১৪-ই ভাদ্র, ১৪২৮ // ডিমের অমলেট, সসেজ আর কাজ // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
সপ্তাহের শুরুটা জন্মাষ্টমীর ছুটি নিয়ে শুরু হলেও আজকে ক্লায়েন্টদের কাছে একটু যেতে হবেই। অনেকগুলো কাজ পেন্ডিং আছে, আর সেই জন্যই আজকে আমার যাওয়াটা একান্তই জরুরি। তাই সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে, ফ্রেস হয়ে স্নান করে নিলাম।
স্নান করে মহাবিপদে পড়লাম ঘরে কিছু খাবার নেই যে খেয়ে কাজে যাবো। আর সকালবেলায় ভাত খেলেও ঘুম ঘুম পায় কি করব চিন্তা করতে করতে ফ্রিজটা খুলে ফেললাম। বেশ কিছু ডিম, সসেজ আর ফ্রোজেন কর্ন আছে। ফটাফট একটা প্যান ইন্ডাকশন ওভেনে বসিয়ে গরম হতে দিয়ে দিলাম। তাতে অল্প একটু তেল দিয়ে দিলাম। তেলটা গরম হতে দিয়ে আমি একটা পাত্রে ডিম ফেটিয়ে তাতে অল্প নুন এবং অল্প গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম।
এর মধ্যেই প্যান থেকে ধোঁয়া বেরোতে লেগেছিলো তাই আঁচটা অল্প কমিয়ে ডিম প্যানে দিয়ে দিলাম। ভালোই হল কিন্তু মাঝখানটা কেন যেন একটু ফুটো হয়ে গেল 😭।
অমলেটটা ভাজা হয়ে যেতেই ডিমটা কাত করে একটা সাইডে তেল নিয়ে নিলাম তাতে সসেজ গুলো ছেড়ে দিলাম।
৩-৪ মিনিট একটু হালকা ভাবে ভাজা হতেই ওভেন অফ করে অল্প ফ্রোজেন দিয়ে দিলাম একটু নেড়েচেড়ে দিতেই আমার সকালের ব্রেকফাস্ট রেডি হয়ে গেলো।
খেতে ভালোই হয়েছিল তবে আরো একটু ভালো করা যেতে পারবে। আশাকরি পরেরদিন আবার ট্রাই করবো।
খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম, বাসে ৪৫ মিনিট রাস্তা যেতে হবে। আবার বাসের জন্য অপেক্ষাও করতে হবে। আকাশটা বেশ মনরোম, নীল আকাশের সাদা তুলোর মতো মেঘের মেলা। বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ইচ্ছে হলো একটা নিজস্বী তুলে নিলাম, এত সুন্দর লাগছে আকাশটা।
ক্লায়েন্টদের বেশ কিছু কাজ আটকে ছিল টানা দুঘণ্টা কাজ করেই তবে একটু হাঁফ ছাড়তে পারলাম। তারপর বসে অনেকটা সময় বসে থাকতে হলো, তিনটের দিকে আবার কিছু কোটেশন বানিয়ে তবেই বেরোনোর গেলো।
দুপুর বারোটার সময় ঢুকেছি কাজ শেষ করতে করতে বিকেল চারটে বেজে গেলো। খুব খিদে পেয়ে গেছিল তাও কাজ পুরোটা শেষ করেই বেরোলাম। বেরোবো আবার এসে কাজ করবো। ভালো লাগেনা। বেরিয়েই পাশে একটা ইডলি ধোসার দোকানে সোজা গেলাম। ইচ্ছে ছিলো একটা ইডলি আর বড়া খাবার, বিকেল হয়ে গিয়েছিল তাই দুটো বড়া খেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো।
খেয়েদেয়ে বাড়ির দিকে হাঁটা লাগিয়েছি, গলিতে ফুটবল খেলা চলছে। তবে এই ফুটবল টা ছোটো সাইজের। পুরোনো কলকাতা গলিতে গলিতে এই ফুটবল নিয়ে খেলা হয়। শীত আসছে সাথে অনেক টুর্নামেন্ট। তাঁরই প্রস্তুতি।
আমার বেশ ভালো লাগে তাই দাঁড়িয়ে খানিকটা সময় খেলা দেখে বাড়ির দিকে রওনা হলাম।
ভীষণ ভালো কেটেছে দিনটি। খাবার গুলি খুব লোভনীয় ছিল। শুভেচ্ছা দাদা
নিজে রান্না করছি এটাই বড়ো পাওনা
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি ভাই💗💗💗
ধন্যবাদ ভাই 🤗
দাদা আপনার সকালের ব্রেকফাস্ট অল্পের ভিতরে ভালো হয়েছে। একটা স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট হয়েছে। খুব বেশি সময়ও লাগেনি আপনার। আপনি আপনার দিনপঞ্জি এত সুন্দর করে বর্ণনা করেন। সাধারণ তারপরও শুনতে অনেক সুন্দর লাগে।একসময় আমাদের দেশেও এই গলিতে গলিতে খেলা চলতো।এখন বাচ্চারা সবাই মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকে। খেলাধুলার প্রতি সবার আগ্রহ কমে গিয়েছে। আপনার পোস্টটি সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।
ক্যাপসিকাম গাজর থাকলে আরো ভালো লাগতো হয়তো। একদিন সময় থাকলে ওটা বানাবো।।
মোবাইলের নেশাটা একদমই ঠিক ধরেছেন। সারাক্ষণ গেম গেম আর গেম। মাঠে ঘাটে কোথাও আর বিশেষ খেলাধুলা দেখতে পাইনা। সবই মোবাইল নিয়ে নিয়েছে। জানিনা এর পরিবর্তন কবে হবে
জল খাবারটা তো সেই হয়েছে ভাই, আহা কি চমৎকার অমলেট, দেখলেই ক্ষুদা বেড়ে যায় অটোমেটিক্যালি, হা হা হা
পাড়ায় সড়কের উপর এভাবে খেলতে বেশ ভালো লাগে আমারও, কত বকা যে খেয়েছি মানুষের এই জন্য, তা আর বলা যাবে না এখানে।
সকাল বেলায় খিদে পেয়েছে। হাতে সামনে পেয়ে বানিয়ে ফেললাম। নুন অল্প হয়েছিল 😂।
কয়েকজনের গাড়ির কাঁচ আর বাড়ির কাঁচের বারোটা বাজিয়ে
গলিতে ক্রিকেট খেলেছি অনেক। 😁
আরে ধুর, ডিমে নুন টুন অল্প হলে সমস্যা নেই, খাওয়া যায় সেটা।
বাড়ীর কাঁচের কথা আর বলতে হয়, হি হি হি হি
গোল মরিচের গুঁড়া পড়েছে বলে মন্দ লাগেনি।
এক কাকুর Hero Spelndor এর টেল লাইট পুরো চৌচির
আমি কেনো জানিনা এই সসেজ খাবারটা একদম খেতে পারিনা তবে অমলেটে কোনো ছাড়াছাড়ি নেই আবার। 😍
অনেকেরই একটু বিস্বাদ লাগে। নবনিতা একই কথা বলে। খেতে নাকি তেমন ভালো না। আমার তো বেশ লাগে। অল্প কামড়ে গিলে নিই 😂।
অমেলেটের আরো কিছু Variations আমাকে শিখতে হবে। ডি এক ধরণেরই পারি
ছৌট খাট নাস্তা বা খাবার তৈরি জানা থাকা ভালো। কখন কী দরকারে পড়ে। যেমনটা আজ আপনি এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। দিনটা খুব ব্যস্ততার সাথে কাটিয়েছেন বুঝা গেল।
স্টিমিটের দৌলতে সবই শিখে যাবো মনে হচ্ছে
যথার্থ বলেছেন দাদা🙂🙂
সসেজ আর অমলেট দুটোই আমার খুব পছন্দ। আপনার খাবারটা অনেক লোভনীয় ছিল। আপনার রান্না গুলো আমার কাছে ভালোই লাগে।আর আপনার সারাদিনের সময়টুকু ভালোই কেটেছে।
আরো রান্না করার চেষ্টা করছি। দেখা যাক, কতদূর শিখতে পারি।
অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন ভাই। আমাদের সাথে তা শেয়ার করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কাজের মাঝে দিন ভালোই কাটলো! ধন্যবাদ
আপনার সারাদিনের বর্ণনাটি পড়লাম এবং ভালো লাগলো। সকালের অম্লের থেকে অফিসের কাজ এবং বিকেলে গলির ফুটবলের বর্ণনা সবকিছু মিলে চমৎকার। শীতকালে আমাদের দেশেও অনেকগুলো টুর্নামেন্ট হয় তার মধ্যে শর্ট পিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও ব্যাডমিন্টন অন্যতম। বাচ্চারা এখন মাঠ হারিয়ে ফেলছে তাই গলিতেই খেলাধুলা করে সময় কাটিয়ে দিচ্ছে এটাও ভাল অন্তত গ্যাজেট নিয়ে পড়ে নেই
শর্ট পিচ টুর্নামেন্ট,ব্যাডমিন্টন, ফুটবল সব টুর্নামেন্টের সময় আসছে। শীতে জমিয়ে খেলা হয়। তবে এই ফুটবল টা ছোটো ফুটসলের মতো অনেকটা
আমরাও নিয়মিত খেলি শীতে। ভালই লাগে।