৩-রা ভাদ্র, ১৪২৮ // কড়াইশুঁটি আলুর দম // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
৩-রা ভাদ্র, ১৪২৮
নমস্কার,
হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন তারপরেই দুর্গা পুজো। আর দুর্গা পুজা মানেই নানান পদের নানান খাবার। সারাদিন উপোস করে পুজার অঞ্জলি দিয়ে বাড়ি এসে লুচি আর আলুর দম। আহা! সে কি স্বাদ! আর ওই সময়ের অলুর দমকে আলাদা মাত্রা দেয় কড়াইশুঁটি।
দুর্গাপুজার আর দেরী নেই তাই এখন থেকেই পুজো আমেজটা শুরু করতে আজ আমি কড়াইশুঁটি আলুর দম রান্না করেছিলাম। তাই এই রান্নার রেসিপি সবার সাথে ভাগ করে নিতে চাই। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
প্রথমেই আমাদের রান্নার উপকরণ গুলো দেখে নেবো।
মশলা তৈরীর উপকরণ
- ১ টেবিল চামুচ গোটা জিরে
- ১ টেবিল চামুচ মৌরি
- ১ টেবিল চামুচ গোল মরিচ
- ১ টেবিল চামুচ আজবাইন
- ১ টেবিল চামুচ ধনে
দম বানানোর উপকরণ
- ২০০ গ্রাম কড়াইশুঁটি (ফ্রোজেন)
- ১ টা টমেটো
- ৪ টা আলু
- ৪ টা কাঁচা লঙ্কা
- ১ টেবিল চামুচ কালো জিরে
- ১ টেবিল চামুচ হলুদ গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামুচ জিরে গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামুচ কাশ্মীরি লংকার গুঁড়ো
- লবন স্বাদমতো
- সর্ষের তেল
প্রথমে আমি আলু, টমেটো, কড়াইশুঁটি এবং কাঁচা লঙ্কা গুলোকে ধুয়ে নিলাম। ভালো করে ধুঁয়ে নেবার পরে, আলুর খোসা ছাড়িয়ে ছোট টুকরো করে কেটে রাখলাম। তারপর টমেটো ছোটো ছোটো টুকরো করে কেটে নিলাম, আর কাঁচা লঙ্কার পেট থেকে চিঁড়ে দিলাম।
মুখ্য রান্না শুরু করার আগে আমি মশলাটা বানিয়ে নেবো তারপর বাকি রান্নার দিকে এগোনো যাবে।
- (১) ইনডাকশন ওভেনে মাঝারি আঁচে একটা কড়াই বসিয়ে দিলাম। কড়াটা একটু গরম হলে আঁচটা কমিয়ে একসাথে গোটা জিরে, মৌরি, গোল মরিচ, আজবাইন, গোটা ধনে দিয়ে শুকনো ভেজে নিলাম। খানিকটা নাড়িয়ে চাড়িয়ে দিতেই মশলার সুগন্ধি বেরোতে শুরু হলো। ভাজা মশলা কড়া ন থেকে নামিয়ে সোজা মিক্সার গ্রাইন্ডারে নিয়ে নিলাম।
- (2) গোটা মশলা গুলোকে মিক্সিতে কয়েকমিনিট ঘুরিয়ে গুঁড়ো করে নিলাম। প্রথম ধাপ শেষ।
এবার চলে যাবো কড়াইশুঁটি আলুর দম রান্নায়।
- (১) ঐ কড়াতেই খানিকটা সর্ষের তেল দিয়ে গরম করে নিলাম।
- (২) তারপর কালো জিরে দিয়ে ফোড়ন দিলাম, তারপরে আলু গুলোকেও কড়াইতে দিয়ে দিলাম। তাঁতে ১ চামচ হলুদ আর স্বাদমতো লবণ দিয়ে খানিকটা ভেজে নিলাম।
- (৩) আলু খানিকটা ভাজা ভাজা হলে গেলে কড়াতে কড়াইশুঁটি, টমেটো আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিলাম। একসাথে সব সবজি অল্প ভেজে নিলাম।
- (৪) তারপর হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো আর কাশ্মীরি লংকার গুঁড়ো দিলাম।
- (৫) নাড়িয়ে চাড়িয়ে মশলাগুলোকে ভালো করে মিশিয়ে দিয়ে তাঁতে অল্প জল দিয়ে কষতে দিলাম।
- (৬) কিছুটা কষিয়ে নেওয়ার পর যখন জল অনেলটাই শুকিয়ে গেছে, তাতে আরো ৩ কাপ জল দিয়ে দিলাম, এটা দিয়ে আমি গ্রেভি তৈরী করবো।
- (৭) খানিকটা নাড়িয়ে কড়াইতে একটা ঢাকনা দিয়ে এঁটে দিয়ে ঝোল ফুটতে দিলাম।
- (৮) মিনিট পনেরো হালকা আঁচে ঝোল ফুটে খানিকটা গাঢ় হয়ে গেলে, ওভেন অফ করে কড়াইয়ের ঢাকনা খুলে দিলাম। এবার তাতে বাড়িতে বানানোর স্পেশাল মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিলাম। ব্যাস। আমাদের কড়াইশুঁটি আলুর দম তৈরী।
নিরামিষ পদ্ধতিতে বানানো এই আলুর দম লুচির সাথে কিংবা পুরীর সাথে খেতে সবচাইতে লাগে।
ভাই আলুর দমের রেসিপি টা দেখে রীতিমতো আমার চোখে ঝাপসা ধরে গেছে। আসলে এত সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন বলা যায়না
সাথে জিভে জল চলে এসেছে
হাঃ হাঃ। রান্না করার সময় আমার চশমা বেশ কয়েকবার ঝাপসা হয়ে গেছিল 😁
যাই হোক পরে আবার ঠিক হয়েছে সেটাই ভালো
হ্যাঁ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়
হা হা হা হা ভাই খুব হাসি পাচ্ছে। খুবই মজার লোক আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে
😁
আপনার উপস্থাপন খুবই সুন্দর,ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালোভাবে ক্যাপচার করেছেন,শুভ কামনা রইল আপনার জন্যে
ধন্যবাদ আপনাকে ❤️
বাহ খুব সুস্বাদু লাগছে ..
এই দুর্দান্ত রেসিপি এবং ব্যাখ্যাটি ভাগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন এবং উপস্থাপন অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। খুবই লোভনীয় রেসিপি। প্রচন্ড খেতে ইচ্ছা করছে। জিভে জল আসার মত রেসিপি। দারুন ভাবে তৈরি করেছো। অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
ধন্যবাদ ভাই! স্টিমিট আমাকে রাঁধুনি বানিয়ে ছাড়বে। 😁
আপনাদের আলুর দম দেখলেই জিভে পানি চলে আসে। আপনার রান্নাটা খুব ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া খুব খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ দিদি আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। আপনিও বাড়িতে একবার Try করুন। নিরামিষ আলুর দম
আলুর দম আমারও খুব পছন্দের একটি খাবার। খাবারের চেহারা দেখেই মনে হচ্ছে খাবারটি খেতে খুবই ভাল হয়েছে আপনি যেটাকে কড়াইশুঁটি বলছেন। আমাদের দেশে সেটাকে মটরশুঁটি বলা হয়। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
কড়াইশুঁটি মটরশুঁটি দুটোই বলি।
দাদা অনেক চমৎকার হয়েছে রেসিপিটি এবং একেবারে কড়াই নিয়ে সেলফি দেখে অন্যরকম লাগছে। মজা করলাম। দেখতে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে নানা উপকরণ দিয়ে এটিকে অনেকটাই সুস্থ করে তুলেছেন যা দেখে আসলে জিভে জল এসে যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
হাঃ হাঃ হাঃ। হাতের কাছে বাটি খুঁজে পাই নি তাই কড়াই নিয়েই 😁।
দেখতে কিন্তু অনেক জোস লাগছিল
খেতেও জোস হয়েছিল 😁
তাহলেতো ভারত গেলে আপনার বাসায় আমার দাওয়াত রইলো
ওহ,রান্নাটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।খুবই টেস্টি হয়েছে মনে হচ্ছে!ধন্যবাদ দাদা।
হ্যাঁ। খেতে মন্দ হয়নি। ভাজা মশলার গন্ধটা মারাত্মক ভালো ছিলো