১৯-এ ভাদ্র, ১৪২৮ // পায়েলের জন্মদিনে // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
গতরাতে নবনিতাকে এয়ারপোর্টে ছেড়ে বাড়ি ঢুকতেই ২:৩০ বেজেছে। বাড়ি ঢুকে ফ্রেস হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম বটে তবে ঘুম আর আসেনি। চাপা এনক্সাইটি ছিলো। আর ইচ্ছে ছিলো প্লেন ছাড়ার পরই আমি ঘুমাবো। ততক্ষণ নবনিতাকে সঙ্গত দিই। মাঝে দু একবার চোখ লেগেছিল বটে তবে ভেঙে যায়। ভোরে ওর প্লেন ছাড়লেই ঘুমিয়েছি। তবে ঘন্টা তিনেকের জন্য। সকাল ৯ টার দিকে আশীষের ফোনে ঘুমটা ভেঙে গেলো। আজকে আশীষের গার্লফ্রেন্ডের জন্মদিনের ট্রিট আছে। জন্মদিন গত সপ্তাহেই ছিলো, আশীষের শরীর খারাপ হবার সেলব্রেশন হয়নি। তাই সেটা পিছিয়ে এই সপ্তাহে।
ঘুম থেকে উঠেই ব্রাশ করে নিলাম। ঘুম পূরণ না হওয়ায় ক্লান্তি আছে। সেটাকে কাটানোর জন্য স্নান টাও সেরে নিয়েছি। খালি পেটে যাবো ককখন খাওয়া হবে তাই অল্প চা খেয়েই বেরোলাম। আমাদেরই এক বন্ধু রাকেশের ফ্ল্যাটে জন্মদিন পালন করা হবে। আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে মাত্র ২ কিমি। স্কুটার অন করতেই যেন পৌঁছে গেলাম। ঘরে ঢুকে দেখি কাজ চলছে।
গতরাতে এখানেই অনেক থেকেছে ঘর সাজানোর জন্য। তবে বিশেষ একটা এগোতে পারেনি। অল্প কিছু বেলুন ফুলিয়েছে। একসাথে বন্ধুরা থাকলে যা হয়। সারারাত ধরে শুরু গল্প করেছে, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আমিও হাত লাগালাম। একসাথে হাত লাগাতেই ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ঘর সাজানোর জন্য সবকিছু তৈরী।
ঘর সাজাতে শুরু করা হয়েছে আশীষ বললো ভাই কেক টা আনতে হবে তোরা একটু আন আমি বাড়ি গিয়ে ফ্রেস হয়ে, পায়েলকে (ওর গার্লফ্রেন্ড) নিয়ে আসছি। কি আর করা অন্যরা ঘর সাজানোয় হাত লাগালো। আমি আর আরেক বন্ধু সুজয় কেক আনতে ছুটলাম, সল্টলেকের সেভেনথ হেভেনে।
সল্টলেকের রাস্তা ঘাট খুবই ভালো। বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সেভেনথ হেভেন পৌঁছাতে মিনিট ২৫ লাগলো। কেক নিয়েই আবার রাকেশের ফ্ল্যাটের দিকে রাস্তা ধরলাম।
বাড়িতে যখন পৌছালাম ততক্ষনে ঘর সাজানো শেষ হয়েছে। বেলুন দিয়ে আর লিকুইড নাইট্রোজেন দিয়ে ঘরটা দারুন সাজানো হয়েছে।
আমরা ঢোকার কিছুটা পরে বার্থগার্ল কে নিয়ে আশীষ পৌছালো। পায়েল বেশ সারপ্রাইজড, সবাই কে একসাথে দেখে। তারপর কেক কাটার পালা। অবশেষে আমিও কেকটা চাক্ষুষ করলাম। বেশ সুন্দর। এতো দামি কেক তাই কেউ মাখামাখি করে কেক নষ্ট করেনি।
কেক কাটা হলে আশীষ খাবারের অর্ডার দিয়ে দিলো। ১৪ টা বিরিয়ানি, ৭ খান মাটন আর সাত খানা চিকেন। আমি মাটন কম খাই তাই আমার জন্য চিকেন। তারপর গিফট খুলে চললো আড্ডা। খাবার আসতে অনেকটাই দেরী হলো।
ডেলিভারি পার্সন আমাদের এড্রেস খুঁজে না পেয়ে বাধ্য হয়ে আমাদেরকেই রাস্তা থেকে খাবার নিয়ে আসতে হলো। আহা! বিরিয়ানির গন্ধে ঘরে ভরে গেলো। বিরিয়ানিতে প্রচুর রাইস দিয়েছে। বিরিয়ানিটা খেতেও বেশ ভালো তবে চিকেনটা বেশ শুকনো ছিলো। বেশিই ভেজে ফেলেছে। কয়েকজন চিকেন চাপ অর্ডার করেছিল, সেটার গ্রেভি দিয়েই কাজ চালিয়ে নিলাম।
খেয়ে কিছুক্ষন আড্ডা মারা হলো। আমরা বেশ কিছুজন পরে থেকে গিয়েছিলাম, ফ্ল্যাটটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তবেই বাড়ি ফিরলাম। মন খারাপ ছিলো তাই খুব একটা আসার ইচ্ছে ছিলো না, তবে এসে ভালোই হয়েছে কিছুটা ভালো সময় কাটানো গেলো।
হ্যাপি বার্থডে পায়েল আপু। আপনার সামনের পথ চলা দির্ঘ হোক। আজকের পোষ্টটাতে কিংপ্রোস ভাইয়া, জন্মদিনের সুন্দর মুহূর্ত গুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। শুভ কামনা ভাইয়া।
সবাই মিলে বেশ ভালো কেটেছে সময়। অনেকদিন পর আমি কোনো পার্টিতে যেতে পেরেছি।
হ্যাপি বার্থডে #payel আপু।আপনি জন্মদিন সেলিব্রেট করার জন্য অনেক দৌড়াদৌড়ি এবং ছুটাছুটি করেছেন।অবশেষে জন্মদিনের উৎসব উৎযাপন করেছেন।
আপনাদের এই ছবিটি খুব সুন্দর হয়েছে।সকলের মুখে আনন্দের হাসি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো দাদা❤️
সবার চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ। সারারাত জাগার ফল 😆
সুন্দর মূহুর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।সবাইকে খুবই সুন্দর লাগছে। পায়েল দিদিকে আমার বাংলা ব্লগের পক্ষ থেকে শুভজন্মদিন জানাচ্ছি।
বেশ ভালো সময় কেটেছে। কিছুটা সময় ডিস্ট্রাকট থাকা গেছে। ধন্যবাদ ভাই।
বাহ খুব ভালোভাবে জন্মদিনের পার্টিটা উপভোগ করেছেন। বিরিয়ানি টা অসাধারণ লাগছে। এবং হ্যা সল্টলেকের নাম অনেক শুনেছি। সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে এটিকে তাদের আইএসএলের হোম ম্যাচগুলো খেলত। কী একটা উওেজনা থাকত।
হ্যাঁ ভালো মজা করা গেছে। স্টেডিয়ামটা আরেকপাশে, একবার খেলা দেখেছি মাত্র। ৬৭ হাজার দর্শক ছিল সেদিন। ভারত বাংলাদেশের।
😍😍😍😍😍। বাহ ভালো তো।
রাতে ঘুম না হলে পরের দিনটি খুব খারাপ যায়। যদিও আপনি বন্ধুর গার্লফ্রেন্ডের জন্মদিন টা ভালই এনজয় করেছেন। আপনাদের ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে। খুব মজা হয়েছে বার্থডে পার্টিতে। বিরিয়ানির চেহারাটা কিন্তু দাদা খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। বাসমতি চালের বিরিয়ানি। তবে আমার কাছে কিন্তু দাদা মাটন বিরিয়ানি চিকেন বিরিয়ানি থেকে ভালো লাগে। একেক জনের পছন্দ এক এক রকম। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাসমতি চালেরই বিরিয়ানি। স্বাদ সত্যিই ভালো ছিলো তবে মুরগি মাংস টা একটু শুকনো ছিলো। রস একদমই ছিলো না। মাটন আমারও ভালো লাগে তবে অনেক তেলুক, তাই কম খাই।
চমৎকার মুহূর্ত। সকলের মুখে হাসি দেখে বোঝাই জন্মদিনে সেই মজা হয়েছিলো। দিন খুব আনন্দঘন ছিল। অনেক শুভেচ্ছা দাদা
বেশ ভালো সময় কাটলো। চোখ খচ খচ করছিল তবে বারবার চোখ মুখ ধুয়ে নিচ্ছিলাম
তবুও দিনটি আনন্দে কেটেছে। এটাই ভালো। শুভেচ্ছা অবিরাম।
জন্মদিনের সুন্দর একটি মুহূর্ত তুলে ধরেছেন। আপনার পোস্টটি দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি খুবই আনন্দ করেছেন। সবগুলো ছবি খুব সুন্দর হয়েছে। বিরিয়ানির ছবি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। এই পার্টিতে উপস্থিত সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।
বেশ আনন্দ করা গেছে। বিরিয়ানি সত্যিই বেশ ভালো খেতে ছিলো
দারুণ মজার তো ,শুধুই আনন্দ আর আনন্দ।সেটাও আবার বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড এর জন্মদিনে।খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন দাদা বোঝাই যাচ্ছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪-১৫ জনের একটা গ্রূপ সবার জন্মদিনেই বেশ মজা হয়।
শুভ জন্মদিন পায়েল আপু।আপনাদের ছুটাছুটি দেখে বোঝাই যাচ্ছে বেশ মস্তি করেছেন সবাই মিলে। ভালো লাগলো দিনের শেষ থেকে শুরু ভালো কেটেছে দেখে।
বেশ মজা করা গেছে। একটা AC রুম থাকলে আরো ভালো হতো। গরমের মধ্যে পুরো অবস্থা খারাপ
কারোর আনন্দের জন্য ছোটাছুটি আর অনেক ভালোবাসা এটাই জানো তার জন্মদিনের বড় উপহার হয়ে ওঠে। আপনাদের সকলের বন্ডিং এত ভালো দেখে আমারও ভালো লাগলো।ভালো থাকুন।
কিছু বন্ধুদের জন্য ছোটাছুটি করতে ভালোই লাগে।
আমাদের এই গ্রুপটার বন্ডিং টা ভালো। আমি অনেক পরে এসেও এদের কাছ থেকে শুধুই ভদ্রতা পেয়েছি।