"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ০৫ ( স্ট্রীটফুড রিভিউ প্রতিযোগিতা )" // চিত্ত বাবুর দোকান (Chitto Babur Dokan)
স্ট্রিট ফুডের কথা হলেই যে শহরের নাম সবার আগে উঠে আসবে, তা হলো তিলোত্তমা কলকাতার। উত্তর থেকে দক্ষিণ, এই শহরের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিখ্যাত সব স্ট্রিট ফুডের দোকান। আজ গিয়েছিলাম ধর্মতলার অফিস পাড়ায় অবস্থিত এক ঐতিহ্যবাহী বাঙালি প্রতিষ্ঠানে, চিত্ত বাবুর দোকান।
পুরাতন কলকাতা অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটির পথচলা শুরু ১৯৫০ সালে শ্রী শিরীষ রায়ের হাত ধরে। তবে রমরমা হয় চিত্ত রায়ের সময়েই, সে থেকেই নাম চিত্ত বাবুর দোকান। বর্তমানে তৃতীয় প্রজন্ম সন্দীপ রায় এই প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার।
যেহেতু দোকানটি ধর্মতলার অফিস পাড়ায়, তাই মেনুতে চিকেন স্ট্যু, ফিস ফিঙ্গার, বাটার টোস্ট থেকে শুরু করে খিচুড়ি সবই মেলে। সাথে আছে বিখ্যাত চা। খাবারের গুণমান আজও অসাধারণ ভাল। ৩০ বছর ধরে খেয়ে আসছেন এমন খদ্দেরের আনাগোনা প্রচুর, তাদের মুখ থেকেই দোকানের গুনগান শোনা যায়।
দেশি বিদেশি অনেক ব্যক্তিত্ব কলকাতায় এলে অবশ্যই এখানে একবার ঢুঁ মারেন। নামকরা বাংলাদেশি ইউটিউবার আদনান ফারুক এই দোকানটিতে এসে রিভিউ করে গেছেন।
ধর্মতলায় গেলে অন্তত একবার ঘুরে আসি, নাহলে মনটা বড্ড উশখুশ করে। অন্যদিন চা টোস্ট টাই বেশি চলে তবে আজ যেহেতু একটু দুপুর দুপুর নাগাদ এসেছিলাম তাই একটু ব্যতিক্রমী হয়ে বিখ্যাত চিকেন স্ট্যু টা অনেকদিন পর খেলাম। তাছাড়া একটু আগেই হালকা এক পশলা বৃষ্টি হয়ে আবহাওয়াটাও মনোরম। ঠান্ডা আবহাওয়ায় স্ট্যু মন্দ হবেনা।
অর্ডার করে দোকানের উল্টো পাশের বেঞ্চে বসলাম, একটু পরেই হাতে চলে এলো উষ্ণ প্লেট। প্লেটে অল্প মশলাদার পাতলা স্ট্যু,আর এই স্ট্যুতে ডুবে থাকা একটা চিকেন লেগ পিস, এক টুকরো গাজর, এক টুকরো পেঁপে আর কিছু বিনস। সাথে দুটো সেঁকা পাউরুটি।
ঠান্ডা আবহাওয়ায় পুরো জমে গেলো। চিকেন সহ সব সবজিই বেশ নরম এবং রসে ভরপুর। প্লেটে চামচ থাকলেও সেটা নিষ্প্রয়োজন, হাত না লাগালে যেন ঠিক মজাটা আসেনা। পাউরুটি অল্প করে ছিঁড়ে স্ট্যু-এ ডুবিয়ে ডুবিয়ে খেয়ে ফেললাম পুরোটাই।
কাজে কর্মে রাস্তায় বেরোলে স্ট্যু মাঝে মধ্যে খেতেই হয়। তবে চিত্ত বাবুর দোকানের স্ট্যু-টা এক্কেবারেই আলাদা। হালকা তেল-মশলার ঝোলে ডুবে থাকা চিকেনের রসালো লেগ। আহা! যেন সত্যিই অমৃত। সুস্বাদু, সুস্বাস্থ্যকর এবং সহজপাচ্য একসাথে তিনিটিই। উপরি পাওনা অল্প টাকায় উদরপূর্তী আর পেট ভালো থাকা। একবার চিত্ত বাবুর দোকানের স্ট্যু খেলে, অনেকদিন মুখে লেগে থাকবে সেই স্বাদ!
কিভাবে আসবেন
ধর্মতলায় কলকাতা জিপিওর একদম পাশেই। হাটা পথে মাত্র ২ মিনিট। ৩ নম্বর ডেকার্স লেন, পিয়ারলেস ভবন, এসপ্লেনেড, কলকাতা।
কলকাতা এবং কলকাতা পার্শ্ববর্তীর বন্ধুদের এখানে অবশ্যই একবার আসা চাই। আর বাংলাদেশি বন্ধুদের জন্য বলতে চাই আপনারা যদি কখন কলকাতা আসেন তবে একবার অন্তত ঢুঁ মারুন। আশাহত হবেন না, এটা আমার প্রতিশ্রুতি।
খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন,শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য 🥰
ধন্যবাদ ভাই! পাঠকের ভালো লাগাই আমার প্রাপ্তি 😇
দিলেন তো ক্ষুধা বাড়িয়ে । ভালোই ছিল । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
সেটাই তো ইচ্ছে ছিল দাদা! কলকাতা এলে বলবেন, আমিই আপনার গাইড হবো
সত্যিই অসাধারণ লিখেছেন এবং ফটোগ্রাফি গুলো করেছে
ধন্যবাদ ভাই ❤️
দারুণ হয়েছে দাদা।
ধন্যবাদ ভাই ❤️। এগুলোই আমার পাওনা
অনেক সুন্দর লিখেছেন, খুব সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
ধন্যবাদ ভাই! কলকাতা এলে পারলে খেয়ে দেখবে। নিরাশ হবেনা।
ওকে ভাই অবশ্যই ধন্যবাদ ভাইয়া
দাদা , নামকরা চিত্র বাবুর দোকানের খাবারের রিভিউ দেখে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন। এবার কলকাতা গেলে দেখি চেকে দেখতে হবে। খুব সুন্দর গুছিয়ে দারুন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে ফটোগ্রাফির সাথে আপনার অনুভূতি ভাগ করার জন্য ধন্যবাদ ।