রেসিপি : কাতলা মাছের ঝাল // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago


নমস্কার,

মেলা দেখায় ইতি টেনে শুক্রবার বেশ সকাল সকালই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম, রাস্তার দুপাশে অগনিত মাছের ভেরি পেরিয়ে আসতে আসতে রাস্তায় দেখলাম একজন বেশ কিছু মাছ নিয়ে বসে আছেন। টাটকা মাছ। শুক্রবার বাড়িতে নিরামিষ হলেও পিসিকে ফোন করে একবেলা মাছ রান্না করার অনুমতি চাইলাম। পিসি অল্প গুইগাই করলো বটে তবে অনুমতি দিয়েই দিলো, কারন আমরা কলকাতায় ফিরে এলেও পিসি এক্কেবারে রাতে ফিরবে। তাই বাড়িতে রান্না হলে বিশেষ চাপ নেই।

বাড়িতে মাছ ধুঁয়ে ফুলকপি দিয়ে রান্না করবো ভেবেছি, তবে মাছ খাওয়ার মানুষ শুধু আমি আর দিদি। তাছাড়া কাজের জন্য বেরোতে হবে তাই ফুলকপি দিয়ে রান্না করার কথা মাথা থেকে ঝেড়ে মাছের তেল ঝাল করলাম। যাক আর বেশি কথা বলে সময় নষ্ট করবো না, সোজা চলে যাবো মূল রান্নায়।


উপকরণ

  • কাতলা মাছ
  • কালো জিরে
  • ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো
  • ১ টেবিল চামচ জিরে গুঁড়ো
  • ১ টেবিল চামচ লঙ্কার গুঁড়ো
  • নুন
  • পেঁয়াজ
  • রসুন
  • আদা
  • কাঁচা লঙ্কা
  • সাদা তেল


উপকরণ

রন্ধনপ্রণালী

ধাপ ১

  • তিন পিস মাছ ধুঁয়ে নিয়ে হাফ চামচ নুন আর হাফ চামচ হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রেখে দেবো।


ধাপ ২

  • উচ্চ তাপে ওভেন জ্বালিয়ে নিয়ে একটা কড়াই গরম করতে রাখবো। কড়াই গরম হলে বেশ কিছুটা তেল দিয়ে দেবো।

ধাপ ৩

  • তেল গরম হতেই নুন-হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখা কাতলা মাছ গুলোকে কড়াইতে দিয়ে দেবো। গ্যাসের তাপ কমিয়ে অল্প আঁচে মাছ ভাজতে শুরু করবো।

ধাপ ৪

  • মিনিট আটেক অল্প আঁচে মাছ গুলোকে উল্টে পাল্টে ভাজলেই মাছের সাদা ভাবটা চলে গেলো। বুঝলাম মাছ ভাজা হয়ে গেছে, মাছ নামিয়ে একটা পাত্রে রেখে দিলাম।


ধাপ ৫

  • ভাজা মাছের বাকি তেলেই কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে নেবো, তারপর পেঁয়াজ, রসুন, আদা বাটা আর হাফ চামচ নুন দিয়ে ভাজতে শুরু করবো।

ধাপ ৬

  • পেঁয়াজ, রসুন ভালোভাবে ভাজা হতেই হাপ কাপ জল দিয়ে জিরে গুঁড়ো আর লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে পেঁয়াজ গুলোকে কষতে দেবো।

ধাপ ৭

  • তিনটে কাঁচা লঙ্কা ঝোলে দিয়ে দেবো।


ধাপ ৮

  • মিনিট পাঁচেক উচ্চ আঁচে ঝোল ফোটানোর পরে ঝোল অনেক টাই কমে গেলো এরপর ভাজা মাছ গুলো কড়াইতে দিয়ে ভালোভাবে মশলার সাথে মাখিয়ে নেবো।


ধাপ ৯

  • মাছ মশলার মাখামাখি হয়ে গেলে দেড় কাপ জল কড়াইতে দিয়ে দিয়ে ঝোল ফুটতে রেখে দেবো।

ধাপ ১০

  • মিনিট পনেরো উচ্চ আঁচে ঝোল ফুটে যেতেই ঝোল ঘন হয়ে গেলো। কাতলা মাছের ঝাল তৈরী।


কাতলা মাছের ঝাল



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 3 years ago 

ভাইয়া আপনার রেসিপিগুলো আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। আজকেও তার ব্যতিক্রম নয়। আজকের রেসিপি দেখেই আমার মুখে পানি চলে এসেছে। এত মজাদার লাগছে দেখতে। মনে হচ্ছে যে অনেক ঝাল হয়েছে, কিন্তু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।

 3 years ago 

মাছের ঝালটা দেখতে যেমন ভালো হয়েছিল খেতেও তেমনই ভালো। ধন্যবাদ দিদি 🤗

 3 years ago 

পশ্চিমবঙ্গে গেলে আপনার হাতের রান্না খাওয়ার দাওয়াত আগে নিয়ে নিলাম। খুবই চমৎকার করে রান্না করেছেন। এই রেসিপিটি আমার বাসায় প্রায় নিয়মিতই রান্না হয় এবং আমার কাছে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ

 3 years ago 

অবশ্যই নেমতন্ন রইলো! ঝাল সহজেই দারুন একটা পদ, স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ির লোকেরা পছন্দ করবেনই। ধন্যবাদ সাইফুল ভাই 🤗

 3 years ago 

কাতলা মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে দাদা। আপনি আজকে আমাদের মাঝে কাতলা মাছের ঝোল নিয়ে হাজির হলেন। আসলে আপনি এতো সুন্দর করে প্রয়োজনীয় উপকরণ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন আর আপনার রান্নার ধরন খুবই ভালো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাই 🤗। ওটা ঝোল নয় ঝাল! 😆

 3 years ago 

দাদা খুব লোভনীয় কাতলা মাছ ঝাল রান্না করেছেন।ছবি দেখে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে যদি খেতে পারতাম।কালারটা খুব দারুণ আসছে।ভাবছি আমিও একদিন রান্না করে খাব।ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি রেসিপি দেওয়ার জন্য

 3 years ago 

কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়োর কামাল 😆। তবে হ্যাঁ, রংটা বেশ সুন্দর এসেছিল।

 3 years ago 

কাতলা মাছ গুলো এভাবে অল্প অল্প ঝোল রেখে রান্না করলে খেতে দারুন লাগে গরম ভাত দিয়ে খুবই মজা লাগে খেতে। আপনার রেসিপি টা খুবই চমৎকার হয়েছে দাদা তরকারির কালারটা খুব চমৎকার এসেছে।

 3 years ago 

ঝাল শুকনো শুকনো রাখলে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ দিদি 🤗

 3 years ago 

আপনার কাতলা মাছের ঝাল রান্না টি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে ।আপনি সত্যি খুবই ভাল রান্না করেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।এভাবে রান্না করলে সে তরকারিটা খেতে ভীষণ স্বাদ হয়। আমি ও মাঝে মাঝে এভাবে কাতলা মাছ ভেজেরান্না করি। কাতলা মাছ ভেজে রান্না করলে এর স্বাদ আরো অনেক বেড়ে যায় ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

ধন্যবাদ দিদি। আমি মাছ ভেজে তবেই রান্না করি। কাঁচা মাছের কোনো পদ এখন রাধিনি, তবে ভবিষ্যতে ইচ্ছে আছে।

 3 years ago 

কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি দেখে আমার জিভে জল চলে আসলো। এই রেসিপিটি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই বারবার খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

তাই! তাহলে তো রান্না করা সার্থক। ধন্যবাদ ভাই 🤗

 3 years ago 

অসাধারন রেসিপি দাদা। দেখতেই কত ইয়াম্মি লাগতেছে। খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে দিয়েছেন এতে বুঝতে সুবিধা হয়েছে। একদিন চেস্টা করে দেখবো পারি কিনা।

 3 years ago 

অবশ্যই করবেন। ধন্যবাদ 🤗।

 3 years ago 

আপনার রান্না দেখলে আমার হিংসে লাগে না। আমার হিংসে লাগে আপনার রান্নার রং দেখলে। কি সুন্দর লাল! মনে হচ্ছে আমি নজর দিয়ে ফেলছি আর আপনারও পেটব্যথা করবে।😜
থাক নজর দিলাম না। তবে আপনার আজকের কাতলা মাছের ঝাল এর যে ফাইনাল লুকটা এসেছে তা দেখে যে কারোরই খিদে পেয়ে যাবে যদি সে অতিরিক্ত না খেয়ে থাকে।

 3 years ago 

হিংসে করবেন না, চেষ্টা করুন আপনিও পারবেন একটা গাড়ির পেছনে এটাই লেখা ছিলো 😆।

কাশ্মীরি লঙ্কা বুঝলেন। এক চামচ দিলেই পুরো লাল টুকটুকে।

নজর দিয়েও বলছে নজর দিলাম না। হাঃ হাঃ। 😆

আহ দেখেই যেন জিভে জল চলে আসলো। কাতলা মাছের ঝাল অসাধারণ লাগে ভাইয়া খেতে। দেখে তো লোভনীয় এবং টেস্টি মনে হচ্ছে। আর কাতলা মাছ আমার একটু বেশি প্রিয়। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা ও মন ভরা ভালবাসা রইল।

 3 years ago 

কাতলা আমারও বেশ পছন্দের। ধন্যবাদ ভাই 🤗

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 57400.65
ETH 3108.60
USDT 1.00
SBD 2.42