নবনিতার বোনের জন্মদিনে
সকাল থেকেই @nabanitad দের বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি। নেমতন্ন বিকেলে থাকলেও সকাল থেকেই দিনের কাজকর্ম গুলো গুছিয়ে নিতে হয়েছে। সকাল সকাল উঠে লেগে পড়েছিলাম। বাড়ির টুকটাক কাজকর্ম সেরে ক্লায়েন্ট দের একেক করে ফোন করলাম তাদের লাল কোনো পেন্ডিং কাজ বাকি থাকলে করে দেবার জন্য। কারোরই কোনো কাজ ছিলো না।
দুপুর ১:৩০ টার মধ্যেই স্নান সেরে রেডি হয়ে গেলাম। ৩ টের দিকে ট্রেন ধরতেও হবে। বাড়ি থেকে বেরোলাম ২:১৫ র দিকে।বাসে আছি এমত অবস্থায় এক ক্লায়েন্টের ফোন, তাঁর কিছু বিল বানিয়ে দিতে হবে। বাসে আছি বলাতে রেখে দিলো। ওয়ার্ক ফ্রম হোম হয়েই যত জ্বালা। আগে কোর্ট শেষ করে ৬ টার দিকে বন্ধুর অফিসে বসতাম, ক্লায়েন্টদের কোনো কাজ থাকলে এসে করিয়ে নিয়ে যেত। এখন বাঁধা সময় নেই, যখন পারে ফোন করে। যাক সেসব কথা বাড়াবো না।
স্টেশনে ঠিক সময়েই পৌছলাম, মিনিট ২০ আগেই।
আজকাল লোকাল ট্রেনে ভালোই ভীড় হচ্ছে। মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে। দেখে ভালো লাগলো আবার চিন্তা হলো সিট তো পাবোনা। যা ভাবলাম তাই হলো পুরো ১ ঘন্টা দাঁড়িয়ে নৈহাটি নামলাম। এখানেই কেক অর্ডার দেওয়া ছিলো। কেক নিয়ে বাস ধরলাম। সোজা @nabanitad র বাড়ির সামনে।
ঘরোয়া বাড়ির জন্মদিন, পায়েস, কেক কাটা আর দু একটা বাচ্চা কাচ্চা। করোনার জন্য বন্ধুদের কাউকে ডাকেনি।
রাতে জন্মদিনে স্পেশ্যাল মেনু হিসেবে ছিলো বাড়িতে বানানো @nabanitad র মায়ের হাতের বিরিয়ানী। আহা! কি স্বাদ। বাড়ির রান্নার সাথে কোনো কিছুরই তুলনা হয় না।
করোনার সময় দাওয়াত পাওয়া সত্যি ভাগ্যের।নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
জন্মদিন এর শুভেচ্ছা রইলো। বিরানি অনেক লোভনীয় হয়েছে 😋। ধন্যবাদ।