রেসিপি : আলু দিয়ে গলদা চিংড়ির মাখা মাখা ঝোল // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
সকাল থেকে মনটা অল্প খারাপ ছিলো, এবারে আমাদের ভাইফোঁটা নেই। বাড়িতে অশৌচ। যদিও আমার ভাইফোঁটার থেকে ভাইফোঁটার ভালো পদ প্রাপ্তি হবেনা সেটা ভেবেই বেশি খারাপ লাগছিলো। এদিকে পিসিরাও উত্তরাখন্ড ঘুরতে গেছে, তাই ভালো কিছু রান্নার সুযোগটাও কম। নানান কথা ভেবে ঘুম থেকে দেরী করে উঠলাম। মুখ চোখ ধুয়ে সবে চা খেতে রান্না ঘরে ঢুকেছি দেখি গলদা চিংড়ি রাখা! দেখে দুঃখ একটু কমলো। আমিই চিংড়ি রান্নার দায়িত্ব নিলাম। প্রথমবারের জন্য চিংড়ি রান্না করেই ফেললাম।
- ৫ টা গলদা চিংড়ি
- ৪ টে আলু
- ৬০ গ্রাম পেঁয়াজ
- ৮ কোয়া রসুন
- ১ ১/২ চামুচ হলুদ গুঁড়ো
- ১ চামুচ জিরে গুঁড়ো
- ১ চামুচ লঙ্কার গুঁড়ো
- ২ চামুচ নুন
- ১০০ গ্রাম সর্ষের তেল
ধাপ ১
- গ্যাসের ওভেনে একটা কড়াই বসিয়ে সর্ষের তেল দিয়ে গরম করে নিলাম, তারপর তাতে নুন হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখা চিংড়ি গুলো কড়াইতে দিয়ে ভাজতে শুরু করলাম।
ধাপ ২
- চিংড়ি গুলো অল্প ভাজা হয়ে গেলেই, একটা পাত্রে তুলে রাখলাম।
ধাপ ৩
- কড়াইতে পেঁয়াজ দিলাম তারপর টুকরো করে রাখা আলু গুলো দিয়ে, একসাথে ভাজতে শুরু করলাম।
ধাপ ৪
- তারপর স্বাদমতো নুন আর এক চামুচ হলুদ দিয়ে হালকা আঁচে আলু গুলো ভালোভাবে ভাজতে শুরু করলাম।
ধাপ ৫
- ভাজা হয়ে গেলে অল্প জল দিয়ে ফুটতে দিলাম, এইবারে এক চামুচ জিরে গুঁড়ো আর এক চামুচ লংকার গুঁড়ো দিয়ে খুন্তি দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে দিলাম।
ধাপ ৬
- অল্প আঁচে মিনিট দশেক ফুটিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিলাম।
ধাপ ৭
- কষে যাওয়ার পরে তিন কাপ মতো জল দিয়ে মাঝারি আঁচে ফুটতে রেখে দিলাম। মাঝে মাঝে খুন্তি দিয়ে নাড়িয়ে দিচ্ছিলাম। মাঝে বিশেষ কারণে একবার ওভেন বদলে নিয়েছি।
ধাপ ৮
- মিনিট পনেরো ঝোল ফুটতেই আলু দিয়ে গলদা চিংড়ির মাখা মাখা ঝোল তৈরী।
||আমার বাংলা ব্লগ পেজ & ডিসকর্ড||
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
|| JOIN OUR DISCORD SERVER ||
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। গলদা চিংড়ি এমনি অনেক মজা ।সেটা যেটার সাথেই রান্না করুক।
তা ঠিক! ভালোই লাগে। সে যা দিয়েই রান্না করা হোক। ধন্যবাদ দিদি 🤗
কংগ্রাচুলেশন ভাইয়া প্রথম চিংড়ি রান্নার জন্য। চিংড়িগুলো যে বড় বড়, দেখেই খেতে মন চাচ্ছে। নিজের হাতের রান্না তো সেই তৃপ্তি নিয়ে খেয়েছেন মনে হয় ভাইয়া😋😋😋। শুভকামনা রইল।
গলদা চিংড়ির রেসিপি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। প্রতিটি ধাপ ভালোভাবে বর্ণনা করেছেন। ছবিগুলোও বেশ ভালো হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই 🤗
অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার গলদা চিংরির রেসিপি টি।দেখেই জিভে জল এসে গেল।আপনি প্রতেকটা ধাপ খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ।😊
কি যে বলেন! জিভে জল আসার হয়নি। হাঃ হাঃ। ধন্যবাদ 🤗
ওয়াও বড় বড় চিংড়ি। বাংলাদেশের খুলনা এলাকায় এরকম বড় বড় চিংড়ি পাওয়া যায়। এই রেসিপি অনেক মজাদার হয় আমি বড় চিংড়ি মাছের রেসিপি খেয়েছি যা খুবই লোভনীয়। মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।
গলদা চিংড়ি আরো বড়ো বড়ো হয়। ওগুলো বেশি সময় ধরে ভাজতে হয়। ধন্যবাদ ভাই 🤗
দাদা অন্যায় এর চরম শিমা কিন্তু এটা।আপনি এতো সুন্দর সুন্দর রেসিপি কেনো করেন।জিবে জল আটকায়ে রাখতে পারি না।এই গলদা চিংরি খাইনা প্রায় এক বছর হলো।সত্যি জিভে জল এসে গেলো। অসাধারন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা শুভ কামনা রইলো।
হাঃ হাঃ। অন্যায়ই বটে। তবে সুন্দর কিনা জানিনা, খেতে বেশ হয়েছিল। এক বছর তো অনেকদিন, কিনে নিয়ে এসো এবার ভাই।
😁😁😁অর্থ করি নাই😁😪
আপনি গলদা চিংড়ির অসাধারণ রেসিপি তৈরি করেছেন আপনার রেসিপিটি দেখতে খুব লোভনীয় লাগছে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা হবে সেইসাথে ধাপগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা থাকলো ভাই
লোভনীয় হতো যদি আর ঝাল দিতাম 🤣🤣🤣। ধন্যবাদ ভাই 🤗
বাহ দাদা, আপনি তো খুবই সুস্বাদু ভাবে গলদা চিংড়ি রান্না করেছেন।সত্যি বলতে কি দাদা?গলদা চিংড়ি যে কোন সবজি দিয়ে রান্না করলে অনেক সুস্বাদু লাগে।আলু দিয়ে রান্না করলে তো আর কথাই নেই। ধন্যবাদ দাদা, এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার। করেছেন
ছোটো চিংড়ি অনেক ভাবে খেয়েছি তবে গলদা বিশেষ খাওয়া হয় না তাই বেশি এক্সপেরিমেন্ট করি না। ধন্যবাদ আপনাকেও আমার ব্লগটি পড়ার জন্য 🤗
মিষ্টি কুমড়া আর চিংড়ি আমার খুব ভালো লাগে।বাসায় মাঝেমাঝে আম্মু এটা রান্না করে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মিষ্টি কুমড়া দিয়ে এই চিংড়িটা ভালো লাগবে না, ওটা ছোটো ছোটো চিংড়ি দিয়েই বেশি ভালো লাগবে।
ভাইয়া আপনার রান্নার রেসিপি গুলো আমার কাছে সবসময় ভালো লাগে। আজকে তো আমার পছন্দের একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। চিংড়ি মাছ আমার খুবই পছন্দ। আলু দিয়ে চিংড়ী মাছ আমিও মাঝে মাঝে রান্না করি। আপনার রান্নার পদ্ধতিটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। খাবার টা খুবই মজাদার হয়েছিল দেখেই বোঝা যাচ্ছে। শুভকামনা আপনার জন্য।
ধন্যবাদ দিদি। চেষ্টা করছি, যতোটুকু পারা যায় আরকি। 🤗