রেসিপি : তেলাপিয়া মাছের ঝাল // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
আশা করি আপনারা ভালো আছেন! আজকে আমার রান্নার করার কথা ছিলো না তবুও যখন রান্নার সুযোগ পেলাম, ছাড়লাম না। শুরুটা শুরু থেকেই করাই ভালো, আজ পিসি সকালে বেগুন দিয়ে মাছের ঝোল রান্না করেছে। আর আমার দিদির বেগুনে এলার্জি, ওর বেগুন দিয়ে কোনো রান্না খেলেই গোটা গায়ে চাকা চাকা দাগ হয়ে যায়। দিদির দুপুরের খাওয়ার তরকারি নেই। আমিই বললাম, মাছের ঝাল চটপট করে দেওয়া যেতে পারে। বুদ্ধি দিয়েও মুশকিল হলো, মাছের ঝাল তৈরী করার দায়িত্ব আমার ঘাড়েই এসে বরতালো। রেঁধে ফেললাম, তেলাপিয়া মাছের ঝাল। বেশি কথা না বাড়িয়ে রান্নার দিকে এগিয়ে যাওয়ায় শ্রেয়।
- তেলাপিয়া মাছ
- কালো জিরে
- ১ ১/২ টেবিল চামুচ হলুদ গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামুচ জিরে গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামুচ লঙ্কার গুঁড়ো
- নুন
- পেঁয়াজ
- রসুন
- আদা
- ২ টা কাঁচা লঙ্কা
- সর্ষের তেল
মাছ গুলো আগে থেকেই ধুয়ে রেখেছি। পেঁয়াজ, রসুন আর আদা কেটে ধুঁয়ে বাটিতে রাখা।
ধাপ ১
- গ্যাসের ওভেনে একটা কড়াই গরম করে, তেল তাঁতাতে দিয়ে দিলাম।
ধাপ ২
- তেল গরম হতেই নুন-হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখা মাছ গুলো কড়াইতে দিলাম। গ্যাসের আঁচ কমিয়ে মাছ ভাজতে শুরু করলাম। মিনিট চারেক অল্প আঁচে উল্টে পাল্টে ভাজতেই মাছের সাদা ভাবটা চলে গেলো। বুঝলাম মাছ ভাজা হয়ে গেছে, মাছ নামিয়ে একটা বাটিতে রেখে দিলাম।
ধাপ ৩
- কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে কালো জিরে দিয়ে ফোড়ন দিলাম, তারপর একে একে কুচানো পেঁয়াজ, রসুন আর আদা দিয়ে দিলাম।
ধাপ ৪
- পেঁয়াজ, রসুন অল্প ভাজা হলে নুন আর ১ চামুচ হলুদ দিয়ে ভালো করে ভেজে নিলাম।
ধাপ ৫
- পেঁয়াজ, রসুন ভালোভাবে ভাজা হতেই হাপ কাপ মতো জল দিয়ে তারপর জিরে গুঁড়ো আর লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে কষিয়ে নিলাম।
ধাপ ৬
- মিনিট পাঁচেক উচ্চ আঁচে ফোটানোর পরে জলটা কমে এলে দুটো কাঁচা লঙ্কা দিলাম, তারপর পূর্বে ভাজা মাছ গুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপ ৭
- মাছ গুলো মশলার সাথে মিশে গেলে, দেড় কাপ জল কড়াইতে দিয়ে দিলাম। তারপর ঝোল ফুটতে রাখলাম।
ধাপ ৮
- মিনিট দশেক ঝোল ফুটতেই আমাদের তেলাপিয়া মাছের ঝাল তৈরী হয়ে গেলো।
মাছের ঝাল আমি খাইনি, তবে দিদির বেশ ভালো লেগেছে। আমার মন রাখার জন্য বলেছে কিনা পরে একদিন নিজের জন্য রাঁধলে বুঝবো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ওয়াও দাদা আপনার ছবিটা দেখতে তো অনেক সুন্দর লাগছে না জানি খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। ছবি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি প্রতিটি ধাপে ধাপে সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন এটা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
খেতে হয়তো ভালোই হয়েছিলো। দিদি তো তাই বললো। ধন্যবাদ 🤗
দাদা তো মনে হচ্ছে পেশাদার রাঁধুনি হয়ে গেছেন। প্রতিদিন একের পর এক সুন্দর সুন্দর রেসিপি দিচ্ছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আজকের তেলাপিয়া মাছের ঝাল রেসিপি টাও খুব সুন্দর হয়েছে।।
হাঃ হাঃ। পেশা নিতে পারবো তাহলে? ধন্যবাদ ভাই 🤗
মাছের ঝাল খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। তেলাপিয়া মাছের ঝাল দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনার রান্নায় জাদু রয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি তেলাপিয়া মাছের ঝাল রেসিপি তৈরি করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জাদু রয়েছে কিনা জানিনা তবে চেষ্টা করছি যাতে খেতে অন্তত খারাপ না হয়। হাঃ হাঃ। ধন্যবাদ স্বপন দা 🤗
তেলাপিয়া মাছ খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগতেছে। প্রতিটা ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করছেন যেটা দেখে খুব সহজেই আপনার এই রেসিপি তৈরি করা যাবে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাই 🤗।
ভাইয়া,আপনার তেলাপিয়া মাছের ঝাল তরকারি দেখে আমার জিভে জল এসে যাচ্ছে। তেলাপিয়া মাছ খুব সুস্বাদু আর আপনার তরকারিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তেলাপিয়া মাছ এর প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া, এতো সুস্বাদু একটি তরকারি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন🌷
ধন্যবাদ দিদি 🤗। সুস্বাদু কিনা আমার দিদি বলতে পারবে। 😁
আমার তো দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশিই মজা হয়েছে।
যদি রান্নায় নুনটা পারফেক্ট হয় তাহলে অবশ্যই রান্নাটা দারুণ হয়েছে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
আমার আর আপনার দিদির দেখছি একই সমস্যা। 🥺
দিদি তো বললো ভালোই হয়েছে। একদিন নিজে রান্না করে নিজেই খেয়ে দেখবো। ধন্যবাদ 🤗
দাদা দুপুরের রান্না দায়িত্ব নিয়ে দুর্দান্ত একটা রেসিপি তৈরি করলে যা আমার ভীষণ প্রিয় একটি রেসিপি। তেলাপিয়া মাছের ঝোল ভীষণ সুস্বাদু একটি রেসিপি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক স্বাদের হয়েছিলো। খেতেও বেশ মজা হয়েছিলো। শুভেচ্ছা নিও।
সবার দায়িত্ব নিই নি। শুধু আমার দিদির। ধন্যবাদ সিদ্ধার্থ 🤗
তেলাপিয়া মাছের ঝোল আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তেলাপিয়া মাছের কাটা গুলো অনেক বড় বড় হয়। যার কারণে খেতে কোনো সমস্যা হয় না বা কাটা বাছতে হয় না। আপনার তৈরি রেসিপি টা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। শুভকামনা রইল দাদা।
আমার বেগুন দিয়ে ঝোল খেতেও ভালো লাগে। আজকেরটা দিদির জন্য। ধন্যবাদ ভাই 🤗
তেলাপিয়া মাছ মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়। তেলাপিয়া মাছের স্বাদটা মোটামুটি ভালোই লাগে। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজা হয়েছে। আর ঝাল রেসিপি আমার এমনি অনেক ভালো লাগে। সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।
তেলাপিয়া আগে আরো ভালো খেতে লাগতো। এখন একটু ফ্যাসফেসে লাগে, তাই ঝাল বানাতে হয়। ধন্যবাদ ভাই 🤗