৫০-তম হ্যাং আউট নিয়ে কিছু কথা // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আমার বাংলা ব্লগ তাঁর সাপ্তাহিক হ্যাং আউটের সূবর্ণ জয়ন্তী পালন করে ফেললো। আজ হয়তো অনেকের ৫০-তম হ্যাং আউট কথাটা শুনতে সহজ মনে হচ্ছে কিন্তু পথটা আসলেই এতোটা সহজ ছিলো না।
rme দা ২০২১ সালে অনেক আশা ও উচ্চাকাঙ্খা নিয়েই আমার বাংলা ব্লগের যাত্রা শুরু করেছিলেন। দাদার ইচ্ছে ছিলো বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের স্টিমিটের মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের জায়গা করে দেওয়া। আজকে এক বছর পর তিনি সফল।
আমার মনে আছে আমার বাংলা ব্লগের সাপ্তাহিক হ্যাং আউট শুরু হওয়ার পর হ্যাং আউটে উপস্থিত থাকার জন্য উৎসাহ স্বরূপ সদস্যদের সাম্মানিক স্টিম দেওয়া হতো। আর সেখানে আজ বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের সাপ্তাহিক হ্যাং আউটে উপস্থিত সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১০০ জনের। এক বছর পর দাঁড়িয়ে বিষয়টা সহজ মনে হলেও শুরুর দিনগুলো ছিলো যথেষ্ট কঠিন। কঠিন এই পথ পেরিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র rme দার জন্য। বটগাছ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। শত শত বাঙালিকে এক ছাদের তলায় ছায়া দিয়ে চলেছেন।
স্টিমিটে আমার বাংলা ব্লগ বিশেষ স্থান ছিনিয়ে নিতে পেরেছে যার কৃতিত্ব দাদার। আর সাথে রয়েছে এডমিন প্যানেলের অক্লান্ত পরিশ্রম। সদস্যরাও কম যায় কিসে? তারা তাদের মননশীলতা দিয়ে আমার বাংলা ব্লগের পথচলাকে সাফল্যমণ্ডিত করেছে।
অনেকেই আছেন যারা হ্যাং আউটকে বিশেষ গুরুত্ব দেন না কিন্তু আমার মতো সদস্যদের কাছে হ্যাং আউটই হলো সপ্তাহের একটা দিন সবার সাথে আনন্দ করে সময় কাটানোর। সারা সপ্তাহ অপেক্ষা করে থাকতাম শুধুমাত্র হ্যাং আউটের জন্য। যার ব্যতিক্রম আজকেও হয়নি। জীবনে বয়ে গেছে অনেক ঝড় ঝঞ্ঝা তবে বাদ দিইনি কোনো হ্যাং আউটই। ট্রেনে, বাসে, মশার কামড় খেয়ে হলেও উপস্থিত থেকেছি। আগের মতোই এখন অধীর আগ্রহে থাকি বৃহস্পতিবার আসবার জন্য, সাপ্তাহিক হ্যাং আউটটার জন্য। তৃতীয় তম হ্যাং আউট থেকে পথ চলা শুরু আজ ৫০-তম হ্যাং আউটেও আছি। ঈশ্বরের কৃপা ও দাদার ভালোবাসা দুটো থাকলে আরো কয়েক শত হ্যাং আউটে থাকবো, আপনাদের সাথেই। লাব ইউ দাদা 💖।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সাপ্তাহিক হ্যাং আউট মানে অনেক মজা মাস্তি আর আড্ডা ।আগামী প্রতি সপ্তাহে বছরের পর বছর যাতে এই হ্যাংআউট চলতে থাকে সেই কামনাই করি।এটি আয়োজন করার জন্য সকল মডারেটর এবং এডমিন সাহেব কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
মজা তো খুব হয় আর তার সাথে জড়িয়ে আছে অনেক আত্মীয়তা।
আপনার মতো আমিও হ্যাং আউটে সব সময় যুক্ত থাকি। আসলে আমার বাংলা ব্লগ আমার লাইফের একটা অংশ হয়ে গেছে। আপনার অনুভূতির কথাগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। শুভকামনা আপনার জন্য দাদা।
সত্যিই তাই! জীবনের একটা অংশই বটে।
ভাই আপনার কথা গুলো অনেক ভাল লাগলো,আমার বাংলা ব্লগে জয়েন হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে,আমি গত বৃহস্পতিবারে ঢাকা থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলাম আমি গাড়িতে এবং সিএনজি তে বসে বসে হ্যাং আউটে জয়েন থেকেছি এবং সবার কথা শুনেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কয়েকদিন হ্যাং আউটে কাটানোর পর না Join করে থাকা যায় না।
একদমই যথার্থ বলেছেন ভাই, সত্যি হ্যাংআউটের জন্য আপনি পুকুর পাড়ে বসে মশার আতিথেয়তা গ্রহণ করেছিলেন সেটা এখনো আমার মনে আছে। হ্যা, আমিও ভাই পারিবারিক অনেক প্রোগ্রাম বাদ দিয়েছিলাম শুধুমাত্র হ্যাংআউটের জন্য, বাড়ীতে রাতে একা একা থেকেছি শুধুমাত্র হ্যাংআউটের জন্য।
অদ্ভুত একটা টান হয়ে গেছে সবার সাথে তাই বাদ দিতে পারিনা।
সবাই ভাবে বাড়ির অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে কানে হেডফোন গুঁজে বসে কি করে! আসলে কাউকে বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
দাদা 50 তম হ্যাঙ্গআউট উপলক্ষে আপনি আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন আপনার মনের ভাবগুলো। এবং সেইসাথে স্মৃতিবিজড়িত অনেক কথা। আপনি ঠিকই বলেছেন আমি আমার বাংলা ব্লগে আসার পর দেখছি দাদা বট গাছের মত ছায়া দিয়ে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। এবং প্রতিটা সদস্যকে একই ছাদের নিচে রেখেছেন। দাদা কখনো কাউকে আলাদাভাবে দেখেনি। তবে দাদা এবং প্রতিটা মডারেটরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজকের এই আমার বাংলা ব্লগ। দাদার কৃতিত্বের কথা বুলা যাবেনা, বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছে বাংলাভাষী মানুষ কে এবং দিয়েছেন সম্মানিত একটি স্থান। আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
আমার বাংলা ব্লগের সাফল্যের কৃতিত্ব আমাদের সদস্যদেরও।
বেশ গুছিয়ে চমৎকার করে লিখেছেন দাদা। আপনি বলেন যেমন ভালো আপনার লেখাও তেমনি ভালো। একটি কথা ঠিকই বলেছেন। এই যাত্রাটা খুব একটা সহজ ছিলো না। কিন্তু দাদার কল্যাণেই আজকে এতটা পথ আসা সম্ভব হয়েছে। আশা করি আরও দূরে যাবো সবাই মিলে।
অনেক গুলো একসাথে ঘিরে এসেছিলো তাই গুছিয়ে লিখতে পারলাম কই।
দাদা,আমি তো এখনও মশার কামড় খেয়ে হ্যাংআউট এ উপস্থিত থাকি।আসলে শুরুতে সকল যাএা কঠিন হয়,শুধু ধৈর্য্য ধরে আমাদের টিকে থাকতে হবে।ভালে ছিলো।ধন্যবাদ
আসলে টান হয়তো এটাকেই বলে।
মশার ক্রিম পাওয়া যায় আপনি সেটা কিনে নেবেন।
ঠিক বলেছন দাদা আজকের এই সফলতার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ দাদার। উনার এইরকম সময়পযোগী উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়। প্রথম দিক আমার বাংলা ব্লগের হ্যাংআউট গুলো হতো রবিবার রাতে এরপর দাদা সেটাকে বৃহস্পতিবার রাতে করতে বলেন। সত্যি দিনগুলো চলে গেলেও মনে হচ্ছে এইতো সেদিনের কথা। দারুণ লিখেছেন দাদা।
প্রথম দুটো হ্যাং আউট রবিবারে হয়েছে সম্ভবত। আমি তৃতীয় হ্যাং আউট থেকে আছি, সেটা বৃহস্পতিবারই ছিলো।
সপ্তাহের বিশেষ একটি দিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে হ্যাংআউটে যোগদান করি। বৃহস্পতিবার আসলেই মনের মধ্যে আলাদা একটা অনুভূতি কাজ করে আর এটা যেন রুটিন হয়ে পড়েছে যে রাত ৯ টা বাজলেই হ্যাংআউটে জয়েন করতে হবে। কমিউনিটির প্রতি নিজের মনে যে একটা টান সেটা বোঝা যায়। আপনার মাধ্যমে মজার একটি তথ্য জানতে পারলাম যে প্রথম দিকে হ্যাংআউটে যোগদান করলে সম্মানী দেওয়া হতো 🤪
সত্যিই তাই। আমিও নিয়ম করে বৃহস্পতিবারে কাজ করে আগে ফিরে আসি। নিজের কাজের সিডিউল সেভাবে রাখি।
আজকাল আপনার ট্রেনে বসে হ্যাংগ আউটে কথা বলা মিস করছি কিন্তু!ভালোই একটা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হতো।🤪এতো দূর আসা একমাত্র দাদার কারণেই সম্ভব
হাঃ হাঃ। পিছনে ঝিঁক ঝিঁক করে আওয়াজ হতো।