পেট্রোলের সন্ধানে
এপ্রিলিয়া গাড়িটা সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যাবার পর নানান জায়গায় যাতায়াত করার জন্য বোন ওর অন্য একটা স্কুটার নিয়ে ব্যবহার করছিলো। যাতায়াত করতে করতে গাড়িতে যে পেট্রোল অনেকটাই কমে এসেছে, সেদিকে ও খেয়ালই করেনি। আজকে দুপুর বেলায় যখন একটা মেডিকেল ইমার্জেন্সির জন্য ওষুধ কিনতে যাবো তখন চোখে পড়লো গাড়িতে তেল তলানিতে। তেলের মিটার দপদপ করছে।
ফটাফট ওষুধ কিনে বাড়ি রেখে পেট্রোল পাম্পের গেলাম। প্রথমে চিনারপার্কের কাছের একটা পাম্প, যেখান থেকে সাধারণত আমরা তেল কিনি। ওখানে গিয়ে শুনি পেট্রোল শেষ। কি আর করা কিছুটা দূরে সিটি সেন্টার 2 এর সামনের আরেকটা তেলের পাম্পে গেলাম। সেখানেও তেল নেই। বেশ চিন্তায় পড়লাম। এদিকে তেলের মিটারের দপদপ করা বেড়েই চলেছে। বুঝেশুনে চালাতে হবে। আবার ফিরলাম চিনারপার্ক, রাস্তা পেরিয়ে আটঘরা পেট্রোল পাম্প, সেখানে গেলাম।
সে কি ভীড়।
তেলের লাইনে এতো ভীড় আমি জীবনে প্রথম বার দেখলাম। পাম্পে তেল ছিলো তাই আমরাও লাইনে দাঁড়ালাম। একজনকে তো দেখলাম ২০ লিটারের জার নিয়ে ভরছে। এভাবে লরির বা বাসের ডিজেল নিয়ে যেতে দেখেছি কিন্তু পেট্রোল প্রথমবার। আমার বেশ আশ্চর্য লেগেছিলো। তখন কি জানতাম ট্যাংকার মালিকদের ধর্মঘট চলছে।
প্রায় ২৫-৩০ মিনিট অপেক্ষার পর অবশেষে তেল ভরতে পারলাম। বাড়ি ফিরে জানলাম তেল ট্যাংকার মালিকদের ধর্মঘট ছিল, তাই তেলের আকাল। আজ থেকেই সেই ধর্মঘট উঠলো।
শিউরে উঠলাম এই ভেবে যে সময় পরিশোধিত জীবাশ্ম তেল শেষ হলে কি হবে! আমরা কি তৈরী?
অসাধারন উপস্থাপনা ভাই।
না ভাই। তবে এমন একদিন আসবে সত্যি জ্বালানী শেষ হয়ে আসবে। খুব দ্রূত আমাদের বিকল্প রাস্তা বার করতে হবে।
ভারত ২০৩০ এর মধ্যে ১০০% ব্যাটারি চালিত দেশ হবার লক্ষ্য রেখেছে। যদি ৫০% ই হয় তাই অনেক
তাহলেই তো ভালোই হবে। ধন্যবাদ ভাই।
সত্যি এটা ভাববার বিষয় জ্বালানি শেষ হলে মানব সভ্যতা হয়ত অনেক বড় বিপদের সম্মূখিন হবে।
এখন থেকে বিকল্প পথ না ধরলে বিপদ হবেই
হুম।😔😔
সুন্দর করে লিখেছেন দাদা।তেল ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছি অতিসত্বর আমাদের বিকল্প রাস্তা খুঁজতে হবে।
বিকল্প এবং সাধারণ মানুষের সাধ্যে
ভাই আমাদের এখানে মাঝে মাঝে এর চেয়েও বড় লাইন দেখা যায়। তবে হ্যা, জ্বালানীর বিকল্প ব্যবহারে আমাদের আরো বেশী সচেতন হওয়া প্রয়োজন। লেখাটি ভালো ছিলো। ধন্যবাদ
তাই! এর থেকে বড় লাইন! কত কিমি পর পর পাম্প?