আমার রেসিপি পোস্টের সংগ্রহশালা (জানুয়ারি পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমস্কার,

বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে জানুয়ারি মাসে আমার করা সব কটি রেসিপির সংগ্রহশালা নিয়ে হাজির হলাম।

GridArt_20230214_115410408_copy_1228x818.jpeg

আমি চেষ্টা করি প্রতি মাসে আমার করা সব কটি নতুন রেসিপি নিয়ে একটি সংগ্রহশালা বানিয়ে রাখা। আমার এই রেসিপির সংগ্রহশালা বানিয়ে রাখার পেছনে আমি মূলত দুটো প্রয়োজন বোধ করেছি। প্রথমত, রেসিপি গুলো থেকে যা কিছু শিখলাম তার সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা ব্যক্ত করে সেই রান্না গুলোর পুনঃমূল্যায়ন করা। আর দ্বিতীয়ত, রেসিপি গুলোর সুনির্দিষ্ট আর্কাইভ বানিয়ে রাখা।

জানুয়ারি মাসে আমি ৪ টি রেসিপি আপনাদের সবার সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম, আজ তাদের সব কটির রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম।



জানুয়ারি মাসে আমার প্রথম রেসিপিটি ছিলো, পেঁয়াজ, রসুন ও শীতের সবজি দিয়ে চুচরো মাছের চচ্চড়ি। আমি সেই চচ্চড়ির রেসিপি পোস্টেই স্বীকার করেছি যে চচ্চড়ি আমার খুব পছন্দের। চচ্চড়ি নিয়ে আমার ভালোলাগা এতো বেশি, অনেক সময় তো আমি নিরামিষ চচ্চড়ি মহানন্দে খেয়ে ফেলি। আসল কথা কি, যে কোনো ধরনের সবজি আমার ভালো লাগে। আর তার সাথে যদি ছোটো চুচরো মাছ। আহা! তাহলে তো কথাই নেই। চুচরো মাছের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে তা হলো চুচরো মাছ যেমন ভাজা খেতে ভালো লাগে তেমনি সবজিতে দিয়েও। শীত বলে নানা ধরনের সবজি পাওয়া গেলেও চুচরো মাছের খুব আকাল। ঠান্ডার দিনে যেটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তাই যখন বাড়িতে অল্প চুচরো মাছ আসলো আমাকে অন্য কিছু ভাবতে হয়নি। পেঁয়াজ রসুন দিয়ে ঝাল ঝাল চচ্চড়ি খুবই ভালো হয়েছিলো।



আমি দ্বিতীয় রেসিপিটি করেছিলাম সেটা ছিলো খুবই সাধারণ অথচ খুবই সুস্বাদু, গোটা জিরে ও কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে দেশী কই মাছের পাতলা ঝোল। শীতের সময় দেশী কই মাছ! কেমন একটা আলাদা অনুভুতি। যদিও যখন কই মাছ পাওয়া গিয়েছিল প্রথমে ইচ্ছে ছিলো তেল কই বানাই। পরে চিন্তা যে অন্য আরেকদিন তেল কই হবে আজ হালকা পাতলা কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে পাতলা ঝোল করি। পাতলা ঝোল কারণ ওটা আমার সব সময়ই ভালো লাগে। একমাত্র পদ যার স্বাদ ভালো আবার শরীরের জন্যও বেশ ভালো। আর যেটা আমি সারাবছরে যে কোনো সময়ে খেতে পারি। পাতলা ঝোল হলে কি হবে, দেশী কইয়ের স্বাদে ঝোল দারুন হয়েছিলো।



আমার তৃতীয় রেসিপিটি, টক পালং, বেগুন, শিম ও নতুন আলু দিয়ে রুই মাছের ঝোল। টক পালং যে ঝোলের স্বাদে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে এই রেসিপিটা তৈরী না করলে জানতেই পারতাম না। টমেটো দিয়ে আমরা যে ঝোল বা ঝাল করি সেটতে টক ভাবটা খুব একটা আসে না। টক পালং সেই জায়গাতেই ভিন্নতা আনে। টক পালংয়ের স্বাদ বেগুন, শিমের মধ্যেও ঢুকে পড়ছিলো। আর সবজিতে টক ভাবটা চলে আসায় খুব অন্যধরনের লাগছিলো।



গত মাসের শেষ রেসিপিটি ছিলো, নতুন ছোটো আলু দিয়ে দেশী মুরগির ডিমের ঝোল। সেই রেসিপিতে লিখেছিলাম দেশী মুরগির ডিম বর্তমান সময়ে দুর্লভ বললেও কম নয় আর কমেন্ট পড়ে সেটা নিশ্চিত হয়েও গেলাম। আসলে আমি নিজেই কবে যে শেষ দেশি মুরগির ডিম খেয়েছিলাম সেটা খেয়াল নেই। তাই কয়েকটা দেশি মুরগির ডিম হাতের নাগালে পেতেই অন্য কোনো ভাবনা চিন্তা না করে নতুন আলু দিয়ে ডিমের ঝোল বানানোই স্থির করলাম। তবে মজার বিষয় হলো রান্না শুরু করেছিলাম ডিমের ঝোল বানানো দিয়ে কিন্তু শেষমেষ হয়তো আলুর ঝোল হয়ে গেলো। হাঃ হাঃ। আসলে দেশী মুরগির ডিম মাপ এতোই ছোটো যে রান্না শেষে গোল গোল আলুর মাঝে ডিম খুঁজে পাওয়া একপ্রকার দায়। দেখতে যেমন হোক স্বাদ মারাত্বক ভালো ছিলো।




Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Sort:  
 last year 

জানুয়ারি মাসে শেয়ার করা তোমার সব কয়টি রেসিপি আমি আগে থেকেই দেখেছি দাদা। রেসিপি গুলো পুনরায় একসাথে শেয়ার করে বেশ ভালোই করলে ,পুনরায় আরো একবার দেখার সুযোগ পেলাম। তোমার রেসিপি অনুযায়ী বাড়িতে আমি দেশি মুরগির ডিম দিয়ে ছোট আলুর ঝোল একদিন করে খেয়েছি । সেদিন দেশি মুরগির ডিম খুঁজে পেতে আমারও একটু কষ্ট হচ্ছিল ডিম গুলো এত ছোট ছোট ছিল!

 last year 

আমিও মনে করি এভাবেই রেসিপি বা আর্ট যাই বলি না কেন তার সংগ্রহশালা তৈরি করা উচিত। আমিও মূলত আমার আট বার রেসিপি গুলো সংরক্ষণ করে রাখার জন্য রিভিউ পোস্ট করি। যাই হোক আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনার তৈরি করা অনেকগুলো রেসিপি দেখলাম। এর মধ্যে কিছু কিছু পোস্ট আমি দেখেছি। সব রেসিপি আবার দেখতে পেরে বেশ ভালো লাগছে ভাইয়া।

 last year 

জানুয়ারি মাসে শেয়ার করা আপনার চারটি রেসিপিই দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে দাদা। তবে ছোট আলু দিয়ে দেশি মুরগির ডিমের ঝোল রেসিপিটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু মনে হয়েছে। এর আগে মনে হচ্ছে দুটি রেসিপি পোস্ট দেখেছিলাম,তবে এই সংগ্রহশালা পোস্টের মাধ্যমে সবগুলো পোস্ট একসাথে দেখে নিতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ দাদা, চারটি রেসিপি পোস্ট একসাথে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 61205.14
ETH 3376.01
USDT 1.00
SBD 2.51