ঋতুদির আশীর্বাদে // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
বিয়ের মরশুম চলছে এই সুবাদেই এক আত্মীয়ার আশীর্বাদের নেমতন্ন যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। দিদি কিছু আবশ্যক কারনে যেতে না পারায় আমার ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েছিল। আমি আবার খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে খুব একটা "না" করি না, তাই সুযোগটা যখন আমার কাছে এলো সুযোগের সদ্ব্যবহার করেই ফেললাম।
আশীর্বাদ করতে ভালোই পরিমানে লোকজন নেমন্তন্ন রক্ষা করতে এসেছিল যেটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষজন সাবধানতা অবলম্বন করে এসেছে এর থেকে বড়ো প্রাপ্তি নেই। সমস্ত আত্মীয়তা গুলো এভাবেই বজায় থাকুক।
নেমতন্ন বাড়ি মাত্র ৫ মিনিটের দূরত্ব হলেও যাওয়ার সময় খুবই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল তার মূল কারনটি ছিলো জ্যাম। ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে জ্যামের ঠেলায় রাস্তায় প্রায় ২৫ মিনিট রিক্সায় বসে কেটে গেলো। শীতকাল জন্য খুব একটা অসুবিধা হয়নি। রিক্সায় বসে বসেই খানিকটা রোদ পুহিয়ে নিলাম।
আশীর্বাদ করতে আসা লোকজন দেখে আমি সত্যিই অভিভূত ছিলাম, কারন আমি আশা করিনি এত পরিমানে লোক হতে পারে। আশীর্বাদ করার জন্য রীতিমতো অপেক্ষা করতে হয়েছিলো।
আশীর্বাদ পর্ব মিটে গেলে আমি পিসিকে নিয়ে সোজা খাওয়ার দিকে চলে গিয়েছিলাম। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের সাথে উত্তরবঙ্গের মানুষের সবচেয়ে বেশি তফাৎ এই আশীর্বাদী খাওয়াতেই দেখি। দক্ষিণবঙ্গের মানুষ বিশেষ করে ২৪ পরগণা জেলা এবং কলকাতা পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিয়ের আশীর্বাদে রকমারি খাবার খাওয়ানো হয়। এমনকি বিয়ে বাড়ির থেকে বেশি আশীর্বাদে খাওয়ায়।
নিয়ম অনুযায়ী ঘি আর শাক দিয়ে শুরু। তারপরে একে একে নানা ধরনের মাছ, চিকেন এবং মাটন। বেশি কথা বলবো না খাবারের মেনুর পাশাপাশি পরিবেষ্টিত খাবারের কিছু ছবি তুলেছিলাম, আমি এগুলো খেয়ে নিই আপনারা বরং ছবি গুলো উপভোগ করুন।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আশীবার্দের খাবার ঘি আর শাক দিয়ে শুরু করতে হয় এই তথ্যটা আপনার লেখায় প্রথম জানলাম
কয়েকদিন ধরে ভাবছিলাম একটা বিয়ের দাওয়াত পেলে ভালো হতো আপনার ছবিতে যে শখ কিছুটা মেটালাম। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের বিয়েতে অনেক ধরনের নিয়ম কারণ থাকে। আমারও খুব ইচ্ছে হিন্দু ধর্মের বিয়েগুলো খুব কাছ থেকে দেখতে। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড এর মধ্যে তিনজন রয়েছে হিন্দু ধর্মের। জানিনা কবে তাদের বিয়ে হবে আর আমার এই আশা পূরণ হবে।
আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে ভালোই খাওয়া দাওয়া হয়েছে। জীবনে কখনো যদি সুযোগ হয়, আপনাদের কলকাতা, মুম্বাই, গোয়া রাজ্য দেখার খুব ইচ্ছে।
আপনার পোস্টে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে দাদা। আর আপনার পোস্টটি দেখে বোঝাই যাচ্ছে আপনি অনেক আনন্দ করেছেন। আরেকটি বিষয় হলো আমাদের সকলেরই হতাশ এর কারণ জ্যাম। অপেক্ষা করতে করতে মনে হয় ঘুমিয়ে পড়ি।
আপনি যে ভোজনরশিক সেটা তো জানতাম না দাদা। নিমন্ত্রণ ফরমালিটি মেনটেন করছেন বা দিদি যেতে পারে নাই বিধায় আপনার ভাগ্য খুলে গেছে এই সবই বুঝলাম। কিন্তু আপনার ভোজনরসিকের ব্যাপারটা আজ একটু ভালোভাবে ক্লিয়ার হলাম। যাইহোক আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছিলেন উপভোগ করা আশীর্বাদের অনুষ্ঠানগুলো। এবং অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি ও করেছেন অনেক ভালো লেগেছে। এবং সেইসাথে আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ভুরিভোজন দেখি ভালই হচ্ছে দাদা। বিয়ে বাড়িতে গেলে আমি আবার বেশি খেতে পারিনা, কি এক সমস্যা বলতো। বেশ ভালই মজা করেছো বুঝতেই পারছি। বিয়ে নিয়ে সব পর্বই আসলে খুব মজার লাগে আমার কাছে।
এই জ্যাম এর জন্য কলকাতা শহর মাঝে মাঝে খুব বিরক্তিকর লাগে আমার । আলতু ফালতু অনেকগুলো সময় নষ্ট হয়ে যায়। যাই হোক ঋতুদির আগামী দিনগুলোর জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
খাওয়ার জন্য সুযোগের সৎ ব্যবহার😄। জ্যাম আসলেই নাগরিক জীবনে কঠিন একটি সমস্যা। শীত বলে বেঁচে গিয়েছেন। নাহলে গরম হলে যতটা সময় জ্যামে আটকে ছিলেন আর দেখতে হতো না😄। এবং খাবার টার ছবিটি দারুণ ছিল। খুব ভালো লাগল পড়ে। সুন্দর লিখেছেন দাদা।।
সব বাদ দিয়ে আমি তো খালি খাওয়া গুলোই দেখলাম।
দেখেই তো লোভ লেগে গেলো।