উচিত পৃথিবীতে ভালো কাজ গুলো বেশি বেশি করার। সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ মত পৃথিবীতে জীবন অতিবাহিত করার। এমন কাজ করতে হবে যেন পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার পরেও পৃথিবীর মানুষ মনে রাখে আমাকে। তবে অবশ্যই সেটা যেন ভাল কাজ হয়। মানুষ যদি খারাপ কারো পৃথিবী থেকে করে মৃত্যুবরণ করে তাহলে কিন্তু তার কথাও মানুষ মনে রাখে কিন্তু ঘৃণার চোখে। পৃথিবীতে থাকতে মানুষকে ভালোবাসা দেওয়ার চেষ্টা করুন ।পৃথিবীকে ভালো কোন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করুন ।তাহলে মৃত্যুর পরে পৃথিবী এবং পৃথিবীর মানুষ ও আপনাকে মনে রাখবে।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
প্রচুর আবেগ দিয়ে লিখেছেন বোঝা যাচ্ছে লেখা পড়ে। বেশ ভাল ছিল কথা গুলো।একদম বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। মৃত্যুর কথা মাথায় রেখেই আমাদের সব কাজ করতে হবে,আর এমন কাজ করতে হবে যাতে পৃথিবী আমাদের মনে রাখে।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর ব্লগটির জন্য।
বাস্তব জীবনে চলাফেরা করতে আমরা কত কিছুই না দেখি আর কত কিছু না থেকে আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করি তার আলোকেই চেষ্টা করেছিলাম আজকে কিছু কথা লেখার আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম ধন্যবাদ।।
কথাগুলো বেশ সুন্দর। আসলেই আমরা কতকিছু কল্পনা করি জীবনটা কে নিয়ে।অথচ এখন নিঃশ্বাস নিচ্ছি আর এক সেকেন্ড পরে নিঃশ্বাস নিতে পারবো কিনা তার গ্যারেন্টি নেই। আসলেই আমাদের কাছে নিজের চেয়ে অন্যর উপরটা দেখে অন্যকে সুখী মনে হয়।তবে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকে তার কর্মের মাধ্যমে। বেঁচে থাকতে আমাদের সকলের উচিত ভালো কাজ করে যাওয়া।ধন্যবাদ
জীবন নামের রেলগাড়িটার কোন নিশ্চয়তা নেই কখন হুট করে থেমে যাবে কোন স্টেশনে কেউ জানে না। কিছুদিন পরে মুছে যাবে স্মৃতিগুলো পৃথিবীতে তারপরেও আমাদের এত ইচ্ছা বেঁচে থাকার।।
খুবই বাস্তব কিছু কথা আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যে কথাগুলো সত্যিই বর্তমান সময়ের সঙ্গে একদম মিলে গেছে। আসলে আপনি যেই বইটা করেছেন সেই ভয়ে যেই কথাটা লেখা আছে সেই কথাটা একদম চিরন্তন সত্য আমরা বরাবরই ছেলে অথবা মেয়ে সবসময়ই অন্য কারো দিকে সৌন্দর্য খুঁজে পাই। কিন্তু আমাদের এটা একবারও ভাবায় না যে অন্য মানুষ যতই সুন্দরই হোক না কেন তাতে আমার কিছু যাবে বা আসবে না পক্ষান্তরে আমি যেই মানুষটাকে ভালোবাসি বা যে আমার সঙ্গে আছে তাকেই আমার সবথেকে বেশি সুন্দর বলে মেনে নিতে হবে। সত্যিই মানুষ বাঁচে তার কর্মের মাধ্যমে কিন্তু কর্মটা যদি ভালো হয় তাহলে মানুষ তাকে সারা জীবন মনে রাখে, খারাপ কর্ম করলেও মানুষটাকে মনে রাখে তবে ঘৃণার চোখে। আপনার এই ব্লগটি পরে আমার খুবই ভালো লাগলো ভাই।
আসলে আমরা ভুলেই যাই যে মানুষের আসল সৌন্দর্য তার পরিষ্কার অন্তর এবং আচার ব্যবহার। আমরা সব সময় বাহ্যিক সৌন্দর্যের দিকেই বেশি দৃষ্টিপাত করি যার কারণে আমাদের অধঃপতন টাও তাড়াতাড়ি নেমে আসে।। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।।
নিজের সুখের কথা চিন্তা না করে আমরা অন্যের জীবনে কি সুখ বয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে বেশি মাথা ঘামাই। এটা একবারও মাথায় আসে না অন্যের চিন্তা করতে করতে এক সময় আর নিজের চিন্তার সময় থাকে না। মানুষ চাইলেই খুব সহজ এবং সাবলীল জীবনযাপন করতে পারে। মানুষের মনে নিজের ভালোটা রেখে যাওয়াই হচ্ছে অর্জন। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক তিক্ত হলেও সুন্দর কিছু কথা জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এজন্যই বিশিষ্ট গুণ্ডা বলে থাকেন নিজেকে নিয়ে যেভাবে সেই হলো আসল জ্ঞানী।। সব সময় নিজেকে ডেভেলপ করতে হবে নিজের আগামী গড়ে তুলতে হবে সুপরিকল্পনা।।।