জেনারেল রাইটিং🦊(১০%পে আউট লাজুক খ্যাকের জন্য)🐺
০৬ কার্তিক ১৪৩০ বাংলা।
আসসালামু -আলাইকুম /আদাব।
কেমন আছেন সবাই।আমার প্রিয় বাংলা ব্লক কমিটির সকল সদস্য সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।আমরা এই কমিউনিটি থেকে অনেক কিছু জ্ঞান অর্জন করছি।নিজেদের ক্রিয়েটিভিটি সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারছি এবং অর্থ উপার্জন করছি।এর পিছনে কমিউনিটির ফাউন্ডার দাদা সহ এডমিন মডারেটরদের অনেক অবদান রয়েছে।সকলকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে বিষয় নিয়ে কথা বলবো সেটি হল আমাদের কাঠিয়া আসা ছোটবেলা ও বর্তমান সময়ের কিছু কথা। এই সময়গুলো আমরা খুবই মিস করছি। যদি আবারো ফিরে পেতাম এমন সময় এমন দিন এমন আনন্দ মুহূর্তটা।
কপিরাইট ফ্রি ইমেজ সোর্স : পিক্সাবে
আমাদের সকলের ছোটবেলার কাটানো দিনগুলো কমবেশি মনের মাঝের স্মৃতি হয়ে রয়েছে। বর্তমান সময়ে এবং আমাদের সময় মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে এই পোস্টের মাধ্যমে তা আজকে আমি আপনাদের মাঝে বর্ণনা করছি। আমরা যারা ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০০ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছি তাদের মধ্যে হয়তো কোন বিশেষ কিছু ছিল না। আমাদের সময় ছিল না তেমন কোনো মোবাইল ফোন ইউজ ইন্টারনেট ব্যবহার। বিশেষ কোন দরকারে ব্যবহার করা হতো চিঠি আদান-প্রদান। শৈশবকালে ছিল না কোন চিন্তা ছিল না কোন ভাবনা অনেক আনন্দের গর্ত দিন। সকালবেলা পুকুরে গোসল করতে গেলে পানির মধ্যে ডুব দিয়ে কারো পা টেনে ধরে ভয় দেখাতাম। স্কুলে যাওয়ার পথে বন্ধুর গলা ধরে স্কুলে যেতাম এবং সারা রাস্তা গল্প করতাম। আমাদের সময় 3 টাকা দামের একটি কলম ছিল জেটি স্কুলের পড়া না পারলে স্যারেরা দুই আঙ্গুলের মাঝখানে ঢুকে শাস্তি দিতেন। আমাদের ওই সময় দরজার কোনায় দাঁড়িয়ে থাকতাম কাউকে চমকে দেয়ার জন্য।সে আসতে দেরি করলে বাইরে বেরিয়ে চিল্লানো শুরু করতাম।দুই টাকার ঝাল মুড়ি কিনে তিন-চার জন বন্ধু মিলে ভাগ করে খেতাম।
কারো মাথার সাথে গুতা লাগলে সিং গজাবে ভেবে আরেকটি গুতা দিতাম। আমাদের সময় এক টাকায় চারটি লজেন পাওয়া যেত সেই লজেন গুলো কিনে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করে পার্টিসিপেট করতাম। স্কুলে গিয়ে কলম দিয়ে কলমের সঙ্গে লড়াই করা খেলতাম। অনেক সময় স্কুল ফাঁকি দিয়ে বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যেতাম।আমাদের সময় এক টাকার রঙিন আইসক্রিম ছিল গরম পড়লে কিনে খেতাম। আকাশে শব্দ হলে রুম থেকে বেরিয়ে আসতাম সবাই হেলিকপ্টার উঠছে দেখার জন্য।স্কুল শেষে বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে দৌড়ে আগে বাসায় চলে আসতাম।শুক্রবার হলে যেন সকালে আর ঘুম ভাঙতো না।শুক্রবারের জুম্মার নামাজ পড়তে যেতাম সিন্নি খাওয়ার জন্য। বিকাল হতে না হতে বসে পড়তাম বিটিভিতে সিনেমা দেখার জন্য।রাতের জন্য অপেক্ষা করতাম আলিফ লায়লা দেখার জন্য। আমাদের সময় সিসিমপুর কার্টুন দেখার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতাম।ফলের বিচি খেয়ে ফেললে চিন্তা করতাম পেটের ভিতরে গাছ জালাবে কিনা। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলে তো মজাই আলাদা নানু বাড়ি দাদু বাড়ি যার জন্য ছটফট করতাম।
এসব কথা মনে হলে ভাবতে থাকি আবার যদি ফিরে পেতাম সেই সময়। ছোট ছিলাম ভাবতাম কবে হব বড়। আর এখন ভাবি ছোট ছিলাম ভালো ছিলাম ভালো ছিল শিশুকাল।বড় তো হয়েছি তবে এখনকার কাটানো বিকাল আর তখনকার কাটানো বিকাল অনেক পার্থক্য।আগে বন্ধুদের সঙ্গে কত খেলাধুলা করেছি খেলার মাঠে অনেক আড্ডা দিয়েছি।রাতে যখন জোছনার আলোয় রাস্তাতে হেঁটেছি একজন আরেক জনকে বলেছি চাঁদ মামা আমার সাথে আজকে হাটছে।কতোই না ভালো ছিল সেই শৈশব কাল সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলো।আশা করি আপনারাও এখনো অনুভব করেন শেষ দিনগুলো।
|
---|
শ্রেণি | তথ্য |
---|---|
লোকেশন | কুমিল্লা,বাংলাদেশ 🇧🇩 |
ক্যামেরা | স্যামস্যাং এম ২১ |
লিখেছে | @kosto |
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 1/7) Get profit votes with @tipU :)
আপনার পোস্টের শুরুতেই টাইটেলটা ভুল।
এটা কোন পোস্টের টাইটেল হতে পারে না। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম ছোট বেলার কিছু ঘটনা নিয়ে লিখেছেন। যাইহোক পোস্ট লিখার প্রতি যত্নশীল হবেন আশাকরি।
ধন্যবাদ মন্তব্যের মাধ্যমে সংশোধন করে দেওয়ার জন্য।