চলচ্চিত্র রিভিউ : অহল্যা // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)



নমস্কার,

বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ। আজকে ফের আপনাদের সাথে আবার একটি চলচ্চিত্রের রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম। সাসপেন্স-থ্রিলার চলচ্চিত্র অহল্যা। ২০১৫ সালে সুজয় ঘোষ পরিচালিত চলচ্চিত্রটির কাহিনী রামায়ণের অহল্যা চরিত্রটির আধুনিক ছোঁয়া।


YouTube


চলচ্চিত্র
অহল্যা
পরিচালক
সুজয় ঘোষ
অভিনয়
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, রাধিকা অপতে, টোটা রায় চৌধুরী
লেখক
সুজয় ঘোষ
মুক্তি
২০-শে জুলাই, ২০১৫
দেশ
ভারত
ভাষা
বাংলা
সময়
১৪ মিনিট


পটভূমি

পুলিশ অফিসার ইন্দ্র সেন তদন্তের কাজে বিখ্যাত শিল্পী গৌতম সাধুর বাড়িতে এসে কলিং বেল বাজালে এক তরুণী, অহল্যা দরজা খুলে ইন্দ্র সেনকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বাড়ির ভেতরে নিয়ে যায়।


Source : YouTube

তরুণী ইন্দ্র সেনকে একটি ঘরে দাঁড়া করাতেই ম্যান্টলপিস থেকে একটি পুতুল আকস্মিক মেঝেতে পড়ে যায়। অফিসার সেন পুতুলের পড়ে যাওয়ার জন্য সিলিং ফ্যানের বাতাসকে দায়ী করে, অহল্যা পুতুল সাজিয়ে গৌতম সাধুকে ডাকতে চলে যায়।


Source : YouTube

অহল্যা ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর অফিসার ইন্দ্র ম্যান্টলপিসের উপর পুতুল দেখে নাড়াচাড়া করতে করতে লক্ষ্য করেন যে একটা পুতুলের সাথে তার তদন্তের নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তি অর্জুনের সাথে হুবহ মিল আছে। ইন্দ্র সেনের পুতুল দেখতে দেখতে গৌতম সাধু ঘরে প্রবেশ করে, দুজনের পরিচয় হয়। অহল্যা কিছুক্ষনের মধ্যেই চা পরিবেশন করে তার ঘরে ফিরে যায় কিন্তু মনের ভুলে টেবিলে মোবাইল ফোনটি ফেলে যায়।

ইন্দ্র সেন অহল্যার চলে যাবার পর গৌতম বাবুকে অর্জুন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে, অর্জুনকে গৌতম সাধুর সাথে কাজ করার পর থেকে দেখা যায়নি।

গৌতম সাধু তখন অফিসার সেনকে কাঁচের কেসের পাথরটির কথা বলেন যাতে যাদুকরী গুণাবলী বিদ্যমান রয়েছে। যে এটিকে স্পর্শ করে যাকে ইচ্ছা তাতেই পরিণত করতে পারবে। তিনি অফিসার সেনকে বলেন যে অর্জুন পাথরটির ব্যবহার করতে পারে। ইন্দ্র গৌতম সাধুর কথা শুনে অবিশ্বাস করে। গৌতম সাধু তার দাবী প্রমাণ করতে ইন্দ্র সেনকে পাথরটি ধরে নিজেকে গৌতম সাধু বলে কল্পনা করে মোবাইলটি অহল্যার কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। অফিসার সেন প্রথমে গৌতম সাধুর কথায় বিশ্বাস না করলেও চেষ্টা করতে রাজি হয়।


Source : YouTube

অফিসার সেন মোবাইল নিয়ে অহল্যার কক্ষে প্রবেশ করে, ইন্দ্র সেন আয়নায় নিজের প্রতিফলন পরিবর্তে গৌতম সাধুর প্রতিফলন দেখে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ইন্দ্র সেন অহল্যাকে জড়িয়ে ধরে।

পরের দৃশ্যে ইন্দ্র সেন একটি অন্ধকারময় আঁটোসাঁটো জায়গায় যেখানে অফিসার সেন নড়াচড়া করতে অক্ষম। তিনি চিৎকার করলেও বাইরে থেকে কিছুই শোনা যায় না, কারণ তিনি এখন ম্যান্টেলপিসে অন্যান্য পুতুলের সাথে পুতুল হয়েই দাঁড়িয়ে আছেন।

পুতুলের মধ্যে অন্ধকার এলাকায় ইন্দ্র সেনের আশাহীন চিৎকার দিয়ে চলচ্চিত্রটি শেষ হয়।


আমার মতামত

রামায়ণে অহল্যাকে শাস্তি পেতে হয়েছিল যদিও আসল দোষী ছিলেন ইন্দ্রদেব। সুজয় ঘোষের অহল্যায় দোষী ইন্দ্রকেই শাস্তি পেতে হয়েছে। স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রটি পৌরাণিক গল্পের একটি সংশোধন করা রূপক মাত্র!

থ্রিলার আমার বরাবর পছন্দের। অহল্যায় থ্রিলার ও সাসপেন্স দুটোই ভরপুর মাত্রায় ছিলো। রাধিকা অপতে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও টোটা রায় চৌধুরী তিনজনেই তাঁদের চরিত্র খুবই দক্ষতার সাথে
অভিনয় করেছেন।


রেটিং

পরিচালনা১০
কাহিনী১০
অভিনয়১০




Support @heroism Delegating your SP

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 2 years ago 

হুম, আমি এই সংক্ষিপ্ত চলচ্চিত্রটি দেখেছি।প্রত্যেকেই বেশ অভিজ্ঞ বরাবরই অভিনয়ে।বেশ কয়েকজন পুরুষ মানুষের জীবন দিতে হয়।সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন,ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 
  • দাদা আপনার এই মুভি রিভিউ দেখে আমি কিছুক্ষণ আগে মুভিটি দেখে আসলাম। মুভিটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রিভিউ করেছিলেন। তাই মুভিটি দেখার খুব মন চায়লো, তাই দেখলাম। আসলেই পুতুলের মধ্যে তাকে চিৎকার করার দৃশ্যটা দেখে আমার ভয় হয়েছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মুভি রিভিউ করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 59479.71
ETH 3174.48
USDT 1.00
SBD 2.44