দিনপঞ্জি ২১-শে ভাদ্র, ১৪২৮ // রাকেশের জন্মদিনে নিক্কো পার্ক // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
পরপর জন্মদিন! কিছুদিন আগে পায়েলের জন্মদিন ছিলো আবার আজ রাকেশের জন্মদিন। গ্রুপটা অনেকটা বড় তাই মোটামুটি প্রত্যেক মাসেই একটা করে জন্মদিন লেগেই থাকে। অক্টোবর আর নভেম্বর মাসটা বাদ দিয়ে প্রতি মাসেই জন্মদিন।
বেশ কিছুদিন ধরেই নিকোপার্ক যাওয়ার কথা চলছিল, সেই দ্বিতীয় লকডাউন উঠে যাওয়ার পর থেকেই প্ল্যান হচ্ছিলো তবে যাওয়া আর হয়নি। অবশেষে রাকেশ ওর জন্মদিনে না খাইয়ে নিকোপার্কের টিকিট সবার হাতে ধরিয়ে দিলে নিক্কো পার্ক যাওয়া হলো। শুধু যা খাবার দাবার খাওয়া হবে নিজের ইচ্ছেমতো নিজেরাই কিনে খাবে, এই। যথারীতি ৭ তারিখ সকাল এলো, আগের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি যে দুপুরে খাওয়ার সময় ঠিক নেই তাই সকালবেলা ম্যাগি আর ডিমের পোচ খেয়ে বেরিয়েছিলাম। সবাই বিধান নগরে সাক্ষাৎ করে নিক্কো পার্কের বাস ধরা হলো।
নিক্কো পার্ক সবে পৌঁছানো হয়েছে সেকি বৃষ্টি আরম্ভ হলো। কল্পনাতীত বৃষ্টি। কি আর করব বাইরেই খানিকক্ষণ বাইরে সেডের তলায় দাড়িয়ে থাকতে হলো। বৃষ্টির মধ্যে বেশ কয়েকজন তখন এসে পৌঁছায়নি।
আমাদের নিক্কো পার্কে ঢুকতে ঢুকতে বেলা ১২:৩০ বাজলো। তখনও টিপটিপ করে বৃষ্টি হচ্ছে। তবুও জামাকাপড় বদলে ওয়াটার প্যান্ট পরে লকার বন্ধ করে সবাই মিলে সোজা ঝাঁপ মারা হলো পুলে।
উচ্চতায় আমার ফোবিয়া আছে তবুও একে একে টিউব স্লাইড, ওয়েভ পুল, ওয়েভ রানার সবেতেই চড়লাম।
ঘন্টা তিনেক জল দাপাদাপি করে আমরা বেশ ক্ষুধার্ত হয়ে যাই, এরপর ছোলে-ভাটুরে, ওই ছোলা আর বড়ো বড়ো লুচি সাটিয়ে দিলাম। খিদের পেটে এটাই যেন অমৃত।
খাওয়া দাওয়া সারতে সারতে বৃষ্টিটা একটু ধরলো এদিকে আমরাও খুব ক্লান্ত তাই স্নান করে ড্রাই পার্কের দিকে এগিয়ে গেলাম।
আমার শুধু ভয় লাগে এই মনে হয় ভেঙে যাবে আমি উঠিনি তবে নীচ থেকে বাকিদের ভয় পাওয়ার মজা লুটেছি 😁।
অন্য কোনো রাইড না করলেও বাম্পার কারে বার তিনেক চড়েছি। প্ৰথমবার গো হারান হারলেও পরের দুটোই সবাইকে বেশ জোরে জোরে ধাক্কা মারতে পেরেছি।
আমরা বাম্পার কারে ধাক্কাধাক্কি শেষ করতেই নিক্কো পার্কের বন্ধের সময় হলো গেলো। আমরাও টুকটুক করে পার্ক থেকে বেরোলাম। পার্কের বাইরে এসে কেক কাটা হলো। গ্রুপের তরফে গতকালকের কেনা ব্লুটুথ হেডফোন দেওয়া হলো।
তারপর আমরা বাড়ির পথে রওনা দিলাম। তবে বাড়ি যাওয়া হয়নি। হুট করে প্ল্যান করে উল্টোডাঙ্গায় নেমে স্ন্যাকস খাওয়া হলো। মোগলাই পরোটা। প্রায় ৪-৫ বছর পরে খেলাম। দারুন করেছিল।
দিনটা বেশ ভালো কাটলো সবার সাথে, বেশ মজা হয়েছে। তবে বৃষ্টি না হলে আরো ভালো কাটানো যেতো। তারপর অনেক ক্লান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরলাম, তবে সোজা ঘুমোতে যাইনি। আমার বাংলা ব্লগে একটা পোস্ট করে তবেই ঘুমোতে যাবো। অনেক কষ্টে একটা দিনপঞ্জি লিখতে বসলাম। লেখা শেষ করতে রাত ১:৩০ বেজেই গেলো। পোস্ট করলাম। তারপর শান্তির ঘুম। সকাল সকাল ডাক্তারের কাছে যেতে হবে...
অনেক আনন্দ ঘন মুহূর্তেতে দিনটি অতিবাহিত করেছেন।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেন আনন্দের ঝর্না বয়ে যাচ্ছে।
এই খেলনায় ওঠে অনেক আনন্দ উপভোগ করা যায়।নিজেকে একজন রেচার মনে হয়। রেচিং করতে অনুভূতি ই অন্য রকম🙂😊।
এরকম জায়গায় উঠলে আমার শরীর থেকে রুহ বের হতে চায় তাই আমি উঠি না।
শুভ কামনা রইলো ভাই।
আমিও উঠি না। উঁচু জায়গাতে উঠলে হেভভি ভয় লাগে। এই কারণে নাগরদোলায় ওঠা হয় না।
দারুণ সময় কাটিয়েছেন দাদা।শুধুই আনন্দের মুহূর্ত।টিকে থাকুক আপনার বন্ধুত্বের মেলবন্ধন সারাটিজীবন।খাবারটি লোভনীয় ছিল।ধন্যবাদ দাদা।
মোগলাই পরোটা টা বেশ ভালো ছিলো। সারাদিন বেশ মজাতেই কেটেছে
আপনার পোষ্ট কেয়ালিটি সব সময় হাই থাকে। আপনাট দিনলিপিটা অসাধারণ কিছু মুহূর্তের মাঝে কেটেছে।সুইমিং পুলের ছবিটূ বেশ ভালো ছিল। আর শেষে জন্মদিনের উৎসব পালন। সব মিলিয়ে একটা আনন্দমুখোর দিন পার করেছেন। শুভ কামনা রইল। আর এভাবে আনন্দে নিজের জীবনটাকে এগিয়ে নিয়ে যান।
ধন্যবাদ ভাই। আমি চেষ্টা করছি, নিজের মতো করে লিখতে। পাঠকের ভালো লাগলে এটাই পাওনা।
প্রচুর আনন্দ হয়েছে, আনন্দের ঠেলা এখন আছে। গা হাত পায়ে দারুন ব্যাথা। 😂
আনন্দ করতে গিয়ে ব্যাথা হলে আর কিছু করার নাই ভাই,,,, এখন শুয়ে থাকেন, মেলা আনন্দ করেছেন🤭
পেশী গুলো খুব ব্যাথা 😂
বৌদিকে বলেন একটু টিপে দিবেনে।🤭🤣😂
একটা ঘুম দিলাম ঠিক হয়ে গেলো 😁
যাক তাহলে ব্যাথাটা গেছে🥰
এই ছোলে ভাটুরেটা মনে হচ্ছে খুব মজার হবে।
আমি খুব মিস করি এমন গ্রুপ করে ঘুরাটা।আসলে আগে স্কুলে এমন গ্রুপ ছিলো তবে কলেজে উঠে সবাই কেমন যেনো ছন্নছাড়া হয়ে গেছে। দেখে খুব ভালো লাগলো তাই।
খেতে ভালো ছিলো তবে দাম অনুযায়ী পরিমাণ কম।
স্কুলের ব্যাপারটাই আলাদা ছিলো। খুব মিস করি। আমি এই গ্রুপে শেষ সংযোজন। ৩ বছর আগে। তবে এখন গ্রুপের একজন হয়ে গিয়েছি।
জায়গা খুবই দৃষ্টি নন্দিত। খুব যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করি। ছবি গুলো দারুন ছিলো। চমৎকার মুহুর্ত কাটিয়েছো। ধন্যবাদ দাদা
দাদাদের সাথে একবার চলেই আসতে ভাই! বেশিদূরে তো ছিলেনা। একসময় ঘুরে যেও, ভালোই লাগবে
অবশ্যই ঘুরে আসবো।
আরে দাদা আজব তো। আপনি কী প্রতিদিন জন্মদিনের পার্টিতে যান। সেদিন পায়েল আজ রাকেশ কালকে কার জন্মদিন দাদা। আর হ্যা বাম্পার কারের বিষয়টি মনে হচ্ছে খুব উপভোগ করেছেন।
হ্যাঁ। এই মাসে পর পর আছে। তারপর আবার তিনমাস পরে। মাঝে তো একজনের পার্টিতে যাইনি। 😂।
বাম্পার কার টাই পারলাম যে 😁
বাহ তাহলে তো ভালো।